ফেব্রুয়ারি ০৪, ২০২০ ১৭:৩৫ Asia/Dhaka
  • রাষ্ট্রদূত গওসোল আজম সরকার
    রাষ্ট্রদূত গওসোল আজম সরকার

ইরানে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত বলেছেন: আমাদের দেশের ব্যবসায়ী ও বিনিয়োগকারীদের জন্য দক্ষিণ পূর্বাঞ্চলীয় ইরানের চবাহার খুবই উপযোগী একটি সমুদ্র বন্দর।

বার্তা সংস্থা ইরনা জানিয়েছে, রাষ্ট্রদূত এএফএম গওসোল আজম সরকার আজ সিস্তান ও বেলুচিস্তান বন্দর ও শিপিংয়ের মহাপরিচালক বেহরোজ অগয়ির সঙ্গে চ'বাহরে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে ওই মন্তব্য করেন। রাষ্ট্রদূত গওসোল আজম সরকার বলেন, বাংলাদেশ এবং ইরানের বিনিয়োগকারী ও ব্যবসায়ীদের মধ্যকার সম্পর্ক ও যোগাযোগ এ অঞ্চলের বাণিজ্যিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলতে পারে। বিশেষ করে মধ্য এশিয়ার সাথে ব্যবসা-বিনিয়োগ সংযোগের জন্য চবাহার একটি উওম গেটওয়ে বলে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মন্তব্য করেন।

চবাহার বন্দর

আজম সরকার আরও বলেন, আঞ্চলিক বিভিন্ন দেশের সঙ্গে বিনিয়োগ ও বাণিজ্যিক সম্পর্ক উন্নয়নের লক্ষ্যে বাংলাদেশ নতুন নতুন বাজার অনুসন্ধান ও যাচাই করে দেখছে। চবাহার বন্দর পরিদর্শনের মাধ্যমে নিশ্চিত হওয়া গেছে যে এখানে উন্নয়নমূলক বহু পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। সুতরাং এই বন্দরে বাংলাদেশি বিনিয়োগকারী ও ব্যবসায়ীদের জন্য চমৎকার সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। ইরানে নিযুক্ত বাংলাদেশি রাষ্ট্রদূত আরও বলেন, চবাহার বন্দর ভৌগোলিক অবস্থানগত দিক থেকে খুবই উপযোগী। কেননা এই বন্দর ইরানের সঙ্গে আফগানিস্তান এবং আঞ্চলিক অন্যান্য দেশের চমৎকার যোগাযোগ স্থাপন করেছে।

চবাহার বন্দর পরিদর্শনে আজম সরকার

দ্বিপক্ষীয় ওই বৈঠকে চবাহার বাণিজ্য চুক্তির আওতায় ইরান-ভারত-আফগানিস্তানের মধ্যে বাণিজ্যিক কাঠামো গড়ে ওঠার পাশাপাশি ত্রিদেশিয় বাণিজ্যে ব্যয় হ্রাসের ক্ষেত্রে এই চুক্তির প্রভাবের প্রতি ইঙ্গিত করে মি. অগয়ি বলেন, ওই চুক্তিপত্রে অন্যান্য দেশেরও অন্তর্ভুক্তির সুযোগ রয়েছে। সিস্তান ও বেলুচিস্তান বন্দর ও শিপিংয়ের মহাপরিচালক আরও বলেন, চবাহার বন্দরটিতে পণ্য পরিবহন ও বিনিময় সম্পর্কিত কোনও বিধিনিষেধ নেই এবং কম খরচ ও কম সময়ে বাংলাদেশের পণ্য পরিবহণে এই বন্দর ভূমিকা রাখতে পারে।#

পার্সটুডে/নাসির মাহমুদ/৪

বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।

 

ট্যাগ