ডিসেম্বর ২৬, ২০২২ ১৮:৪২ Asia/Dhaka
  • ইরানের সর্বোচ্চ নেতা
    ইরানের সর্বোচ্চ নেতা

মহানবী হজরত মুহাম্মাদ (সা.)’র প্রাণপ্রিয় কন্যা হজরত ফাতিমা জাহরা (সা. আ.)’র শাহাদাৎ বার্ষিকী উপলক্ষে সপ্তাহব্যাপী শোকানুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে ইরানজুড়ে। রোববার রাতে দ্বিতীয় দিনের শোকানুষ্ঠান পালিত হয়েছে।

তেহরানে ইমাম খোমেনী (রহ.) হোসাইনিয়াতে আয়োজিত শোকানুষ্ঠানে গতরাতেও (২৫ ডিসেম্বর, রোববার) অংশ নিয়েছেন সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহিল উজমা খামেনেয়ী। এর আগের রাতের অনুষ্ঠানে সর্বোচ্চ নেতার সঙ্গে ইরানের প্রেসিডেন্ট সাইয়্যেদ ইব্রাহিম রায়িসিও অংশ নেন।

 

গতরাতের অনুষ্ঠানেও বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার কিছু মানুষ অংশগ্রহণের সুযোগ পান। সেখানে কুরআন তেলাওয়াতের পাশাপাশি শোকগাথা পড়া হয়। শোকগাথা পড়ে শোনান মেহদি রাসুলি।

ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের প্রখ্যাত ধর্মীয় বক্তা হুজ্জাতুল ইসলাম নাসের রাফিয়ি গতরাতের শোকানুষ্ঠানে বক্তব্য রেখেছেন। তিনি ইবাদত, শিক্ষা, জিহাদ, সম্মান-মর্যাদা, ত্যাগ-তিতিক্ষা, জ্ঞান-বিজ্ঞান এবং সহজ-সরল জীবনযাপনকে হজরত ফাতিমা (সা. আ.)’র গৃহের বৈশিষ্ট্য হিসেবে উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, মানব জাতির এই মহীয়সী নারী ও তার গৃহ থেকে তরুণদের জন্য শিক্ষা হচ্ছে ভরপুর যৌবনকালেও নিজেদেরকে পুণ্য কাজ, মহত্ত্ব ও শ্রেষ্ঠত্বের এমন পর্যায়ে উন্নীত করা সম্ভব যা নবী-রাসূল ও ইমামদের ছাড়া আর কারো সাথে তুলনাযোগ্য নয়।

করোনার তীব্রতা কমে আসলেও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা এখনও জরুরি। এ কারণে ইমাম খোমেনী (রহ.) হোসাইনিয়াতে এ বছরের শোকানুষ্ঠান সবার জন্য উন্মুক্ত রাখা সম্ভব হয়নি। এবারের শোকানুষ্ঠানে শহীদ পরিবারের সদস্যদের অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে। এর বাইরেও কিছু লোক অংশগ্রহণের সুযোগ পাচ্ছেন।#

পার্সটুডে/এসএ/২৬

বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।

ট্যাগ