মে ০৪, ২০২৩ ১৬:০৪ Asia/Dhaka

সুপ্রিয় পাঠক/শ্রোতাবন্ধুরা! আজ ৪ মে বৃহষ্পতিবারের কথাবার্তার আসরে সবাইকে স্বাগত জানাচ্ছি আমি গাজী আবদুর রশীদ। আশা করছি আপনারা প্রত্যেকে ভালো আছেন। আসরের শুরুতে ঢাকা ও কোলকাতার গুরুত্বপূর্ণ বাংলা দৈনিকগুলোর বিশেষ বিশেষ খবরের শিরোনাম তুলে ধরছি। এরপর গুরুত্বপূর্ণ দুটি খবরের বিশ্লেষণে যাবো। বিশ্লেষণ করবেন সহকর্মী সিরাজুল ইসলাম।

বাংলাদেশের শিরোনাম:

  • আমিও একই কথা বলব-স্বাধীনতাবিরোধীদের ক্ষমতায় আসতে দেয়া যাবে না: ফখরুল -মানবজমিন
  • আওয়ামী লীগে কতজন মুক্তিযোদ্ধা আছেন, প্রশ্ন ফখরুলের -যুগান্তর
  • বাংলাদেশে 'অবাধ ও সুষ্ঠু' নির্বাচনের গুরুত্ব পুনর্ব্যক্ত করেছে যুক্তরাষ্ট্র -নয়া দিগন্ত
  • মাদক না ছাড়ায় নোবেলকে তালাক দিলেন স্ত্রী সালসাবিল –ইত্তেফাক/যুগান্তর
  • নদীতে পড়ে নিখোঁজ নারী ১০ ঘণ্টা পর জীবিত উদ্ধার -কালের কণ্ঠ
  • যাঁদের মন ছোট, তাঁদের রাজনীতি করা উচিত নয়: ওবায়দুল কাদের -প্রথম আলো

কোলকাতার শিরোনাম:

  • হাস্যকর এবং জঘন্য গল্প’, মার্কিন আদালতে লেখিকার ধর্ষণের অভিযোগ ওড়ালেন ট্রাম্প -সংবাদ প্রতিদিন
  • চার জায়গায় চলছে সিবিআই তল্লাসি চাকরি প্রার্থীদের মুখে একটাই কথা ’চাকরি কবে পাবো?’-গণশক্তি
  • শুভেন্দুর বিরুদ্ধে কলকাতা হাই কোর্টে জোড়া মামলার শুনানি থেকে সরে গেলেন বিচারপতি মান্থা-আনন্দবাজার

শ্রোতাবন্ধুরা! শিরোনামের পর এবার দু'টি খবরের বিশ্লেষণে যাচ্ছি- 

কথাবার্তার বিশ্লেষণের বিষয়:

১. আমাদের রাজনীতি এখনো হিংসামুক্ত হয়নি- একথা বলেছেন ওবায়দুল কাদের। দৈনিক মানবজমিন এই শিরোনাম করেছে। কীভাবে দেখছেন এই বক্তব্যকে?

২. কৌশলগত সহযোগিতা চুক্তি সই করল ইরান ও সিরিয়া। কী গুরুত্ব রয়েছে এই চুক্তির?

বিশ্লেষণের বাইরে গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি খবর

যাঁদের মন ছোট, তাঁদের রাজনীতি করা উচিত নয়: ওবায়দুল কাদের-প্রথম আলো

ওবায়দুল কাদের

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, যাঁদের মন ছোট, তাঁদের রাজনীতি করা উচিত নয়। ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি বলছে, যুক্তরাষ্ট্র সফরে শেখ হাসিনা কিছুই আনতে পারেননি, খালি হাতে ফিরবেন। মনটা যাঁদের ছোট, তাঁদের রাজনীতি করা উচিত নয়। দেশের অর্জনকে যাঁরা নিজেদের মনে করেন না, তাঁদের রাজনীতি করার প্রয়োজন নেই।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বর্তমানে দেশের বাইরে আছেন। নালিশ করতে নয়, দেশকে অনন্য উচ্চতায় পৌঁছে দিতেই তাঁর এই বিদেশ সফর। যাঁরা ছোট মন নিয়ে রাজনীতি করেন, তাঁরাই বলছেন, শেখ হাসিনার বিদেশ সফরে কোনো অর্জন হয়নি।

রাজনীতিতে বিভক্ত হয়ে দেয়াল তৈরি নয়, সম্প্রীতির সেতু তৈরির আহ্বান জানান সড়ক পরিবহনমন্ত্রী। তিনি বলেন, নষ্ট ও অসুস্থ রাজনীতিকে সবাই মিলে ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিরোধ করতে হবে। শান্তির রাজনীতি পদে পদে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। রাজনীতিতে দেয়াল তৈরি করলে পারস্পরিক সম্পর্ক নষ্ট হয়ে যাবে।

সেতুমন্ত্রী বলেন, রাজনীতিতে বিভক্ত হয়ে দেয়াল তৈরি না করে সম্প্রীতির সেতু তৈরি করতে হবে। কারণ, তাঁরা সাম্প্রদায়িক হানাহানি-সংঘাত চান না। সন্ত্রাস চান না।

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলামকে উদ্দেশ্য করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘অপরাজনীতি করে খাটো হয়েছেন। কিন্তু দেশটাকে খাটো করবেন না। দেশের অর্জন আমাদের সবার অর্জন। এটা আওয়ামী লীগের অর্জন নয়। এই বাংলাদেশের সব মানুষের অর্জন।’

আওয়ামী লীগে কতজন মুক্তিযোদ্ধা আছেন, প্রশ্ন ফখরুলের-যুগান্তর

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর

এখনকার আওয়ামী লীগে কতজন মুক্তিযোদ্ধা রয়েছেন-এমন প্রশ্ন রেখেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ একটি পুরনো দল, কিন্তু এই দলের যিনি প্রতিষ্ঠাতা তাকেও তারা বাদ দিয়ে দিয়েছে। কারণ তার চিন্তাচেতনার সঙ্গে পরবর্তী আওয়ামী লীগের কোনো মিল ছিল না। আজকে যারা আওয়ামী লীগের সঙ্গে জড়িত আছেন, তাদের অধিকাংশই ১৯৭১ সালের স্বাধীনতার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন না। এখন যারা স্বাধীনতার বিরোধীশক্তি হিসেবে আমাদের দিকে আঙুল তুলতে চান, তাদের প্রশ্ন করতে চাই— আপনারা কি বলতে পারবেন আপনাদের মধ্যে কারা কারা মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন। আমাদের সঙ্গে যারা লড়াইয়ের সংগ্রাম করছেন, কাজ করছেন, তাদের অধিকাংশ মুক্তিযুদ্ধের সময় সরাসরি অংশ নিয়েছেন? বৃহস্পতিবার দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে সাবেক মন্ত্রী সুনীল গুপ্তের ১৫তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে ভাসানী অনুসারী পরিষদ আয়োজিত এক স্মরণসভায় তিনি এসব কথা বলেন। 

মির্জা ফখরুল বলেন, এ দেশের মানুষ ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধের মধ্য দিয়ে বিজয় অর্জন করেছে। এ দেশের মানুষ স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে আন্দোলন করে পতন ঘটিয়েছে। এ দেশের মানুষ লড়াই করছে, সংগ্রাম করেছে— এ লড়াইয়ে অবশ্যই গণতন্ত্রের বিজয় হবে। এ লড়াইয়ে অবশ্যই যারা গণতন্ত্রের পক্ষে সংগ্রাম করছেন, তাদের বিজয় হবে। যারা গণতন্ত্রের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে, দানবীয় ফ্যাসিবাদ তারা পরাজিত হবে।

মানবজমিন পত্রিকায় ফখরুলের বক্তব্য এভাবে ছাপা হয়েছে, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আমিও একই কথা বলব-কোনো মতেই স্বাধীনতাবিরোধীদের ক্ষমতায় আসতে দেয়া যাবে না। লজ্জাজনকভাবে আওয়ামী লীগ আজ স্বাধীনতার বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে। যদি আবারও স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি ক্ষমতায় আসে, তাহলে এই দেশের অস্তিত্ব থাকবে না। সাবেক মন্ত্রী সুনীল কুমার গুপ্তর ১৫তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে বৃহস্পতিবার দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) আয়োজিত স্মরণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

মাদক না ছাড়ায় নোবেলকে তালাক দিলেন স্ত্রী সালসাবিল-ইত্তেফাক

বিতর্কিত কণ্ঠশিল্পী মাইনুল আহসান নোবেলকে তালাক দিয়েছেন তার স্ত্রী সালসাবিল মাহমুদ

দেশের বিতর্কিত কণ্ঠশিল্পী মাইনুল আহসান নোবেলকে তালাক দিয়েছেন তার স্ত্রী সালসাবিল মাহমুদ। বৃহস্পতিবার (৪ মে) ইত্তেফাক অনলাইনকে বিষয়টি নিশ্চিৎ করেছেন সালসাবিল। তিনি বলেন, তালাকের চিঠি আগেই পাঠিয়েছিলাম। তালাক কার্যকর হতে তিনমাস সময় লাগে। কিন্তু চাইলে সেটাকে স্থগিত করা যায়। নোবেল পরিবর্তন হবে- এমন আশায় সেটাকে স্থগিত রেখেছিলাম। আজ সকালে (বৃহস্পতিবার) সেটা কার্যকর করেছি। আমার পরিবারের সঙ্গে সিদ্ধান্ত নিয়ে অবশেষে এমন সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হলাম।

এদিকে বৃহস্পতিবার দুপুরে ফেসবুক পোস্টে সালসাবিল মাহমুদ লিখেছেন, আমি হয়তোবা আগে ব্যাপারটা ক্লিয়ার করিনি। যেহেতু আমরা দুজনেই সিদ্ধান্ত নিয়ে ডিভোর্স রেজিস্ট্রেশনটা উকিলকে বলে হোল্ডে রেখেছিলাম। সাম্প্রতিক কিছু ঘটনার পরও যখন আমার ও নোবেলের কথা হয়। আমি তাকে শেষবারের মতো মাদকদ্রব্য ছাড়ার কথা এবং চিকিৎসা নেবার জন্য জিজ্ঞেস করি।

সে পরিষ্কারভাবে জানিয়ে দেয় সে কখনো মাদক ছাড়বে না এবং বলে, ‘নেশা ছাড়লে তো আগেই ছাড়তাম’ এরপর আমি আমার পারিবারিক সিদ্ধান্তে আমার ডিভোর্স রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন করি।’

নোবেলের মাদকাসক্ত হওয়ার পেছনে অনেকের হাত আছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমার প্রাক্তনকে আমি শুভকামনা জানাই। নোবেল কখনোই এতো অসুস্থ ছিল না। এমন না যে নোবেলের আজকের এই অবস্থার জন্য ও শুধু একা দায়ী। অবশ্যই সে নিজেই সবচেয়ে বেশি দায়ী কিন্তু তার মাদকদ্রব্য প্রাপ্তি ও আসক্তির ক্ষেত্রে অনেক ক্ষমতাশালী মানুষদের অবদান আছে সরকারি প্রশাসনিক উর্ধ্বতন কর্মকর্তা, রাজনীতিবিদ, ক্ষমতাশালী ব্যবসায়ী।’

সবশেষে নোবেলের স্ত্রীর লিখেছেন, আগের ক্রিমিনাল রেকর্ড আপনারা নিউজে দেখেছেন অথবা এখনো দেখেননি, কিন্তু নোবেলের আশে পাশে তাদের অবশ্যই দেখেছেন এবং দেখে থাকবেন। তাদের মধ্যে কিছু শো অরগানাইজারও রয়েছে। দরকার হলে নাম বলবেন বলে জানিয়েছেন পোস্টে।

বাংলাদেশের মাদকদ্রব্য ব্যাবসায় তারা সচল এবং কিছু এয়ার হোস্টেসদের (একজন এয়ারহোস্টেস যে অন্য এয়ারহোস্টেসদের পরিচালনা করে এবং ডিস্ট্রিবিউশন সুবিধার্থে পরিচিত মুখ/ ভিক্টিম খুঁজে বের করে) মাধ্যমে এবং অন্যান্য পন্থায় তারা দেশে মাদক আমদানি করে এবং গোপনভাবে ডিস্ট্রিবিউশন করে যার একজন ভিক্টিম নোবেল নিজেই, আসলে শুধু ভিক্টিম বললে ভুল হবে এখন জড়িত। মিডিয়ার বিষয় তাই শুধু সামনে এসেছে কিন্তু এসব/এক ক্ষমতাধারী সিন্ডিকেটের ব্যাবসার মুনাফাই আসে বিভিন্ন পরিবারের সন্তানদের ও যুবসমাজকে মাদকাসক্ত করিয়ে।

এবারে কোলকাতার কয়েকটি খবরের বিস্তারিত:

সামনেই নির্বাচন, দুর্নীতির অভিযোগে জর্জরিত কর্ণাটকের বিজেপিতে আশঙ্কার কালো মেঘ-সংবাদ প্রতিদিন

২৩ ফেব্রুয়ারি,২০২৩-এ, কর্ণাটকের (Karnataka) বেল্লারিতে ‘বিজয় সংকল্প যাত্রা’য় ভাষণ দিতে গিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah) বলেছিলেন, “প্রধানমন্ত্রী মোদিকে একবার বিশ্বাস করুন এবং ইয়েদিউরপ্পাকে একবার বিশ্বাস করুন। আমরা এমন একটি সরকার গঠন করব যা কর্ণাটককে দুর্নীতিমুক্ত এবং দক্ষিণ ভারতের এক নম্বর রাজ্যে পরিণত করবে।”

অমিত শাহর এই আকুতি ছিল রাজ্যে তার দলের চার বছরের শাসনকালের অন্তিম লগ্নে। শাহ কর্ণাটকের ভোটারদের এমন একজনের উপর বিশ্বাস করতে বলছেন, যার উপর দল বিশ্বাস হারিয়ে দু’বছর আগেই মুখ্যমন্ত্রিত্ব ছিনিয়ে নিয়েছিল। নির্বাচনের দোরগোড়ায় কেন বিশ্বাস অর্জনের এই আকুতি? একজন ঠিকাদারের মৃত্যু, বিভিন্ন সংস্থা দুর্নীতির বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীকে লেখা চিঠি এবং লোকপালের তৎপরতায় একজন বিধায়কের গ্রেফতার- কর্ণাটকের বিজেপি সরকারকে গত চার বছরে দুর্নীতির গুরুতর অভিযোগের মুখোমুখি হতে হয়েছে।

২০২১ সালের নভেম্বরে, একটি নজিরবিহীন পদক্ষেপে, কর্ণাটক রাজ্য ঠিকাদার সমিতি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে (PM Modi) একটি চিঠি পাঠিয়েছিল।

বিজেপি সরকারের সমস্ত স্তরে দুর্নীতিতে ক্লান্ত হয়ে, অ্যাসোসিয়েশন প্রধানমন্ত্রীকে হস্তক্ষেপ করতে অনুরোধ করেছিল এবং প্রতিটি সরকারি চুক্তির জন্য যাতে তাদের ৩০-৪০ শতাংশ ঘুষ দিতে না হয় তা নিশ্চিত করতে বলেছিল। দুর্নীতি নতুন নয় এবং এর জন্য আগের সব সরকারই অভিযুক্ত হয়েছে। কিন্তু রাজনৈতিক বিতর্ক থেকে দূরে থাকা ঠিকাদার অ্যাসোসিয়েশনকে যখন জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল, বিজেপি সরকারের উপর আক্রমণ চালানোর সিদ্ধান্ত কেন নেওয়া হয়েছে, তখন তাদের উত্তর ছিল- কংগ্রেস এবং জেডি(এস) শাসনামলে দুর্নীতি ছিল, তবে এতটা ব্যাপক ও ভয়ংকর ছিল না। অ্যাসোসিয়েশন বিএস ইয়েদিউরাপ্পা যখন মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন, তখন রাজ্যপাল এবং পরবর্তীতে নতুন মুখ্যমন্ত্রী বাসবরাজ বোম্মাইকে চিঠি লিখেছিলেন। তাদের কারও কাছ থেকে কোনও প্রতিক্রিয়া না পেয়ে তারা প্রধানমন্ত্রীর কাছে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়, কারণ প্রধানমন্ত্রীর বহু চর্চিত মন্তব্য ‘না খাউঙ্গা-না খানে দুঙ্গা’-তে ভরসা ছিল তাদের।

হাস্যকর এবং জঘন্য গল্প’, মার্কিন আদালতে লেখিকার ধর্ষণের অভিযোগ ওড়ালেন ট্রাম্প-সংবাদ প্রতিদিন

প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প

প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের (Donald Trump) বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ এনেছেন লেখিকা ই জিন ক্যারল। ওই ঘটনায় মামলা চলছে একটি মার্কিন আদালতে। বুধবার শুনানিতে নিজে উপস্থিত না থাকলেও প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্টের আইনজীবীরা প্রভাবশালী মক্কেলের ভিডিও সাক্ষ্য দেন। ওই ভিডিওতে লেখিকার অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন ট্রাম্প। বলেন, “এটি একটি হাস্যকর এবং জঘন্য গল্প।”

৭৯ বছরের ক্যারলের দাবি করেছিলেন, নব্বই দশকের মাঝামাঝি ম্যানহাটনের একটি শপিং মলে তাঁকে যৌন নির্যাতন করেছিলেন ট্রাম্প। অভিযোগ, ওই শপিং মলের ট্রায়াল রুমে ক্যারলকে ধর্ষণ করেছিলেন তিনি। ক্যারলের আইনজীবীর দাবি করেছেন, তাঁর মক্কেল বাধা দেওয়ার চেষ্টা করলেও প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্টের শারীরিক শক্তির কাছে পেরে ওঠেননি। এদিন শুনানিতে ট্রাম্প দাবি করেছেন, “এমন কিছু ঘটেনি।” লেখিকার আইনজীবীর দাখিল করা তথ্য প্রমাণ নিয়ে প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্টের মন্তব্য, “এগুলি বানানো”। যদিও সাক্ষ্য দিতে গিয়ে লেখিকা জানিয়েছেন, ট্রায়াল রুমে জবরদস্তি করেন ট্রাম্প। তাঁকে দেওয়ালে চেপে ধরেন। যোনিতে আঙুল ঢোকান। এরপর পুরুষাঙ্গ প্রবেশ করান। সব মিলিয়ে বুধবারের শুনানিতেও মামলার নিষ্পত্তি হয়নি।

এর আগে পর্ন তারকা স্টর্মি ড্যানিয়েলস (Stormy Daniels) প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ এনেছিলেন। তারপর লেখিকা ই জিন ক্যারলের মামলা। এমনকী বুধবার আরও এক মহিলা ট্রাম্পের বিরুদ্ধে যৌন নির্যাতনের অভিযোগ এনেছেন। ৮১ বছরের জেসিকা লিডস আদালতে জানিয়েছেন, ট্রাম্প বিমানের বিজনেস ক্লাসে তাঁর স্কার্টের ভিতরে হাত ঢুকিয়ে দিয়েছিলেন। তাঁর অভিযোগ, তাঁদের মধ্যে কোনও বাক্য বিনিময় হয়নি। ট্রাম্প তাঁর কাছে এসে তাঁকে চুমু খাওয়ার চেষ্টা করেছিলেন, তাঁর স্তন খামচে ধরেছিলেন। জেসিকার কথায়, ”পুরো বিষয়টাই ছিল বিনা মেঘে বজ্রপাত।” সব মিলিয়ে একের পর এক অভিযোগে জেরবার ট্রাম্প।

ময়না-রাজনীতিতে উত্থান ‘নেতা’ দিন্দার, রাজনীতির আইপিএলে রান-আপ শুরু ‘নৈছনপুর এক্সপ্রেস’-এর-আনন্দবাজার পত্রিকা

কাদম্বিনী মরিয়া প্রমাণ করিয়াছিলেন তিনি মরেন নাই। ময়নায় বিজেপি নেতা বিজয়কৃষ্ণ ভুঁইয়া খুন হয়ে জন্ম দিলেন ‘নেতা’ অশোক দিন্দার।বাংলার হয়ে ক্রিকেট মাঠে বোলিং আক্রমণকে দীর্ঘ দিন নেতৃত্ব দিয়েছেন দিন্দা। ২০২১ সালে বিজেপির হয়ে বিধানসভা ভোটে তাঁর আগমন রাজনীতির ময়দানে। তবে গত দু’বছরে তাঁকে বিধায়ক হিসাবে তত ‘সক্রিয়’ হতে দেখা যায়নি। কিন্তু তাঁর বিধানসভা কেন্দ্র ময়নায় দলীয় নেতা খুনের পর রাজ্য রাজনীতি অন্য অশোক দিন্দাকে দেখছে। যিনি বিরোধী দলের সদস্যের মতোই ‘সক্রিয়’। দলীয় সহকর্মীর মোটরসাইকেলের পিছনে ঝান্ডা হাতে উঠে পড়ছেন। থানায় ঢুকে পুলিশ অফিসারদের কাছে বিচার চাইছেন। বিক্ষোভে-অবরোধে নেতৃত্ব দিচ্ছেন।

এত দিনে কি ‘রাজনীতিক’ দিন্দার জন্ম হল? বুধবার আনন্দবাজার অনলাইনকে দিন্দা বলেছেন, ‘‘আমি ময়নার উন্নতির জন্য লড়াই করছি বিধানসভায়

আনন্দবাজার পত্রিকার অপর এক খবরে লেখা হয়েছে, বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর দু’টি মামলা থেকে সরে দাঁড়ালেন বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা। এই মামলাগুলির দ্রুত শুনানি হচ্ছে না বলে সুপ্রিম কোর্টে নালিশ করেছিল রাজ্য। কিন্তু শীর্ষ আদালত মামলায় কোনও হস্তক্ষেপ না করে হাই কোর্টকে দ্রুত শুনানির পরামর্শ দিয়েছিল।

বিচারপতি মান্থার পর্যবেক্ষণ, শীর্ষ আদালতে রাজ্যের আবেদন দেখে মনে হয়েছে, যেন মামলাকারীর জন্যই শুনানিতে দেরি হয়েছে। কিন্তু এই আদালত দেখেছে যে কোনও পক্ষই দ্রুত শুনানিতে আগ্রহী নয়। তাঁর মন্তব্য, ‘‘দীর্ঘ শুনানি করার সময় এই এজলাসের সময় নেই, আদালতে আরও ৫৩ জন বিচারপতি রয়েছেন। অন্য কোনও এজলাসে মামলা পাঠানো হোক।’’এর আগে এই মামলা থেকে সরে দাঁড়িয়েছিলেন হাই কোর্টের বিচারপতি পার্থসারথি সেন। এর মধ্যে রয়েছে কাঁথিতে দুর্নীতি সংক্রান্ত একটি মামলা।

গণশক্তি পত্রিকার খবরে লেখা হয়েছে, নিয়োগ দুর্নীতি তদন্তে চার জায়গায় চলছে সিবিআই তল্লাসি। কিন্তু এই সবে কোন গুরুত্ব দিতে চাইছেন না বঞিত যোগ্য চাকরি প্রার্থীরা। রেড রোডে রাস্তার ধারে তাঁদের মুখে আজও একটাই কথা, ‘দোষীদের শাস্তি কবে হবে? আর আমরা কি চাকরি সত্যি পাবো?’ কিছুদিন কোন তৎপরতা দেখা যায়নি সিবিআই আধিকারিকদের মধ্যে। হঠাৎ করে বৃহস্পতিবার সকালে নিয়োগ দুর্নীতি মামলার তদন্তে তৎপর সিবিআই।#

পার্সটুডে/গাজী আবদুর রশীদ/৪

বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।

ট্যাগ