জুলাই ১১, ২০২৩ ০৯:২৫ Asia/Dhaka
  • ইরানের জাতীয় পতাকার ওপর দেশটির গোয়েন্দা মন্ত্রণালয়ের লোগো।
    ইরানের জাতীয় পতাকার ওপর দেশটির গোয়েন্দা মন্ত্রণালয়ের লোগো।

সুইডেনের রাজধানী স্টকহোমের একটি মসজিদের সামনে সম্প্রতি পবিত্র কুরআন অবমাননাকারী ব্যক্তি ইসরাইলি গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের এজেন্ট বলে জানিয়েছে ইরানের গোয়েন্দা মন্ত্রণালয়। ইরাকি নাগরিক ওই ব্যক্তির নাম ঠিকানা প্রকাশ করে মন্ত্রণালয় বলেছে, মধ্যপ্রাচ্যে সাম্রাজ্যবাদ ও ইহুদিবাদ বিরোধী প্রতিরোধ ফ্রন্টগুলোর বিরুদ্ধে গুপ্তচরবৃত্তির কাজে নিয়োগ পেয়েছিল ওই ইরাকি অভিবাসী।

ইরানের গোয়েন্দা মন্ত্রণালয় গতকাল (সোমবার) এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, কুরআনে আগুন দেয়া ওই ইরাকি নাগরিকের নাম সালওয়ান মোমিকা। ১৯৮৬ সালে জন্মগ্রহণকারী এই নরাধমকে ২০১৯ সালে নিয়োগ দেয় মোসাদ।

মোমিকার বিরুদ্ধে ইরাকে বেশ কয়েকটি ফৌজদারি মামলা রয়েছে জানিয়ে বিবৃতিতে বলা হয়, সে প্রতিরোধ ফ্রন্টগুলোর বিরুদ্ধে গুপ্তচরবৃত্তির কাজ করছিল এবং ইরাককে খণ্ড-বিখণ্ড করার ইহুদিবাদী ষড়যন্ত্র বাস্তবায়নের কাজে সহযোগিতা করে যাচ্ছিল।

বিবৃতিতে বলা হয়, এক পর্যায়ে সে ইরাক ত্যাগ করতে বাধ্য হয়; তবে ইরাক ও মুসলিম সমাজের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের পুরস্কার হিসেবে ইহুদিবাদীদের সহযোগিতায় তাকে সুইডেনে বসবাসের সুযোগ দেয়া হয়।এই সুযোগের সদ্ব্যবহার করতে সে দখলদার ইসরাইলের পক্ষে ভাড়াটে গুণ্ডা হিসেব কাজ চালিয়ে যায়।

ইরানের গোয়েন্দা মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়, জর্দান নদীর পশ্চিম তীরে ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন দমনের বৃহৎ পরিকল্পনার অংশ হিসেবে এই নরাধম সুইডেনে পবিত্র কুরআনের কপিতে আগুন দেয়ার মতো চরম ধৃষ্ঠতাপূর্ণ কাজ করে।  

উল্লেখ্য, গত ২৮ জুন ওই ইরাকি অভিবাসী সুইডেনের রাজধানী স্টকহোমের বৃহত্তম মসজিদের সামনে আগে থেকে ঘোষণা দিয়ে একটি কুরআনের কয়েকটি পৃষ্ঠায় আগুন ধরিয়ে দেয়।সুইডিশ পুলিশের অনুমতি নিয়ে এবং পুলিশি প্রহরায় ওই নরাধম পবিত্র কুরআনের অবমাননা করে। বিশ্ব মুসলিম যখন পবিত্র ঈদুল আজহার উৎসবে ব্যস্ত এবং লাখ লাখ মুসলমান যখন পবিত্র হজ্বব্রত পালন করছিলেন তখন কুরআন অবমাননার এই ন্যক্কারজনক পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা হয়।#

পার্সটুডে/এমএমআই/১১

বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।

 

ট্যাগ