মে ২৩, ২০২৩ ০৮:৩৮ Asia/Dhaka
  • ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আলী আকবার আহমাদিয়ান
    ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আলী আকবার আহমাদিয়ান

ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের প্রেসিডেন্ট সাইয়্যেদ ইব্রাহিম রায়িসি ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর সিনিয়র কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আলী আকবার আহমাদিয়ানকে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা পরিষদের সচিব হিসেবে নিয়োগ দিয়েছেন।

বিদায়ী সচিব আলী শামখানি সোমবার পদত্যাগ করার পর জেনারেল আহমাদিয়ানকে তার স্থলাভিষিক্ত করেন প্রেসিডেন্ট রায়িসি।পদধিকার বলে প্রেসিডেন্ট রায়িসি সর্বোচ্চ নিরাপত্তা পরিষদের চেয়ারম্যান।

গতকাল (সোমবার) আলী শামখানি পদত্যাগ করার পরপরই রায়িসি এক ডিক্রি জারি করে আহমাদিয়ানকে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা পরিষদের সচিব নিযুক্ত করেন।একই সঙ্গে তিনি বিগত ১০ বছর সাফল্যের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করায় শামখানির ভুয়সী প্রশংসা করেন।

সর্বোচ্চ নিরাপত্তা পরিষদের নতুন সচিব আলী আকবার আহমাদিয়ান, ৬২, তেহরান বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডেন্টিস্ট্রিতে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন।এরপর ইরানের সুপ্রিম ন্যাশনাল ডিফেন্স ইউনিভার্সিটি থেকে স্ট্রাটেজিক ম্যানেজমেন্টের ওপর পিএইচডি সম্পন্ন করেন।

আহমাদিয়ান ১৯৯৭ সালের আগস্ট মাসে একজন কমান্ডার হিসেবে আইআরজিসির নৌবাহিনীতে নিজের সামরিক ক্যারিয়ার শুরু করেন। আট বছর আইআরজিসির নৌবাহিনীর উপপ্রধানের দায়িত্ব পালনের পর তিনি ওই বাহিনীর প্রধান হন এবং তিন বছর ওই পদে বহাল ছিলেন।

এরপর ইরানের সর্বোচ্চ নেতা এবং সশস্ত্র বাহিনীর সর্বাধিনায়ক আয়াতুল্লাহিল উজমা খামেনেয়ী জেনারেল আহমাদিয়ানকে আইআরজিসির চিফ অব স্টাফ পদে নিযুক্ত করেন। এই পদে সাত বছরের দায়িত্ব পালনের সময় তিনি আইআরজিসির প্রশাসনিক কাঠামোর উন্নয়ন ও সংস্কারে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখেন। বিগত এক দশকে বিভিন্ন ক্ষেত্রে আইআরজিসির সামর্থ্য ও দক্ষতা বৃদ্ধিতে জেনারেল আহমাদিয়ান অসামান্য ভূমিকা পালন করেন।

এছাড়াও ইরানের ইমাম হোসেইন ইউনিভার্সিটির চ্যান্সেলর এবং আইআরজিসির স্ট্রাটেজিক স্টাডিজ সেন্টারের প্রেসিডেন্টের মতো আরো কিছু গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বও সাফল্যের সঙ্গে পালন করেন জেনারেল আহমাদিয়ান।সোমবার সর্বোচ্চ নিরাপত্তা পরিষদের সচিব পদে নিয়োগ পাওয়ার আগ পর্যন্ত তিনি ইরানের প্রভাবশালী নীতি নির্ধারণী পরিষদের সদস্য ছিলেন।

মার্কিন অর্থ মন্ত্রণালয় ২০০৭ সালে আইআরজিসির গুরুত্বপূর্ণ কর্মকর্তা হিসেবে জেনারেল আহমাদিয়ানের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে যা এখনও বহাল রয়েছে। এছাড়া, ওই একই বছর মার্কিন পদাঙ্ক অনুসরণ করে তার ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয় ইউরোপীয় ইউনিয়ন। মার্কিন নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার না হওয়ায় সঙ্গত কারণেই আহমাদিয়ানের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করেনি আমেরিকার লেজুড়বৃত্তিতে নিয়োজত ইউরোপীয় ইউনিয়ন।#

পার্সটুডে/এমএমআই/এনএম/২৩

বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।

ট্যাগ