‘ডাবল ইঞ্জিন’ সরকারে দলিতদের পিটিয়ে মারা হয়: ব্রাত্য বসু
(last modified Fri, 26 Feb 2021 12:57:18 GMT )
ফেব্রুয়ারি ২৬, ২০২১ ১৮:৫৭ Asia/Dhaka
  • ভারতের পশ্চিমবঙ্গের তৃণমূল নেতা ও রাজ্যের মন্ত্রী ব্রাত্য বসু
    ভারতের পশ্চিমবঙ্গের তৃণমূল নেতা ও রাজ্যের মন্ত্রী ব্রাত্য বসু

ভারতের পশ্চিমবঙ্গের তৃণমূল নেতা ও রাজ্যের মন্ত্রী ব্রাত্য বসু বলেছেন, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অমিত শাহ মতুয়াদের নাগরিকত্ব দেওয়ার ভুয়ো প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। বিজেপিশাসিত রাজ্যগুলোতে সবচেয়ে বেশি দলিতদের উপরে অত্যাচার করা হয়। তিনি আজ (শুক্রবার) কোলকাতায় রাজ্য তৃণমূল ভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে ওই মন্তব্য করেন।

ব্রাত্য বসু বলেন, ‘ডাবল ইঞ্জিন সরকারে দলিতদের পিটিয়ে মারা হয়। দলিতদের বিনাকারণে পিটিয়ে মারায় এগুলো রাজা। ডাবল  ইঞ্জিনে দলিত, নমশূদ্র, উপজাতিদের পিটিয়ে মারা হয়। বিজেপিশাসিত উত্তর প্রদেশের বালিয়াতে জেলা প্রশাসনের কাছ থেকে নির্দেশিকা এসেছে যে ব্রাহ্মণ বাড়ির ছেলেদের জন্য একরকম খাবার, থালাবাসন। এবং দলিতদের জন্য আরেকরকম খাবার ও থালাবাসন। এসব আমাদের রাজ্যে হয়?’

বিজেপি নেতাদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ‘ডাবল ইঞ্জিন (কেন্দ্র ও রাজ্যে বিজেপি সরকার) করে এগুলো করবেন তো আপনারা, যদি  হয় কখনো। মতুয়া বাড়ির ছেলেদের আলাদা টেবিলে আলাদা খাবার জন্য থালাবাসন দেবেন? আর উচ্চবর্ণের জন্য আলাদা থালাবাসন দেবেন?’

বিজেপিশাসিত গুজরাটের উল্লেখ করে ব্রাত্য বসু বলেন, ‘গুজরাটের উনায় ৩০ জনের বেশি দলিত আত্মহত্যার চেষ্টা করেছে। ২০১৯  সালে বাংলায় গণপ্রহার আটকানোর জন্য মুখ্যমন্ত্রীর নেতৃত্বে গণপ্রহার বিরোধী আইন পাশ হয়েছে। কিন্তু ওইসব রাজ্য তা করেনি। কারণ সেখানে পিটিয়ে মারাকে বৈধতা দেওয়া হয়। পিটিয়ে মারাকে ন্যায়সঙ্গত অধিকার দেওয়া হয়। হরিয়ানায় একজন দলিত মারা যাওয়ার পরে ওখানকার মন্ত্রী বলেছিলেন, রাস্তায় তো কত কুকুর মারা যায় তাই নিয়ে চেঁচামেচি করলে হয়? এই হচ্ছে ডাবল ইঞ্জিনের সংবেদনশীলতা, মানবিকতা। এই হচ্ছে ডাবল ইঞ্জিনের মূল কাঠামোর পিছনে গভীর হিংস্র এবং অত্যাচারী শাসকের ভাবমূর্তি।’

তিনি বলেন, ‘শ্রী শ্রী হরিচাঁদ ঠাকুর, গুরুচাঁদ ঠাকুর যাদের বিরুদ্ধে সবচেয়ে বেশি সরব হয়েছিলেন, তাঁদের প্রতিনিধিরা ঠাকুরনগরে গিয়ে নাগরিকত্ব দেওয়ার ভুয়ো প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।’

ব্রাত্য বসু আরও বলেন, ‘গোটা রাজ্য জুড়ে বিজেপি নেতারা একটা ভাঁওতাবাজি শব্দ নতুন করে তৈরি করেছেন। এই নতুন ভাঁওতাবাজি শব্দ হচ্ছে ‘ডাবল ইঞ্জিন’। অর্থাৎ রাজ্যে এবং কেন্দ্রে একই সরকার থাকলে নাকি রাজ্যের উন্নতি হয়! ফেডারেল স্ট্রাকচারে এরকম একটা অদ্ভুত তত্ত্ব আমরা আগে কখনও শুনিনি! আমরা বলছি যে ডাবল ইঞ্জিন হলে ইঞ্জিনই থাকে বগিগুলো সব ধসে পড়ে যায়। এবং শেষপর্যন্ত কেন্দ্রীয় সরকার যেরকম রেল বেচে দেওয়ার ব্যবস্থা করছে সেরকম এরাজ্যে যদি কখনও বিজেপি সরকার ক্ষমতায় আসে তাহলে রেল বিক্রি করে দেওয়ার মতো, ইঞ্জিন বিক্রি করে দেওয়ার মতো, বগি বিক্রি করে দেওয়ার মতো আমাদের রাজ্যকেও বেচে দেওয়ায় পরিকল্পনা তৈরি হবে’ বলেও মন্ত্রী ব্রাত্য বসু মন্তব্য করেন।#

পার্সটুডে/এমএএইচ/আবুসাঈদ/২৬

বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।

ট্যাগ