ইরানবিরোধী ‘সর্বোচ্চ চাপ’ আমেরিকাকে ‘সর্বোচ্চ ব্যর্থতা’ ছাড়া কিছু দেয়নি
https://parstoday.ir/bn/news/iran-i118278-ইরানবিরোধী_সর্বোচ্চ_চাপ’_আমেরিকাকে_সর্বোচ্চ_ব্যর্থতা’_ছাড়া_কিছু_দেয়নি
ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র নাসের কানয়ানি বলেছেন, তার দেশের বিরুদ্ধে আমেরিকার শত্রুতা নতুন কোনো বিষয় নয়। এই শত্রুতার জের ধরেই আমেরিকার পরপর দু’টি প্রশাসন ইরানের বিরুদ্ধে ‘সর্বোচ্চ চাপ’ প্রয়োগের নীতি গ্রহণ করেছে।
(last modified 2025-07-29T12:16:04+00:00 )
জানুয়ারি ১১, ২০২৩ ০৯:২৮ Asia/Dhaka
  • ইরানবিরোধী ‘সর্বোচ্চ চাপ’ আমেরিকাকে ‘সর্বোচ্চ ব্যর্থতা’ ছাড়া কিছু দেয়নি

ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র নাসের কানয়ানি বলেছেন, তার দেশের বিরুদ্ধে আমেরিকার শত্রুতা নতুন কোনো বিষয় নয়। এই শত্রুতার জের ধরেই আমেরিকার পরপর দু’টি প্রশাসন ইরানের বিরুদ্ধে ‘সর্বোচ্চ চাপ’ প্রয়োগের নীতি গ্রহণ করেছে।

তিনি মঙ্গলবার ধারাবাহিকভাবে কয়েকটি টুইটার বার্তা প্রকাশ করে এ ক্ষোভ প্রকাশ করেন। কানয়ানি বলেন, ইরানের সঙ্গে বিদ্বেষী আচরণ করার কারণে আমেরিকার কয়েকটি প্রশাসনকে আইনি জবাবদিহীতার আওতায় আনা এখন সময়ের দাবি।

ইরানের এই মুখপাত্র বলেন, ১৯৭৯ সালের পর থেকে আমেরিকার প্রতিটি প্রেসিডেন্ট কথিত মানবাধিকার ও গণতন্ত্র রক্ষা করার নামে ইরানের বিরুদ্ধে ‘সর্বোচ্চ চাপ’ প্রয়োগ করে এসেছেন। কানয়ানি বলেন, “কিন্তু তারা ইরানের বিরুদ্ধে ‘সর্বোচ্চ ব্যর্থতা’ ছাড়া অন্য কিছু অর্জন করতে পারেননি। এর কারণ ইরানের স্বাধীনচেতা মনোভাব ও শক্তিমত্তা।”

ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বলেন, এত কিছুর পরও আমেরিকা কেন বিশ্বাসঘাতক ও কপট ইসরাইলি উপদেষ্টাদের কথা মেনে চলে সেটা বোধগম্য নয়।সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট জিমি কার্টার ইরানের ইসলামি সরকার উৎখাতের নির্দেশ দিয়েছিলেন বলে ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহিল উজমা খামেনেয়ী মন্তব্য করার একদিন পর কানয়ানি এসব টুইট করলেন।

ইরানের সর্বোচ্চ নেতা সোমবার এক ভাষণে বলেছেন, তিনি সদ্য ফাঁস হওয়া এমন একটি দলিল হাতে পেয়েছেন যাতে বলা হয়েছে, সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট জিমি কার্টার ১৯৭৯ সালের ডিসেম্বর মাসে ইরানের ইসলামি শাসনব্যবস্থাকে উৎখাতের জন্য মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএ’কে নির্দেশ দিয়েছিলেন। ওই বছরের ১১ ফেব্রুয়ারি ইরানে ইসলামি বিপ্লব হয়েছিল।

আয়াতুল্লাহ খামেনেয়ী বলেন, “এর অর্থ হচ্ছে আমেরিকা বিপ্লবের শুরু থেকেই এদেশের সরকার ব্যবস্থা উৎখাতের চেষ্টা শুরু করেছে। ওই দলিলে ইরানের সরকার উৎখাতের প্রধান হাতিয়ার হিসেবে তেহরানের বিরুদ্ধে প্রচারণা যুদ্ধ চালাতে বলা হয়েছে।”

১৯৭৯ সালের ইসলামি বিপ্লবের মাধ্যমে ইরানে আমেরিকার তাবেদার শাহ সরকারের পতন হয়। এরপর ১৯৮০ সালে দু’দেশের মধ্যকার কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন হয়। তখন থেকে মার্কিন সরকার ইরানের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ শুরু করলেও ইরানের বাণিজ্যিক খাতের ওপর প্রথম নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয় ১৯৯৫ সালে। তখন থেকে আজ পর্যন্ত ইরানের বিরুদ্ধে একের পর এক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে যাচ্ছে আমেরিকা।#

পার্সটুডে/এমএমআই/১১

বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।