রুশ বিশ্লেষক: ইসলামি বিপ্লবের মাধ্যমে ইমাম খোমেনী (রহ.) তৃতীয় পথ দেখিয়েছেন
https://parstoday.ir/bn/news/world-i149730-রুশ_বিশ্লেষক_ইসলামি_বিপ্লবের_মাধ্যমে_ইমাম_খোমেনী_(রহ.)_তৃতীয়_পথ_দেখিয়েছেন
পার্স টুডে: রুশ বিশ্লেষক মাইস কুরবানভ ইরানের ইসলামি বিপ্লবের নেতা ইমাম খোমেনী (রহ.)-কে 'বিশ্বের স্বাধীনতাকামীদের প্রতীক' হিসেবে উল্লেখ করেছেন।
(last modified 2025-09-11T14:06:22+00:00 )
জুন ০৫, ২০২৫ ১৯:২৪ Asia/Dhaka
  • মাইস কুরবানভ
    মাইস কুরবানভ

পার্স টুডে: রুশ বিশ্লেষক মাইস কুরবানভ ইরানের ইসলামি বিপ্লবের নেতা ইমাম খোমেনী (রহ.)-কে 'বিশ্বের স্বাধীনতাকামীদের প্রতীক' হিসেবে উল্লেখ করেছেন।

মস্কোতে ইরানের সরকারি বার্তা সংস্থা ইরনাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে কুরবানভ বলেন, ইমাম খোমেনী (রহ.) সব সময় বিশ্বের মজলুম ও নিপীড়িত মানুষের পক্ষে অবস্থান নিয়েছেন। যখন আমেরিকা ও ইউরোপ ‘গণতন্ত্র’ ও ‘স্বাধীনতা’র নামে দরিদ্র দেশগুলোর সঙ্গে প্রতারণা করে তাদের সম্পদ লুট করছিল, তখন ইমাম (রহ.) স্পষ্টভাবে পশ্চিমা ও আমেরিকার ভণ্ডামি ও নিপীড়নের নিন্দা করতেন।

রুশ বিশ্লেষক আরও বলেন, ইমাম খোমেনীর দূরদর্শিতার অন্যতম দৃষ্টান্ত হল পবিত্র রমজানের শেষ শুক্রবারকে ‘আন্তর্জাতিক কুদস দিবস’ হিসেবে ঘোষণা করা। তিনি ছিলেন এক বুদ্ধিদীপ্ত, সাহসী ও বিচক্ষণ নেতা, যিনি সর্বদা ফিলিস্তিনি জনগণের পক্ষে এবং দখলদার ইহুদি রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছেন।

তিনি বলেন, "ইমাম খোমেনী (রহ.)-এর দৃঢ় ইচ্ছা না থাকলে ইসরাইলিরা বহু আগেই ফিলিস্তিন দখল করে নিয়ে ভূখণ্ডটিকে মুছে ফেলত, ঠিক যেমনভাবে আমেরিকানরা আদিবাসী জনগণের সাথে করেছিল। আজ আমেরিকার আদিবাসী জনসংখ্যা কেউ মনে রাখে না।"

কুরবানভ আরও বলেন, "ইমাম খোমেনী সেই মহান চিন্তাবিদ যিনি দ্বিধাবিভক্ত বিশ্বে (পশ্চিম ও সমাজতান্ত্রিক দুই ধারা) ইরানের ইসলামি বিপ্লবের মাধ্যমে একটি নতুন ও স্বাধীন পথ তুলে ধরেছিলেন। এই বিপ্লব শুধু রাজনৈতিক পরিবর্তন ছিল না, বরং সমাজ পরিচালনার একটি স্বতন্ত্র ও স্বাধীন দৃষ্টিভঙ্গি এবং আত্মনির্ভরশীল ইসলামী শাসনব্যবস্থা গঠনের দিকনির্দেশনা।"

তিনি বলেন, ইমাম খোমেনী তাঁর জীবদ্দশায় বারবার আন্তর্জাতিক সমাজকে আহ্বান জানিয়েছিলেন যেন তারা দুনিয়ার সাধারণ মানুষের অধিকার লঙ্ঘনকারী জালিম শক্তির বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ায়।

বর্তমান বিশ্বের পরিবর্তনশীল পরিস্থিতি সম্পর্কে কুরবানভ বলেন, "যেসব ব্যবস্থা নিজেদের অপরাজেয় মনে করত— চাইলেই সব দমন করতে পারবে বলে ভাবত— যেমন সমাজতান্ত্রিক বা তথাকথিত স্বাধীনতাবাদী পশ্চিমা ব্যবস্থা, তারা একের পর এক ধ্বসের মুখে পড়ছে। এ এক ঐতিহাসিক প্রক্রিয়া, যা বহু আগেই ইমাম খোমেনী পূর্বাভাস দিয়েছিলেন।"

তিনি বলেন, "ইমাম খোমেনী ছিলেন একজন অত্যন্ত ধার্মিক ব্যক্তি, যিনি তরুণদের ইবাদত, আল্লাহর বিধান শেখা, জ্ঞান অর্জন এবং নিজের দেশ ও বিশ্বাস রক্ষার জন্য প্রস্তুত থাকার আহ্বান জানাতেন। আমরা গর্বিত যে আমরা এমন এক মহান ব্যক্তিত্বের যুগে বসবাস করেছি।"#

পার্সটুডে/এমএআর/৬