ইরানকে হুমকি দিয়ে ইউরোপীয় দেশগুলো কোনও লক্ষ্য অর্জন করতে পারবে না: আরাকচি
https://parstoday.ir/bn/news/iran-i151876-ইরানকে_হুমকি_দিয়ে_ইউরোপীয়_দেশগুলো_কোনও_লক্ষ্য_অর্জন_করতে_পারবে_না_আরাকচি
পার্সটুডে-ইসলামী প্রজাতন্ত্র ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী তিউনিসিয়ায় এক সংবাদ সম্মেলনে উল্লেখ করেছেন: ইরানকে হুমকি দিয়ে ইউরোপীয় দেশগুলো কোনও লক্ষ্য অর্জন করবে না।
(last modified 2025-09-11T13:54:49+00:00 )
সেপ্টেম্বর ১১, ২০২৫ ১৭:০০ Asia/Dhaka
  • ইসলামী প্রজাতন্ত্র ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সাইয়্যেদ আব্বাস আরাকচি
    ইসলামী প্রজাতন্ত্র ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সাইয়্যেদ আব্বাস আরাকচি

পার্সটুডে-ইসলামী প্রজাতন্ত্র ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী তিউনিসিয়ায় এক সংবাদ সম্মেলনে উল্লেখ করেছেন: ইরানকে হুমকি দিয়ে ইউরোপীয় দেশগুলো কোনও লক্ষ্য অর্জন করবে না।

তিনি আরও বলেছেন: ইরানের পরমাণু কর্মসূচি সম্পর্কিত বিদ্যমান প্রশ্নগুলো কেবল কূটনীতির মাধ্যমেই সমাধান করা যেতে পারে।

পার্সটুডে আরও জানিয়েছে, ইসলামী প্রজাতন্ত্র ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সাইয়্যেদ আব্বাস আরাকচি তিউনিসিয়ায় এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন: গাজা, পশ্চিম তীরসহ লেবানন, সিরিয়া, ইয়েমেন, ইরান এবং সম্প্রতি কাতারে ফিলিস্তিনি জনগণের বিরুদ্ধে ইহুদিবাদী আক্রমণ এবং আগ্রাসন সম্পর্কে আমরা আলোচনা এবং পর্যালোচনা করেছি। ইহুদিবাদী ইসরাইল এ অঞ্চলের শান্তি ও নিরাপত্তার জন্য সবচেয়ে বড় হুমকি এবং এর মুখোমুখি হওয়ার জন্য এ অঞ্চলে সম্মিলিত সিদ্ধান্তের প্রয়োজন।

তিনি আরও বলেন: ইসলামী প্রজাতন্ত্র ইরানের বিরুদ্ধে ইহুদিবাদী ইসরাইল এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কাপুরুষোচিত আগ্রাসনের নিন্দায় তিউনিসিয়ার অত্যন্ত দৃঢ় অবস্থানের জন্য আমরা তাদের ধন্যবাদ জানাই।

এই আগ্রাসনের নিন্দা এবং ইরানি জনগণের প্রতি সমর্থন ও সংহতি প্রকাশে তিউনিসিয়ার অবস্থান অত্যন্ত স্পষ্ট এবং দৃঢ় ছিল।"

তিউনিসিয়া সফরের সাফল্য সম্পর্কে আরাকচি উল্লেখ করেন: গত বছর শহীদ রায়িসির জানাজায় যোগদানের জন্য এ দেশের রাষ্ট্রপতির ইরান সফর এবং ইসলামী বিপ্লবের নেতার সাথে তার সাক্ষাৎ ছিল দুই দেশের সম্পর্কের ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ মোড়। আজ, আমরা বাণিজ্য, চিকিৎসা, বিজ্ঞান এবং সংস্কৃতির ক্ষেত্রে দু 'দেশের মধ্যে সম্পর্ক সম্প্রসারণের উপায় সম্পর্কে ভালো সিদ্ধান্ত নিয়েছি এবং শীঘ্রই দু'দেশের যৌথ অর্থনৈতিক কমিশন তেহরানে অনুষ্ঠিত হবে বলে একমত হয়েছি।"

আরাকচি তার বক্তৃতার অন্য অংশে আন্তর্জাতিক আণবিক শক্তি সংস্থার সাথে ইরানের চুক্তির পাশাপাশি এ অঞ্চলে ইহুদিবাদী ইসরাইলের উস্কানিমূলক কর্মকাণ্ডের বিশদ ব্যাখ্যা করেন। তিনি বলেন: সংস্থাটি বিভিন্ন দেশের পারমাণবিক অবস্থা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার জন্য একমাত্র আন্তর্জাতিক কর্তৃপক্ষ। সংস্থাটি যদি কোনও দেশের সাথে চুক্তি করে তবে তাদের নিজস্ব প্রযুক্তিগত বিষয়গুলো বিবেচনা করতে হবে। কাজেই যেসব দেশ সর্বদা দাবি করে যে ইরানের উচিত আণবিক শক্তি সংস্থার সাথে সহযোগিতা করা, সেটা আমাদের কাছে অদ্ভুত মনে হয়।

তিনি আরও বলেন: ১২ দিনের যুদ্ধে, ইরানের শান্তিপূর্ণ পারমাণবিক স্থাপনাগুলোতে প্রথমে ইহুদিবাদী ইসরাইল এবং তারপর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র অবৈধভাবে আক্রমণ করেছে। এটা স্বাভাবিক যে পারমাণবিক স্থাপনাগুলোতে আক্রমণ করা হলে আণবিক শক্তি সংস্থার পরিদর্শন আগের মতো করা যায় না, পরিদর্শনের জন্য নতুন ব্যবস্থা প্রয়োজন হয়।

আরাচি স্পষ্ট করে বলেন: সংস্থাটি মেনে নিয়েছে বাস্তব পরিস্থিতি পরিবর্তিত হয়েছে এবং সহযোগিতার জন্য একটি নতুন কাঠামো প্রয়োজন। অতএব, আমরা আণবিক শক্তি সংস্থার সাথে আলোচনা করেছি এবং এই কাঠামো চূড়ান্ত করতে সক্ষম হয়েছি। এখন থেকে ইরান এবং আণবিক শক্তি সংস্থার সহযোগিতা এই কাঠামোর মধ্যেই থাকবে এবং এজেন্সিটিও এই চুক্তিতে সম্পূর্ণ সন্তুষ্ট।# 

পার্সটুডে/এনএম/১১

বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।