জুলাই ১২, ২০২২ ১৯:১৬ Asia/Dhaka
  • ভারতে অবিরাম বৃষ্টি
    ভারতে অবিরাম বৃষ্টি

ভারতের গুজরাট রাজ্যে ২৪ ঘন্টায় বৃষ্টি ও বন্যা পরিস্থিতির কারণে ৭ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং গত দু’দিনে রাজ্যটিতে ৬৫ জন প্রাণ হারিয়েছে।

দেশের ২৫টি রাজ্যে অবিরাম বৃষ্টি হচ্ছে। এরফলে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে গুজরাট। রোববার রাতে আহমদাবাদে ২১৯ মি.মি. বৃষ্টি হয়েছে। একইসঙ্গে সুরাটসহ ৮টি জেলায় ‘রেড অ্যালার্ট’ জারি করা হয়েছে। গুজরাটের রাজকোটেও প্রবল বৃষ্টির জেরে বন্যার মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। এখানকার একটি সিভিল হাসপাতালের বেসমেন্টে পানি প্রবেশ করায় সেখান থেকে রোগীদের স্থানান্তর করা হয়েছে।  

সোমবার, গুজরাট, মধ্য প্রদেশ, কর্ণাটক, মহারাষ্ট্রসহ অনেক জায়গায় ভারী বৃষ্টির কারণে জনজীবন মারাত্মকভাবে ব্যাহত হয়েছিল। গুজরাটে বৃষ্টিতে ক্ষতিগ্রস্ত ১০ হাজারের বেশি মানুষকে নিরাপদ স্থানে পাঠিয়েছে সরকার। ৮টি জেলায় জারি করা হয়েছে রেড অ্যালার্ট। একইভাবে মধ্য প্রদেশ ও কর্ণাটকেও বৃষ্টিজনিত দুর্ভোগ বেড়েছে। মঙ্গলবার উত্তরাখণ্ড ও কেরালায় বৃষ্টির সতর্কতা জারি করেছে আবহাওয়া দফতর। 

গুজরাটের অম্বিকা নদীর তীরে আকস্মিক বন্যায় আটকে পড়েন সরকারি কর্মীরা। পরে ভালসাদের কালেক্টর ভারতীয় কোস্ট গার্ডকে অবহিত করেন এবং সাহায্য চান। আইসিজির এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, চেতক হেলিকপ্টারের মাধ্যমে উদ্ধার অভিযান চালানো হয়েছে। প্রবল বাতাস ও ভারী বৃষ্টির কারণে কিছুটা সমস্যা হলেও ১৬ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে। একইসময়ে, ভালসাদ জেলার কালেক্টর প্রবল বৃষ্টির কারণে ১২ জুলাই সমস্ত স্কুল-কলেজ বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছেন।  

গুজরাটে ২০৭ টি ছোট-বড় বাঁধ রয়েছে, যার মধ্যে ১৩টি বাঁধ উচ্চ সতর্কতায় রয়েছে। ৮টি বাঁধ সতর্ক অবস্থায় রয়েছে। ৭টি বাঁধ বিপদ চিহ্নের কাছাকাছি আছে। অন্যদিকে, সরদার সরোবর বাঁধের ধারণক্ষমতার ৪৫.৩৭ শতাংশ ভরাট হয়েছে। এছাড়া ১১টি বাঁধ শতভাগ পূর্ণ হয়ে গেছে। ১৮টি বাঁধ ৭০ থেকে ১০০ শতাংশ পূর্ণ হয়েছে। একইসঙ্গে ২৫টি বাঁধ ৫০ থেকে ৭০ শতাংশ ভরাট হয়েছে। এরমধ্যে উত্তর গুজরাটে ১৫টি, মধ্য গুজরাটে ১৭টি, দক্ষিণ গুজরাটে ১৩টি, কচ্ছে ২০টি এবং সৌরাষ্ট্রে ১৪১টি বাঁধ ভরাট হয়ে গেছে।   

মহারাষ্ট্রের রামঘাটের সমস্ত মন্দির পানিতে তলিয়ে গেছে। জেলার ৭টি বাঁধ থেকে পানি বের করা হচ্ছে। বাঁধে পানির পরিমাণ ১৮ শতাংশ থেকে ৫১ শতাংশে পৌঁছেছে। এ ছাড়া সপ্তশ্রীঙ্গী মাতার পাহাড়ে অবস্থিত মন্দির চত্বরে আকস্মিক বন্যায় ৭ জন আহত হয়েছেন। জেলা প্রশাসন সাহায্যের জন্য এসডিআরএফ-এর একটি টিমকে ডেকেছে। এ পর্যন্ত ৩টি সড়ক ও ৭টি সেতু পানিতে তলিয়ে গেছে। 

অন্যদিকে, মহারাষ্ট্রের পালঘর, নাসিক, পুনে সহ অনেক জেলায় ১১ থেকে ১৪ জুলাই পর্যন্ত রেড অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে। রায়গড় জেলায় ১২ এবং ১৩ তারিখে, রত্নাগিরি এবং কোলহাপুর ১২ তারিখে রেড অ্যালার্ট রয়েছে৷ এছাড়া, আগামী তিনদিন পর্যন্ত মুম্বাইতে কমলা সতর্কতা জারি করা হয়েছে। # 

পার্সটুডে/এমএএইচ/মো.আবুসাঈদ/১২

বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।

ট্যাগ