নভেম্বর ১৪, ২০২১ ১৯:০৯ Asia/Dhaka
  • সিরিয়ায় মার্কিন সেনা
    সিরিয়ায় মার্কিন সেনা

মার্কিন দৈনিক নিউইয়র্ক টাইমস এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, মার্কিন সেনারা সিরিয়ায় উগ্র তাকফিরি সন্ত্রাসী গোষ্ঠী দায়েশ বা আইএস জঙ্গিদের ওপর হামলার অজুহাতে বহুসংখ্যক বেসামরিক মানুষ হত্যা করেছিল। কথিত আস্তানায় হামলার অজুহাতে ২০১৯ সালে মার্কিন বাহিনী পরপর দুই দফা বিমান হামলা চালিয়ে ৬৪ জন নারী ও শিশুকে হত্যা করেছিল যা এতোদিন মার্কিন কর্তৃপক্ষ বিষটি গোপন রাখে।

মার্কিন সেনারা ২০১৯ সালের১৮ মার্চ যেখানে হামলা চালিয়ে ওই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছি সেখানে একজন আইনজীবী উপস্থিত ছিলেন। তিনি এটাকে যুদ্ধাপরাধ হিসেবে অভিহিত করে এর পরিণতির ব্যাপারে মার্কিন প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়কে সতর্ক করে দিয়েছিলেন। যদিও তার এ সতর্কতার পরও কোনো পদক্ষেপ নেয়া হয়নি।

মার্কিন প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের তদন্ত কমিটি গত ১৮ মার্চ ওই হত্যাকাণ্ডের ব্যাপারে তদন্ত শুরু করেন কিন্তু তাদের রিপোর্টে মার্কিন বিমান হামলার বিষয়ে কিছু উল্লেখ করা হয়নি এবং বলা যায় পরিপূর্ণ ও স্বাধীন কোনো তদন্ত তারা চালায়নি। শেষ পর্যন্ত মার্কিন সেনারাও তাদের অপরাধযজ্ঞের বিষয়টি যেন বেমালুম ভুলে যায়। বর্তমানে দৈনিক নিউইয়র্ক টাইমস সিরিয়ায় দায়েশ বা আইএস জঙ্গিদের আস্তানা গুড়িয়ে দেয়ার নামে ওই মার্কিন হত্যাকাণ্ডের ব্যাপারে অনেক নতুন তথ্য ফাঁস করেছে।

মার্কিন নেতৃত্বে আইএস বিরোধী কথিত আন্তর্জাতিক জোট জঙ্গি দমনের অজুহাতে ২০১৪ সাল থেকে সিরিয়ার বিভিন্ন স্থানে হামলা চালানো শুরু করে। এসব হামলায় বহু বেসামরিক মানুষ হতাহত হয়েছে। জাতিসংঘের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে সিরিয়ায় মার্কিন নেতৃত্বে কথিত আন্তর্জাতিক সামরিক জোটের হামলা যুদ্ধাপরাধের শামিল। সিরিয়ার খ্যাতনামা লেখক গাসান রামেজান ইউসুফ তথ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে মার্কিন যুদ্ধাপরাধের কথা উল্লেখ করে বলেছেন, তারা সেখানে মানবতা বিরোধী অপরাধ করেছে।

এ অবস্থায় মার্কিন সেনাদের ওই হত্যাকাণ্ড যদি যুদ্ধাপরাধ হয় তাহলে কেন তারা এ ব্যাপারে কোনো জবাবদিহিতা করছে না কিংবা কেনইবা তারা বিষয়টিকে উপেক্ষা করে চলেছে সেটাই এখন প্রশ্ন। অতীত অভিজ্ঞতার আলোকে বলা যায় মার্কিন সেনারা যেখানেই বিমান হামলা চালিয়েছে সেখানে সতর্কতার ধার ধারেনি এবং এলোপাথাড়ি বোমা বর্ষণ করেছে। এর পরিণতিতে বহু বেসামরিক মানুষজন  মারা গেছে। ধারণা করা হচ্ছে, যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্রদের সাধারণ মানুষের জানমালের কোনো মূল্য নেই এবং এটাই যুদ্ধাপরাধ। এ কারণে সিরিয়ার সরকার সেদেশে মার্কিন আগ্রাসন বন্ধে পদক্ষেপ নেয়ার জন্য বহুবার জাতিসংঘ ও নিরাপত্তা পরিষদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে। কেননা দায়েশ বা আইএস জঙ্গি বিরোধী অভিযানে কেবলই বেসামরিক মানুষজন মারা যাচ্ছে এবং সাধারণ মানুষ দুর্ভোগের স্বীকার হচ্ছে।#                

পার্সটুডে /রেজওয়ান হোসেন/১৪

বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।

ট্যাগ