মিথ্যা বলো ও হুমকি দাও!
ইসরাইলি প্রচারণার নিন্দায় কয়েকটি বাছাই করা টুইট
সামাজিক মাধ্যম এক্স (সাবেক টুইটার) ব্যবহারকারী এক ব্যক্তি ইসরাইল ও ইহুদিবাদীদের প্রচারণার পদ্ধতি বর্ণনা করেছেন এভাবে:
যখন বেসামরিক ফিলিস্তিনি নাগরিকদের ওপর চালানো গণহত্যার ব্যাপারে তদন্ত চালানো কিংবা স্বীকারোক্তি দেয়ার জন্য তাদের ওপর চাপ সৃষ্টি করা হয় তখন তারা বলে, আমরা বিষয়টি তদন্ত করে দেখছি। কিন্তু পরবর্তীতে চাপ কমে গেলে ইসরাইলি রাজনীতিবিদদের পাশাপাশি গণমাধ্যমগুলো নতুন করে আবার সংকট তৈরি ও অপরাধযজ্ঞে মেতে ওঠে; ফলে সে তদন্ত আর কখনও করা হয় না।
প্রতারণা, ভয়-ভীতি প্রদর্শন ও প্ররোচনা সৃষ্টির ক্ষেত্রে প্রচারণাকে বর্তমান সময়ে গণমাধ্যমগুলো অন্যতম কৌশল হিসেবে ব্যবহার করে। সামাজিক মাধ্যম এক্স ব্যবহারকারীদের অনেকে তাদের টুইটে ফিলিস্তিনি জনগণের পাশাপাশি বিশ্ববাসীকে ধোঁকা দেয়ার জন্য ইসরাইলিদের প্রচারণা সম্পর্কে যেসব মন্তব্য করেছেন আজকের এ আলোচনায় আমরা তার কয়েকটি এক নজরে দেখে নেব:
১- ইসরাইলি প্রচারণার প্রতি মার্কিন সমর্থন
গণমাধ্যম কর্মী এস. এল. কান্থান এক টুইটে ইসরাইলি প্রচারণার প্রতি মার্কিন সমর্থনের কথা তুলে ধরেছেন।
তিনি লিখেছেন:
আপনি যদি ‘নদী থেকে সাগর পর্যন্ত’ এ ধরনের বাক্য ব্যবহার করেন কিংবা ফিলিস্তিনি রুমাল ব্যবহার করেন তাহলে আপনি সন্ত্রাসী!
এটি ইসরাইলি প্রচারণা ও প্রপাগান্ডার একটি নমুনা যা আমেরিকার আইন প্রয়োগাকারীদের কাবু করে ফেলেছে।
২- প্রচারণার ঝড় তোলার জন্য ইসরাইল কর্তৃক সাংস্কৃতিক স্মৃতির অপব্যবহার
সামাজিক মাধ্যম এক্স ব্যবহারকারী জুলিয়া প্রচারণার ঝড় তোলার জন্য ইসরাইল কর্তৃক সাংস্কৃতিক স্মৃতির অপব্যবহারের প্রতি ইঙ্গিত করেছেন।
জুলিয়া লিখেছেন:
আমি সবাইকে ইহুদি লেখক ইয়ান লস্টিকের ‘দ্যা লস্ট প্যারাডাইম’ শীর্ষক বইটি পড়ে দেখার অনুরোধ করব। তিনি তার বইয়ের একটি অধ্যায়ের নাম দিয়েছেন ‘হোলোকাস্টিয়া’। ওই অধ্যায়ে তিনি দেখিয়েছেন যে, ইসরাইল সরকার কীভাবে ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে নিজের যুদ্ধ ও প্রচারণার কাজে হোলোকাস্টের ঘটনার মানসিক ক্ষতি ও সাংস্কৃতিক স্মৃতির অপব্যবহার করে।
৩- ফিলিস্তিনি ইন্তিফাদা সম্পর্কে ইসরাইলের মিথ্যাচার
উমর আল-ফারেস নামক একজন ইউজার ফিলিস্তিনি ইন্তিফাদা সম্পর্কে ইসরাইলের মিথ্যাচারের কথা বর্ণনা করেছেন:
তিনি লিখেছেন:
পিয়ের মরগ্যান, আপনি দয়া করে আমাদেরকে বলুন...
ইসরাইলি প্রচারণায় ইন্তিফাদা শব্দটিকে যেভাবে ব্যবহার করা হয় অর্থাৎ ‘খুঁজে খুঁজে ইহুদি হত্যা করো’, আসলে বিষয়টি সেরকমটি নয়; বরং আরবি ভাষায় ইন্তিফাদার অর্থ ‘ঝাকি দেয়া’। এখানে ইহুদিবাদীদের দখলদারিত্বের বিরুদ্ধে ফিলিস্তিনিদের গণজাগরণের কথা বলা হচ্ছে। ১৯৮৭ সালের প্রথম ইন্তিফাদা যেমনটি ফিলিস্তিনিদের পক্ষ থেকে শান্তিপূর্ণভাবে পালিত হয়েছিল, কিন্তু ইসরাইল নৃশংস উপায়ে তা দমন করে।
৪- ইসরাইল সরকারের প্রচারণার কৌশলগত পরাজয়
সামাজিক মাধ্যম এক্স এর অন্যতম ব্যবহারকারী ড্যামিয়ান রিকার্ডো তার এক টুইটে বলেছেন, ইসরাইল সরকারের প্রচারণা ও ধূর্তামি ক্রমেই ব্যর্থ হতে চলেছে।
তিনি লিখেছেন:
আসা উইন্সটেনলি বলেছেন, বিশ্বব্যাপী ইহুদিবাদী ইসরাইলের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ আন্দোলনের ব্যাপকতা প্রমাণ করে, ইসরাইল সরকারের প্রচারণা ও ধূর্তামি ক্রমেই ব্যর্থ হতে চলেছে।
৫- ইসরাইলি প্রচারণার ফলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে গণতন্ত্রের অবনমন
মার্কিন ইউজার সিগমা মিন্ডসেট ইসরাইলি প্রচারণার ফলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে গণতন্ত্রের অবনমন সম্পর্কে কথা বলেছেন।
তিনি লিখেছেন:
নিউ ইয়র্কের পুলিশ কি এখন ইসরাইলের প্রচারণা যুদ্ধের পক্ষে কাজ করছে? আমরা মনে হচ্ছে আমরা এখন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে গণতন্ত্রের অধঃপতন দেখতে পাচ্ছি।
#
পার্সটুডে/এমএমআই/৭
বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।