কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই'র প্রয়োগে ইরানে মহাকাশ প্রযুক্তির বিস্তার 
(last modified Wed, 30 Oct 2024 08:56:27 GMT )
অক্টোবর ৩০, ২০২৪ ১৪:৫৬ Asia/Dhaka
  • কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই\'র প্রয়োগে ইরানে মহাকাশ প্রযুক্তির বিস্তার
    কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই\'র প্রয়োগে ইরানে মহাকাশ প্রযুক্তির বিস্তার

মহাকাশ প্রযুক্তি বিষয়ে ইরানের একজন বিশেষজ্ঞ বলেছেন, কৃত্রিম উপগ্রহ থেকে তোলা ছবিগুলোর মান-উন্নয়নে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ব্যাপক ব্যবহার দূর থেকে পরিমাপের ক্ষেত্রে বড় ধরনের পরিবর্তন আনছে।


ইসলামী ইরান গত কয়েক দশকে মহাকাশ-প্রযুক্তি ও দূর থেকে পরিমাপ করা সংক্রান্ত কৃত্রিম উপগ্রহ-প্রযুক্তির উন্নয়নে ব্যাপক প্রচেষ্টা চালিয়ে এসব ক্ষেত্রে ব্যাপক অগ্রগতি অর্জন করেছে।

 ইরানের মহাকাশ প্রযুক্তি ও সংশ্লিষ্ট অর্থনীতি বিষয়ের গবেষক আহমাদ সোলাইমানি সংবাদ সংস্থা তাসনিমকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, সাম্প্রতিক মাসগুলোতে যেসব গুরুত্বপূর্ণ বিষয় বা দিক বহু বিশেষজ্ঞ ও নীতি-নির্ধারকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে তা হল ইরানের বিভিন্ন শিল্প ক্ষেত্রে এই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্সের (এআই) ব্যবহার। এমনকি ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহিল উজমা খামেনেয়িও মেধাবী তরুণ ও যুবক আর ছাত্রদের এক সমাবেশে সম্প্রতি বলেছেন, এ ক্ষেত্রে দূরদৃষ্টি দেশের সবচেয়ে অগ্রাধিকারপ্রাপ্ত বিষয়গুলোর অন্যতম। জনাব সোলাইমানি জানান, এ আই বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা মহাকাশ-শিল্পে বড় ধরনের পরিবর্তন আনার ক্ষমতা রাখে। এই প্রযুক্তিকে কৃত্রিম উপগ্রহ পরিচালনা থেকে শুরু করে ডাটা বিশ্লেষণ, কৃত্রিম উপগ্রহের নিখুঁত ও স্বয়ংক্রিয় নিয়ন্ত্রণসহ মহাকাশ অভিযানের সর্বোত্তম পরিকল্পনা, ভবিষ্যদ্বাণী করা, উৎক্ষেপণের নানা ঝুঁকি কমানো, ছবি তোলা, পরিমাপক কৃত্রিম উপগ্রহের ছবি নির্মাণ ও স্বয়ংক্রিয় রোবটের উন্নয়নসহ  আরও অনেক ক্ষেত্রে কাজে লাগানো সম্ভব।

ইসলামী ইরান আন্তর্জাতিক নানা সীমাবদ্ধতা ও নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও পরিমাপক বা তথ্য অনুসন্ধানী কৃত্রিম উপগ্রহ ও গবেষণার কাজে ব্যবহৃত কৃত্রিম উপগ্রহ শিল্পে ব্যাপক সাফল্য অর্জন করেছে। সাম্প্রতিক সময়ে ইরানের চামরান-এক নামক কৃত্রিম উপগ্রহ ও ক্বায়েম-১০০ নামের কৃত্রিম উপগ্রহ এইসব সাফল্যের এক উল্লেখযোগ্য দিক। এ দুটি কৃত্রিম উপগ্রহ ভূপৃষ্ঠ থেকে ৫৫০ কিলোমিটার উচ্চতায় সাফল্যের সঙ্গে কক্ষপথে যুক্ত হয়েছে। বিদেশী সংবাদ মাধ্যমগুলোতেও এইসব পদক্ষেপের খবর গুরুত্বের সঙ্গে প্রচার হয়েছে।  ছবি তোলার ক্ষেত্রে ইরানের খাইয়্যাম নামক কৃত্রিম উপগ্রহ অত্যন্ত উচ্চতর ক্ষমতাসম্পন্ন। পরিবেশ পর্যবেক্ষণ, কৃষি ও প্রাকৃতিক সম্পদের অনুসন্ধান সংক্রান্ত ক্ষেত্রে এই উপগ্রহের পাঠানো ছবি অত্যন্ত নিখুঁত ও কার্যকর।

 এর আগে ২০২০ সালের দিকে ইরানের তৈরি নাভিদ নামক কৃত্রিম উপগ্রহ আবহাওয়া ও উদ্ভিদ পর্যবেক্ষণ বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতির মাধ্যম হিসেবে ভূমিকা রাখতে সক্ষম হয়েছে। জাফর নামের আরেকটি কৃত্রিম উপগ্রহ কৃষি ও পরিবেশ বিষয়ে ইরানের মহাকাশ-শিল্প গবেষণার আরেকটি বড় সাফল্যের স্বাক্ষর। 

ইরানের তৈরি পার্স এক ও পার্স দুই নামক দুটি কৃত্রিম উপগ্রহও খুব উন্নত মানের ছবি তোলাসহ কৃষি, পরিবেশ ও প্রাকৃতিক সম্পদ সংক্রান্ত পর্যবেক্ষণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। 

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই ইসলামী ইরানের মহাকাশ-প্রযুক্তি ও দূর থেকে পরিমাপ করা সংক্রান্ত কৃত্রিম উপগ্রহ-প্রযুক্তির উন্নয়নে ব্যাপক ভূমিকা রাখতে সক্ষম হবে বলে আহমাদ সোলাইমানি আশা প্রকাশ করেছেন। #

পার্সটুডে/৩০

ট্যাগ