ভিয়েনা সংলাপের ব্যাপারে ইরানের অবস্থান তুলে ধরনের প্রেসিডেন্ট রাইসি
ইরানের প্রেসিডেন্ট সাইয়্যেদ ইব্রাহিম রায়িসি বলেছেন, অন্য পক্ষগুলো ইরানের ওপর থেকে মার্কিন নিষেধাজ্ঞা তুলে নিতে সম্মত হলে ভিয়েনা সংলাপ থেকে ভালো ফল বের করে আনা সম্ভব। তিনি বলেন, আমরা নিঃসন্দেহে একটি ভালো চুক্তি চাই। তিনি শনিবার তেহরানে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে নিযুক্ত ইরানি রাষ্ট্রদূত ও মিশন প্রধানদের এক সম্মেলন ভাষণ দিতে গিয়ে এ মন্তব্য করেন।
নিষেধাজ্ঞাকে ব্যর্থ করে দেয়া এবং নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়ার বিষয়ে ইরানের দুটি কৌশলের কথা উল্লেখ করে প্রেসিডেন্ট রাইসি বলেছেন, কেউ দাবি করছে ইরান আলোচনা করছে না আবার কেউ দাবি করছে সংলাপে ইরানের আন্তরিকতার অভাব রয়েছে কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে আমরা অত্যন্ত আন্তরিকতার সাথে আলোচনায় অংশ নিয়ে বলিষ্ঠভাবে নিজেদের দাবি উত্থাপন করেছি।
কয়েক দিন বিরতির পর গত বৃহস্পতিবার ভিয়েনায় আবারো চার জাতি গোষ্ঠীর সঙ্গে ইরানের আলোচনা শুরু হয়েছে। গত দুই দিনের আলোচনায় অন্যায় নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়া এবং পরমাণু কর্মসূচির বিষয়ে ইরানের পক্ষ থেকে গঠনমূলক বেশ কিছু প্রস্তাব তুলে ধরা হয়েছে। যদিও অনেক বিশ্লেষক মনে করছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের একগুঁয়ে নীতির কারণে ভিয়েনায় আলোচনা থেকে ভালো ও পরিপূর্ণ ফল বের করে আনা কঠিন হবে। আবার অনেকের মতে ভালো সমঝোতায় পৌঁছার জন্য সুযোগ ক্রমেই শেষ হয়ে আসছে।
যাইহোক, এসব দ্বন্দ্ব সন্দেহ সত্বেও ভিয়েনা বৈঠকে ইরানের প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা অব্যাহত রয়েছে। এ থেকে বোঝা যায় ইরানের দাবির বিষয়ে তারা সবাই একমত এবং নিজেদের কঠোর অবস্থান থেকে তারা অনেকটাই সরে এসেছে। এদিকে, ভিয়েনায় আলোচনা শুরুর আগে থেকেই এবং এখনো কোনো কোনো গণমাধ্যমের ইরান বিরোধী প্রচার প্রপাগাণ্ডা থেকে বোঝা যায় কোনো কোনো মহল চলমান আলোচনা প্রক্রিয়াকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার চেষ্টা করছে এবং তারা চায় না এখানে ইতিবাচক পরিবেশ বজায় থাকুক। সাম্প্রতিক দিনগুলোতে ইসরাইল ও মার্কিন কর্মকর্তাদের মধ্যে সফর বিনিময় অনেক বেড়েছে। ইসরাইলি যুদ্ধমন্ত্রীর ওয়াশিংটন সফরের সময় ইসরাইলের গণমাধ্যমগুলো দাবি করেছে ইসরাইল ও মার্কিন কর্মকর্তারা যৌথভাবে ইরানের সামরিক স্থাপনার ওপর হামলা চালানোর বিষয়ে সম্মত হয়েছে। গণমাধ্যমগুলো দ্রুত ভিয়েনা আলোচনা শুরু করার জন্য আমেরিকা ইরানকে আল্টিমেটাম দিয়েছে বলেও মিথ্যা দাবি করেছে। এমনকি গত ২৯ নভেম্বর ভিয়েনা আলোচনা শুরুর আগে ইরানের ওপর চাপ সৃষ্টি করার জন্য ইউরোপের দেশগুলোও ইরানের পরমাণু কর্মসূচির ব্যাপারে উদ্বেগ প্রকাশ করে যৌথ বিবৃতি দিয়েছিল। তবে ইরান তার অবস্থানে অটল রয়েছে এবং জানিয়ে দিয়েছে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়া ছাড়া তারা অন্য কিছু মানবে না। #
পার্সটুডে/রেজওয়ান হোসেন/১২
বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।