অক্টোবর ২৪, ২০২০ ১৪:৪৮ Asia/Dhaka
  • 'বায়তুল মোকাদ্দাস অভিযানে ইরানের অর্জন নিয়ে আলোচনা খুব ভালো লেগেছে'

আমার অনেক অনেক প্রীতি ও শুভেচ্ছা জানবেন। পারিবারিক কারণে গত দু’সপ্তাহ বেশ ব্যস্ত ছিলাম বলে চিঠি লেখা সম্ভব হয়ে উঠেনি। ব্যস্ত থাকলেও অনুষ্ঠান ঠিকই শুনেছি, শুধু চিঠি লেখার ব্যত্যয় ঘটেছে। এখনো ব্যস্ততা শেষ হয়নি। তবু আজ (১০.১০.২০২০, শনিবার) অনুষ্ঠান শুনে চিঠি না লিখে থাকতে পারলাম না।

আজ রেডিও তেহরান বাংলা বিভাগ থেকে যেসব অনুষ্ঠান প্রচারিত হয় তারমধ্যে দৃষ্টিপাত, ইরান ভ্রমণ, কথাবার্তা ও ইরান-ইরাক যুদ্ধের ইতিহাস আমার খুবই ভালো লেগেছে।

দৃষ্টিপাতে বাংলাদেশের ঢাকায় শুধু মহিলাদের থাকার হোটেল চালুর বিষয়ে প্রতিবেদনটি দারুণ ভালো লেগেছে। এখন থেকে কোন মেয়ে একা ঢাকায় গেলে তার আর থাকার সমস্যায় পড়তে হবে না। এরপর ইরান ভ্রমণে সজদে বা সহজদে মোহন বাগিচা সম্পর্কে সুন্দর বিবর দেয়া হয়, যা শুনে সেই বাগিচায় ভ্রমণের আগ্রহ জন্মায়।

আর কথাবার্তায় বাংলাদেশের উপ-নির্বাচন নিয়ে সিরাজুল ইসলামের বিশ্লেষণ ছিল যৌক্তিক ও তথবহুল। তাঁর কথা থেকে এদেশের নির্বাচন ব্যবস্থার একটি চিত্র ফুটে উঠেছে, ফুটে উঠেছে এদেশর জনগণের অক্ষমতার চিত্রও।

আজ অনুষ্ঠানের শেষ প্রান্তিকে ছিল ইরান-ইরাক যুদ্ধের ইতিহাস। উক্ত অনুষ্ঠানের উপস্থাপনায় ছিলেন আকতার জাহান ও রেজওয়ান হোসেন। তাঁদের সাবলীল উপস্থাপনায় দারুণ উপভোগ্য ছিল আজকের অনুষ্ঠানটি। আজকের ইরান-ইরাক যুদ্ধের ইতিহাসে বায়তুল মোকাদ্দাস অভিযানের রাজনৈতিক অর্জন নিয়ে আলোচনা করা হয়। এ অনুষ্ঠান থেকে জানতে পারি যে, ইরান-ইরাক যুদ্ধে বায়তুল মোকাদ্দাসের চেয়ে বড় কোনো অভিযান পরিচালিত হয়নি। ইরানের এ বিজয়ে ইরাক হতবিহ্বল ও কিংকর্তব্যবিমুঢ় হয়ে পড়ে।

উল্লেখ্য, এ বিজয়ের মূল কারণ ছিল স্বেচ্ছাসেবকদের জিহাদের মনোভাব। ফলে যুদ্ধাস্ত্র সীমিত থাকলেও লড়াই করার মত সৈনিকের অভাব ছিল না ইরানের। কয়েক ঘণ্টার মধ্যে অস্থায়ী সেতু নির্মা এ যুদ্ধে জয়লাভের ক্ষেত্রে বড় নিয়ামক হিসেবে কাজ করেছে। সামরিক সিদ্ধান্তের ক্ষেত্রে এটি ইরানের বিশেষ দক্ষতা ও কৌশলের সামর্থ্যের প্রমা দেয়। এছাড়া হাজার হাজার সেনা পাঁয়ে হেটে শত্রুবাহিনীর কাছে পৌঁছে ইরাকি বাহিনীকে আক্রমণ করা হয়। এ থেকে ইরানিদের দেশপ্রেমের উজ্জ্বল দৃষ্টান্তের দেখা মেলে। 

এ যুদ্ধে অর্থাৎ বায়তুল মোকাদ্দাস অভিযানে প্রায় ১৬ হাজার ইরাকি সেনা হতাহত ও প্রায় ১৯ হাজার ইরাকি সেনা বন্দী হয়। এছাড়া ইরানেরও প্রায় ৬ হাজার যোদ্ধা শহীদ হয়। অনেক ক্ষয়ক্ষতি হলেও এ বিজয়ের পর দেশে ও আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে ইরানের বিষয়ে ইতিবাচক মনোভাবের সৃষ্টি হয়। দেশের অভ্যন্তরে স্থিতিশীলতা বজায় থাকে আর আন্তর্জাতিক মহল ইরানকে সমীহ করতে শুরু করে। তাই বলা হয়, এ বিজয় ইরানে সুদূরপ্রসারী প্রভাব ফেলে।

সবশেষে আবারো বলতে চাই, ইরান-ইরাক যুদ্ধের ইতিহাস অনুষ্ঠানে বায়তুল মোকাদ্দাস অভিযানে ইরানের সাফল্যের রাজনৈতিক অর্জন নিয়ে যে আলোচনা হয়, তা আমার খুব ভালো লেগেছে।           

 

শরিফা আক্তার পান্না

ছায়াপ্রস্থ, ২০৬/১ খড়ম পট্টি

কিশোরগঞ্জ-২৩০০, বাংলাদেশ।

 

পার্সটুডে/আশরাফুর রহমান/২৪

বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।

 

বাংলাদেশ।

 

ট্যাগ