মে ১০, ২০২৪ ১৬:২৭ Asia/Dhaka
  • হোসেইন আমির-আব্দুল্লাহিয়ান ও অ্যান্তোনিও গুতেরেস
    হোসেইন আমির-আব্দুল্লাহিয়ান ও অ্যান্তোনিও গুতেরেস

ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির-আব্দুল্লাহিয়ান হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেছেন, দক্ষিণ গাজার রাফা শহরে ইসরাইলের ভয়াবহ সন্ত্রাসবাদ ও গণহত্যা চলতে থাকলে মধ্যপ্রাচ্যে আরেকটি মানবিক বিপর্যয় দেখা দেবে। তিনি জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেসের সঙ্গে এক ফোনালাপে এ সতর্কবাণী উচ্চারণ করেন।

গাজা উপত্যকার অন্যান্য স্থান থেকে ইসরাইলি হামলার ভয়ে রাফায় আশ্রয় নিয়েছেন প্রায় ১৫ লাখ মানুষ। এবার সেই রাফায় স্থল আগ্রাসন শুরু করেছে দখলদার সেনারা।

ফোনালাপে আমির-আব্দুল্লাহিয়ান বলেন, ইহুদিবাদী ইসরাইল রাফায় গণহত্যা শুরু করার পাশাপাশি রাফা ও কারেম আবু সালিম ক্রসিং বন্ধ করে দিয়ে আরেকটি ভয়াবহ মানবিক বিপর্যয় তৈরির ক্ষেত্র সৃষ্টি করেছে।  তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক সমাজ গাজায় যুদ্ধ বন্ধ করার যে চেষ্টা চালাচ্ছে তা ভণ্ডুল করে দিচ্ছে তেল আবিব।

ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, কাতার ও মিশরের প্রস্তাবিত যুদ্ধবিরতি চুক্তি মেনে নেয়ার জন্য আমেরিকার উচিত ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর ওপর চাপ সৃষ্টি করা। তিনি বলেন, কিন্তু তা না করে যদি মার্কিন সরকার রাফায় ইসরাইলকে গণহত্যা চালাতে দেয় তাহলে তেল আবিবের সমর্থকদের পরিণতি ভালো হবে না।

এ সময় জাতিসংঘ মহাসচিব বলেন, গাজা যুদ্ধের শুরু থেকে তার সংস্থা এ যুদ্ধ বন্ধ করার জন্য চেষ্টা চালিয়ে এসেছে। তিনি রাফা অভিযান বন্ধ করার জন্য ইসরাইলের ওপর চাপ সৃষ্টির চেষ্টা করছেন বলে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে জানান।

ইসরাইলি সেনারা মঙ্গলবার রাফায় প্রবেশ করেই মিশরের সঙ্গে গাজার একমাত্র সীমান্ত ক্রসিংটি বন্ধ করে দিয়েছে। গাজার ২৩ লাখ অধিবাসীর বেঁচে থাকার খাদ্য ও জ্বালানি এই ক্রসিং থেকে প্রবেশ করে। ক্রসিংটি খুলে না দিলে গাজাবাসীকে কয়েক দিনের বেশি বাঁচানো সম্ভব হবে না বলে উপত্যকার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে। তবে ইসরাইলি সেনাদের হুমকি ধমকি দেখে মনে হচ্ছে, ক্রসিং খোলা দূরে থাক তারা গাজাবাসীকে সম্মিলিত শাস্তি দেয়ার যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে তা থেকে তারা পিছপা হবে না। #

পার্সটুডে/এমএমআই/এমএআর/১০

বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।

 

ট্যাগ