অসম ও মেঘালয় সীমান্তে বাসিন্দাদের সংঘর্ষ
https://parstoday.ir/bn/news/india-i128644-অসম_ও_মেঘালয়_সীমান্তে_বাসিন্দাদের_সংঘর্ষ
ভারতের অসম ও মেঘালয়ের মধ্যে সীমান্ত বিরোধ ফের সহিংস রূপ নিয়েছে। গতকাল (মঙ্গলবার) উভয় রাজ্য সীমান্তের কাছে অবস্থিত একটি গ্রামে সংঘর্ষ হয়।
(last modified 2025-07-29T12:16:04+00:00 )
সেপ্টেম্বর ২৭, ২০২৩ ১৯:৩৯ Asia/Dhaka
  • অসম ও মেঘালয় সীমান্তে বাসিন্দাদের সংঘর্ষ

ভারতের অসম ও মেঘালয়ের মধ্যে সীমান্ত বিরোধ ফের সহিংস রূপ নিয়েছে। গতকাল (মঙ্গলবার) উভয় রাজ্য সীমান্তের কাছে অবস্থিত একটি গ্রামে সংঘর্ষ হয়।

পুলিশ সূত্রে প্রকাশ, উভয় পক্ষই এ সময়ে তীর, ধনুক, ও গুলতি নিয়ে একে অপরের ওপর হামলা চালায়। আজ (বুধবার) এ সংক্রান্ত ঘটনার ছবি-ভিডিও ভাইরাল হয়।

মেঘালয়ের পশ্চিম জয়ন্তিয়া পার্বত্য জেলা এবং অসমের পশ্চিম কার্বি আংলং জেলার সীমান্তে অবস্থিত লাপাঙ্গাপ গ্রামে ওই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় কেউ হতাহত হওয়ার খবর নেই। উভয় রাজ্যের পুলিশ দল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে এবং লোকজনকে প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিয়েছে যাতে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা যায়।

আজ (বুধবার) সকালে পরিস্থিতি উত্তেজনাপূর্ণ ছিল কারণ উভয় রাজ্যের পুলিশ বাহিনী গ্রামবাসীকে সংঘর্ষের জায়গায় জড়ো হতে বাধা দেয়। আগামী অক্টোবরে উভয় রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এই বিষয়ে বৈঠক করবেন।

লাপাঙ্গাপ গ্রামের বাসিন্দা ডেইমনমি লিংডোহ দাবি করেছেন, গ্রামের কৃষকরা যখন তাদের ধান ক্ষেত দেখাশোনা করছিলেন তখন অসমের লোকেরা মাঠের কাছে লুকিয়ে থাকা গুলতি, ধনুক ও তীর নিয়ে আক্রমণ চালায়। তিনি বলেন, হামলার কথা জানার পর আমাদের গ্রামের প্রায় আড়াইশ থেকে তিন শতাধিক লোক জড়ো হয়ে ধনুক, তীর ও গুলতি দিয়ে পাল্টা জবাব দিলে মঙ্গলবার দিনভর উত্তেজনা বিরাজ করে।

প্রসঙ্গত, অসম ও মেঘালয়ের মধ্যে এমন সহিংস ঘটনা আগেও ঘটছে। গত বছরের নভেম্বরে, সীমান্তে পুলিশের গুলিবর্ষণের ঘটনায় মেঘালয়ের পাঁচজন এবং অসমের একজন বনরক্ষীসহ মোট ছয়জন নিহত হয়েছিলেন। অসম ও মেঘালয়ের মধ্যে প্রায় আটশো কিলোমিটার সীমান্ত আছে এবং সীমান্ত অঞ্চলের ১২ টি জায়গা নিয়ে গত ৪০ বছর ধরে বিবাদ চলছে দুই রাজ্যের মধ্যে।

অন্যদিকে, মেঘালয়ের একদল দুর্বৃত্ত অসমের বশিষ্ঠ সংলগ্ন বরপাথারে বাড়িঘরে আক্রমণ চালিয়েছে। হামলাকারীরা ওই এলাকাকে মেঘালয়ের বলে দাবি করেছে। দুর্বৃত্তরা দুটি পরিবারের বাড়িঘর ভেঙে দিয়েছে। জানা গেছে, নুরুল ইসলাম এবং বিজিত মজুমদার নামের দুই ব্যক্তির বাসগৃহ ভেঙে তছনছ করা হয়েছে। ঘটনাস্থলে মেঘালয় পুলিশ উপস্থিত থাকলেও কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি বলে অভিযোগ উঠেছে।   #    

বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।