শ্রোতাদের মতামত
'বাংলা ভাষাভাষী শ্রোতাদের মন জয় করতে সক্ষম হয়েছে রেডিও তেহরান'
সুপ্রিয় মহোদয়। আসসালামু আলাইকুম। ডিসেম্বরের শেষ লগ্নে শীতের শিশির ভেজা কুয়াশায় আচ্ছন্ন গ্রাম-বাংলার প্রকৃতির হিম শীতল পরিবেশ থেকে রেডিও তেহরানের বাংলা বিভাগের সকলের প্রতি রইল খ্রিষ্টীয় নববর্ষ ২০২২ সালের একরাশ প্রাণঢালা প্রীতি আর শুভেচ্ছা। ২০২২ সাল সবার জন্য বয়ে আনুক অনাবিল সুখ আর সমৃদ্ধি এ কামনায় শুরু করছি আজকের পত্র লিখা।
আমি রেডিও তেহরানের বাংলা অনুষ্ঠানের একজন নিয়মিত শ্রোতা। নিয়মিত অনুষ্ঠান শোনার পাশাপশি মাঝেমধ্যে আমার প্রিয় অনুষ্ঠান প্রিয়জনের নিকট ইমেইল পাঠিয়ে থাকি। ডিসেম্বর মাসে অনেক ব্যস্ততার কারণে পত্র লিখার সময় করে উঠতে পারিনি। ব্যস্ততার মাঝেও আজ তাই ২০২১ সালের শেষ পত্রটি লিখতে বসলাম। কী লিখতে ভেবে উঠতে পারছি না। সময় বাড়ানোর পরেও রেডিও তেহরানের ৪০ বছর পূর্তি উপলক্ষে প্রকাশিত্য স্মরণিকার জন্য এখনও কোনো লিখা পাঠাতে পারিনি। জানি না ম্যাগাজিনে লেখার সুযোগ হয়ে উঠবে কিনা।
রেডিও তেহরানের বাংলা অনুষ্ঠান শ্রোতাদের বস্তুনিষ্ঠ মতামত প্রকাশের এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত সৃষ্টি করে চলেছে। যা পারস্য উপসাগর থেকে শুরু করে বঙ্গোপসাগর হয়ে সারা বিশ্বের বাংলা ভাষাভাষী শ্রোতাদের মন জয় করতে সক্ষম হয়েছে। বস্তুনিষ্ঠ ও নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, সংবাদ ভাষ্যের অনুষ্ঠান দৃষ্টিপাত, এবং পত্রপত্রিকার পাতার অনুষ্ঠান কথাবার্তার মাধ্যমে সংবাদপিয়াসু হাজারও শ্রোতার মনের খোরাক অত্যন্ত আন্তরিকতা ও দক্ষতার সাথে জুগিয়ে চলেছে রেডিও তেহরান; যা আমাদের মুগ্ধ করে।
রংধনু আসর রেডিও তেহরানের সকল শ্রোতার কাছেই খুব প্রিয় অনুষ্ঠান বলে আমি মনে করি। রংধনু আসর যদিও কচি-কাঁচা শ্রোতাদের উপযোগী করে তৈরি করা হয় তারপরও সব বয়সী শ্রোতার জন্য এখানে অনেক শেখার বিষয় রয়েছে। শিশু-কিশোরদের অনুপ্রাণিত করার জন্য রংধনু আসর থেকে ১৮ বছরের নিচের শ্রোতাদের জন্য সাপ্তাহিক কুইজ প্রতিযোগিতার আয়োজন করার প্রস্তাব রাখছি। আশা করি রেডিও তেহরান আমার এ প্রস্তাবটি বিবেচনায় নিয়ে নতুন বছর ২০২২ সালে তা বাস্তবায়ন করার চেষ্টা করবে।
২০২১ সাল প্রায় শেষ হতে চলেছে। তাই বছরের শেষ দিন ৩১ ডিসেম্বর ২০২১ এ বছরের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলোর উপর ভিত্তি করে কোনো বিশেষ অনুষ্ঠান প্রচারের অনুরোধ রাখছি।
পরিশেষে নতুন বছরের দিনগুলো বিশ্ব শান্তির বার্তা নিয়ে রেডিও তেহরানের শ্রোতাদের মাঝে হাজির হোক এ কামনায় আজকের মত শেষ করছি। খোদা হাফেজ।
ধন্যবাদান্তে,
মুহাম্মদ আব্দুল হাকিম মিঞা
গ্রাম: ছোট জামবাড়িয়া, ডাকঘর: বড়গাছীহাট,
উপজেলা: ভোলাহাট, জেলা: চাঁপাই নবাবগঞ্জ, বাংলাদেশ।
পার্সটুডে/আশরাফুর রহমান/২৭
বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।