ইরানি শিশু-কিশোরদের কণ্ঠে ঈদে গাদিরের গান
দশম হিজরির ১৮ জিলহজ বিদায় হজ শেষে সুরা মায়েদার ৬৭ নম্বর আয়াত নাজিল হওয়ার পর বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মাদ (সা.) তাঁর চাচাতো ভাই ও জামাতা আমিরুল মুমিনিন হযরত আলী (আ.)-কে ‘গাদীর’ নামক স্থানে নিজের উত্তরসূরি বা স্থলাভিষিক্ত বলে ঘোষণা করেছিলেন। এই দিনটি ঐতিহাসিক গাদির দিবস বা ঈদে গাদির হিসেবে খ্যাত। প্রতি বছর ১৮ জিলহজ ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানসহ সারা বিশ্বের নানা অঞ্চলে পালিত হয় এই বিশেষ ঈদ উৎসব।
ঐতিহাসিক ওই দিনে বিশ্বনবী (সা.) নিজের স্থলাভিষিক্ত হিসেবে আলী (আ.)'র মাথায় নিজের হাতে তাঁর একটি পবিত্র পাগড়ী পরিয়ে দিয়েছিলেন। তিনি গাদিরে খুমে তিন দিন অবস্থান করেছিলেন। এই তিন দিন ধরে শীর্ষস্থানীয় সব সাহাবিগণসহ সব মুসলিম নারী-পুরুষ পৃথকভাবে হযরত আলী (আ.)-কে আমিরুল মুমিনিন হিসেবে অভিনন্দন জানিয়েছিলেন।
বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মাদ (সা)'র পবিত্র আহলে বাইতের সদস্য ইমাম জাফর আস-সাদিক (আ.) বলেছেন, মুসলমানদের একটি ঈদ আছে যার মর্যাদা অন্য সব ঈদের চেয়েও বেশি। আর তা হচ্ছে ঐ দিন যে দিন মহানবী (সা) হযরত আমিরুল মু'মিনিন আলী (আ)-কে খিলাফতে অধিষ্ঠিত করেন এবং বলেন, 'আমি যার মওলা ও নেতা আলী তাঁর মওলা ও নেতা।' (দ্র: মাফাতীহুল জিনান, পৃঃ ৫০২)।#
পার্সটুডে/এআর/৮
বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।