ডিসেম্বর ০৯, ২০২৩ ১৪:৩৯ Asia/Dhaka

অবৈধভাবে প্রতিষ্ঠিত ইসরাইল থেকে ইহুদি অভিবাসীদের পলায়নের ঘটনা যদিও অনেক আগে থেকে শুরু হয়েছিল কিন্তু সম্প্রতি গাজা যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর ইহুদিদের ইসরাইল ত্যাগের ঘটনা বহুগুণে বেড়ে গেছে।

গাজা উপত্যকার বিরুদ্ধে ইসরাইলি আগ্রাসনের ৬৩ দিন পেরিয়ে গেছে। অন্যদিকে হামাসও পাল্টা প্রতিক্রিয়া দেখানোয় চরম নিরাপত্তাহীনতার কারণে অবৈধ ইহুদি অভিবাসীদের ইসরাইল ত্যাগের হিড়িক পড়ে গেছে। ইসরাইলের গণমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, হামাসের আল-আকসা তুফান অভিযান শুরুর পর দখলীকৃত এলাকা ছেড়ে যাওয়া ইহুদিদের সংখ্যা পাঁচ লাখে পৌঁছেছে। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে যারা ইসরাইল ছেড়ে চলে গেছে তারা কেউ আর ফিরে আসেনি। পর্তুগালের অভিবাসন দফতর জানিয়েছে, এই বছরের শুরু থেকে এ পর্যন্ত ২১ হাজার ইসরাইলি পর্তুগালের নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করেছে। পর্তুগালে বিদেশে অভিবাসন প্রত্যাশীদের মধ্যে এক নম্বর অবস্থানে রয়েছে ইসরাইলিরা।

আল-আকসা তুফান অভিযান শুরু হওয়ার আগে, ইহুদিদের ইসরাইল ত্যাগের মূল কারণ ছিল অর্থনৈতিক সমস্যা এবং বিরাজমান বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ, কিন্তু সম্প্রতি গাজা যুদ্ধ শুরুর পর চরম নিরাপত্তাহীনতার বিষয়টি তাদের পলায়নের অন্যতম কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিশেষ করে যুদ্ধের ফলে বেকারত্ব বেড়ে যাওয়ায় ইসরাইলিদের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে। ইসরাইলের অর্থনৈতিক অবস্থার এতটাই অবনতি হয়েছে যে অধিকৃত অঞ্চলে বেকার মানুষের সংখ্যা প্রায় দশ লাখে পৌঁছেছে। কিছু দিন আগে ইসরাইলের শ্রম-মন্ত্রণালয় জানিয়েছিল যে আল-আকসা তুফান অভিযান শুরুর ২৬ দিনের মাথায় সাত লাখ ৬০ ইসরাইলি বেকার হয়ে পড়েছে এবং এ সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে।

বর্তমানে অর্থনৈতিক সংকটের সাথে ফিলিস্তিনিদের রকেট ও ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে নিরাপত্তাহীনতার বিষয়টিও যুক্ত হওয়ায় ইসরাইলিরা অন্যত্র চলে যেতে আরো বেশি উদগ্রীব হয়ে আছে। ইসরাইলি নাগরিকরা যে শব্দগুলো গুগলে সবচেয়ে বেশি সার্চ করে তা হলো "ইসরাইল থেকে প্রস্থান করা" এবং এর সাথে সম্পর্কিত উপায়গুলোর অনুসন্ধান করছে তারা। আরেকটি বিষয় হচ্ছে, অভিবাসনের পাশাপাশি এসব ইহুদি অভিবাসীরা অন্য দেশের নাগরিকত্বও পেতে চায়। এ অবস্থায় এসব ইসরাইলি নাগরিকদের অন্য দেশের নাগরিকত্ব ও পাসপোর্ট পাওয়া তাদের জন্য বিরাট দুশ্চিন্তার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। এসব ইহুদি অভিবাসীরা তাদের গন্তব্য হিসাবে ইউরোপীয় দেশগুলোকে অগ্রাধিকার দিচ্ছে।

ইসরাইলের এক পরিসংখ্যান থেকে বলা হয়েছে ইউরোপীয় দেশগুলোর মধ্যে পর্তুগাল, জার্মানি ও পোল্যান্ডের নাগরিকত্ব পেতে ইসরাইলিরা সবচেয়ে বেশি চেষ্টা করছে। তেল আবিবে অবস্থিত ইউরোপীয় ইউনিয়নের দফতর স্বীকার করেছে যে, ইসরাইলি নাগরিকদের ইউরোপের দেশগুলোতে অভিবাসনের প্রবণতা সবচেয়ে বেশি।

পার্সটুডে/রেজওয়ান হোসেন/৯

বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।

 

ট্যাগ