শক্ররা ইরানি জাতির অগ্রগতিকে রোধ করে দিতে চায়: আলী বাকেরি
(last modified Sun, 29 Nov 2020 13:03:41 GMT )
নভেম্বর ২৯, ২০২০ ১৯:০৩ Asia/Dhaka

ইরানের বিচার বিভাগের মানবাধিকার সংস্থার সেক্রেটারি বলেছেন, ওবামার যুগ থেকে ইরানি জাতির বিরুদ্ধে সর্বাধিক চাপ প্রয়োগের নীতি শুরু হয়।

আর এ নীতির কারণে তারা ইরানের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা দিয়ে যাচ্ছে এবং পরমাণু বিজ্ঞানীকে হত্যা করে যাচ্ছে। যা একই মুদ্রার এপিট-ওপিট বলা চলে।

আজ (শনিবার) একান্ত এক সাক্ষাত্কারে আলী বাকেরি কানী শহীদ মহসেন ফখরিজাদেহের হত্যা সম্পর্কে বলেন, এই অপরাধটি ট্রাম্পের সর্বোচ্চ চাপের নীতির সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ, যা ইরানি জনগণের উপর জোরপূর্বক চাপানো হয়েছে।

আলী বাকেরি কানী বলেন, তাদের এই নীতিমালা দু’টি শাখায় বিভক্ত। ওবামা যে নিষেধাজ্ঞাগুলি দেয়া শুরু করেছিল তা ইরানী জনগণের মৌলিক চাহিদা সম্পর্কিত ছিল। আর ট্রাম্পের যুগে সে নিষেধাজ্ঞাগুলি আরো বৃদ্ধি পেয়েছে। এমনকি চিকিৎসা সরঞ্জাম ও ওষুধ সরবরাহর উপরও নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে।

আলী বাকেরি কানী আরো বলেন, তাদের নীতিমালার দ্বিতীয় শাখা হলো হত্যাকাণ্ড, যা ওবামার সময় থেকে শুরু হয়েছে এবং এটা ট্রাম্পের যুগের সাথে সম্পর্কিত নয়। ওবামার সময়েই আমরা ৫ জন পরমাণু বিজ্ঞানীকে হারিয়েছি।

আলী বাকেরি কানী আরো বলেন, শহীদ মহসেন ফখরিজাদেহকে হুবহু ঠিক একই নীতিতেই হত্যা করা হয়েছে। তাদের হত্যাকাণ্ড এবং নিষেধাজ্ঞাগুলি সবই একই লক্ষ্যে করা হয়। তারা ইরানী জাতির অগ্রগতি ব্যাহত ও রোধ করে দিতে চায়।

আলী বাকেরি কানী আরো বলেছেন, তাদের এ জাতীয় অপরাধ সর্বদা ইরানি জাতীকে সচেতনতা বৃদ্ধি করে দেয় এবং জনগণকে জানিয়ে দেয় যে, ইরানের অগ্রগতিই ইরানের শত্রুদের অন্যতম শক্রতার কারণ।

তিনি বলেন, ইসলামী প্রজাতন্ত্রের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির শহীদরা ইসলামী প্রজাতন্ত্রকে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে বিশ্বের কাছে পরিচয় করাতে চায়। তারা ইরানের জনগণের কল্যাণ নিশ্চিত করা ছাড়া অন্য কোন লক্ষ্যে কাজ করেন না।

তিনি আরও বলেন, আন্তর্জাতিকভাবে শহীদ মহসেন ফখরিজাদেহ হত্যার তীব্র নিন্দা জানানো উচিত এবং এই অপরাধগুলি যাতে আর না হয় সেদিকেও কড়া নজর দেওয়া উচিত। #

পার্সটুডে/মো.আবুসাঈদ/২৯

বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।

ট্যাগ