জুন ০৪, ২০২১ ১৯:১০ Asia/Dhaka
  • ভারতীয় নৌবাহিনীর শক্তি বাড়াতে ৬টি অত্যাধুনিক সাবমেরিন তৈরির ছাড়পত্র দিল প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়
    ভারতীয় নৌবাহিনীর শক্তি বাড়াতে ৬টি অত্যাধুনিক সাবমেরিন তৈরির ছাড়পত্র দিল প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়

ভারতীয় নৌবাহিনীর শক্তি বাড়াতে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বড় সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রোজেক্ট-৭৫ ইন্ডিয়া প্রকল্পের আওতায় ৬ টি সাবমেরিন তৈরির অনুমোদন দিয়েছে।

ওই প্রকল্পটি দীর্ঘদিন ধরে আটকে ছিল, অবশেষে কেন্দ্রীয় সরকারের সবুজ সংকেত পাওয়ায় এবার তা কার্যকর হতে চলেছে। ৫০ হাজার কোটি টাকার ওই প্রকল্পটি প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের সভাপতিত্বে একটি বৈঠকে অনুমোদিত হয়েছে।   

এই প্রকল্পটি কৌশলগত অংশীদারিত্ব মডেলের অধীনে সম্পন্ন হবে, সেক্ষেত্রে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় দেশীয় শিপইয়ার্ডগুলোতে অনুরোধ প্রস্তাব আরএফপি  জারি করবে। এই দেশীয় শিপইয়ার্ডগুলো বিদেশী সংস্থার সাথে একটি যৌথ উদ্যোগে ছয়টি প্রচলিত অর্থাৎ ডিজেল-বৈদ্যুতিন সাবমেরিন তৈরি করবে। 

গণমাধ্যম সূত্রে প্রকাশ, আজ (শুক্রবার) প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের  নেতৃত্বে প্রতিরক্ষা অধিগ্রহণ কাউন্সিলের (ডিএসি) একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। ওই বৈঠকে চিফ অফ ডিফেন্স স্টাফ (সিডিএস) জেনারেল বিপিন রাওয়াত, তিন বাহিনীর প্রধান,  প্রতিরক্ষা সচিব এবং প্রতিরক্ষা সচিব (উত্পাদন) উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকে নৌবাহিনীর জন্য পি-৭৫ আই প্রকল্পের জন্য একটি জন্য একটি অনুরোধ প্রস্তাব (আরএফপি)জারি করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।  

আন্তর্জাতিক প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞদের মতে, বর্তমানে চীনা সেনার হাতে কমপক্ষে ৭৫/৮০টি সাবমেরিন রয়েছে। যার মধ্যে ৮/১০টি পারমাণবিক শক্তি চালিত। তুলনায় ভারতের হাতে এইমুহূর্তে কর্মক্ষম ১৫টি সাবমেরিন রয়েছে। ভারতের হাতে রয়েছে পারমাণবিক সাবমেরিন অরিহন্ত। অরিহন্তে  রয়েছে ‘কে-১৫’ (সাগরিকা) আণবিক মিসাইল৷ প্রায় ৭৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত নিখুঁতভাবে লক্ষ্যে আঘাত হানতে সক্ষম এই ক্ষেপণাস্ত্র৷ আক্রমণের জন্য পর্যাপ্ত না হলেও ভারতীয় নৌবহর দেশের পানিসীমা রক্ষার জন্য সম্পূর্ণ তৈরি। এবার সেই শক্তি আরও বাড়িয়ে তুলতে তৎপর হয়েছে কেন্দ্রীয় নরেন্দ্র মোদির সরকার। 

গণমাধ্যম সূত্রে প্রকাশ, ভারতীয় নৌবাহিনীর কমপক্ষে ১৮ টি কনভেনশনাল (কিলার সাবমেরিনস অর্থাৎ এসএসকে), ৬টি পারমাণবিক চালিত সাবমেরিন (নিউক্লিয়ার সাবমেরিন বা এসএসএন) এবং কমপক্ষে ৪টি  পারমাণু অস্ত্র সজ্জিত সাবমেরিন (নিউক্লিয়ার ব্যালিস্টিক মিসাইল সাবমেরিন বা এসএসবিএন) প্রয়োজন।      

সাম্প্রতিক কালে চীনের সঙ্গে ভারতের যে সংঘাতের আবহে তৈরি হয়েছে তাতে চীনা লাল ফৌজকে টেক্কা দিতে এবার আসরে নামছে নয়াদিল্লিও। আর সে সেজন্যই আগামীতে চীনা আগ্রাসন মোকাবিলা করতে ভারত  অত্যাধুনিক সাবমেরিন তৈরিতে নজর দিচ্ছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। #

পার্সটুডে/এমএএইচ/আবুসাঈদ/০৪

বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।

ট্যাগ