যুক্তরাষ্ট্রে বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে দমন অভিযান বন্ধ করতে বললো ইরান
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে দমন অভিযান বন্ধ ও গণমাধ্যমের ওপর সীমাবদ্ধতা প্রত্যাহারের আহ্বান জানিয়েছে ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরান।
ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় টুইটার পেইজে দেওয়া এক বিবৃতিতে বলেছে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে চলমান বিক্ষোভে যেভাবে দমন অভিযান চালানো হচ্ছে তা গ্রহণযোগ্য নয়। একইসঙ্গে দেশটির গণমাধ্যমের উপর সীমাবদ্ধতা আরোপ করা হয়েছে। ইরান এসব তৎপরতা বন্ধের আহ্বান জানাচ্ছে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আরও বলেছে, মার্কিন সরকারকে প্রতিবাদী মানুষের কথা শুনতে হবে এবং তাদের দাবি-দাওয়া গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করতে হবে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের টুইটার পেইজে মার্কিন কৃষ্ণাঙ্গ নাগরিক ফ্লয়েডের নির্মম হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে গভীর দুঃখ প্রকাশ ও নিন্দা জানানো হয়েছে। পাশাপাশি বলা হয়েছে, তেহরান আমেরিকায় ধ্বংসাত্মক বর্ণ ও জাতিগত বৈষম্যের তীব্র নিন্দা জানানোর পাশাপাশি হত্যাকাণ্ডের উপযুক্ত বিচার প্রত্যাশা করছে।
৪৬ বছর বয়স্ক জর্জ ফ্লয়েডকে ২৫ মে সন্ধ্যায় প্রতারণার অভিযোগে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। গ্রেপ্তারের কিছুক্ষণ পর একজন পুলিশ অফিসার হাঁটু দিয়ে তাঁর গলা চেপে ধরলে কিছুক্ষণের মধ্যে তিনি মারা যান।
ফ্লয়েড মিনোপোলিস শহরের একটি রেস্তোরাঁয় নিরাপত্তাকর্মী হিসাবে কাজ করতেন। এ ঘটনায় একজন প্রত্যক্ষদর্শীর ধারণ করা ১০ মিনিটের একটি ভিডিও ফুটেজ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে করোনা উপেক্ষা করে প্রতিবাদে সরব হন শত শত মানুষ। এরপর থেকেই বিভিন্ন শহরে বিক্ষোভ চলছে। বিক্ষোভের সময় মিনোপোলিসে গুলিতে আরও এক কৃষ্ণাজ্ঞ নিহত হওয়ায় পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। বিক্ষোভকারীরা মার্কিন পতাকাতেও আগুন দিয়েছে।
এরইমধ্যে বিক্ষোভকারীদের দেওয়া আগুনে মিনোপোলিস শহরের প্রধান থানা পুড়ে গেছে। সহিংস বিক্ষোভকারীদের সরিয়ে দিতে পুলিশ কাঁদানে গ্যাসের শেল ছোড়ে।
জর্জ ফ্লয়েড হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে চলমান বিক্ষোভে কৃষ্ণাঙ্গ নাগরিকদের পাশাপাশি বিবেকবান শেতাঙ্গদেরও দেখা যাচ্ছে। ম্যাপিং পুলিশ ভায়োলেন্স নামের বেসরকারি সংস্থার চালানো জরিপে উঠে এসেছে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে পুলিশের গুলিতে শ্বেতাঙ্গদের তুলনায় তিনগুণ বেশি মারা যায় কৃষ্ণাঙ্গরা।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসের শুরু থেকেই কৃষ্ণাঙ্গরা নানাভাবে নির্যাতিত হয়ে আসছে।#
পার্সটুডে/সোহেল আহম্মেদ/৩০
বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।