কথাবার্তা: চীনকে হুঁশিয়ারি রাওয়তের-প্রয়োজনে সেনা অভিযান
(last modified Mon, 24 Aug 2020 11:01:14 GMT )
আগস্ট ২৪, ২০২০ ১৭:০১ Asia/Dhaka

শ্রোতাবন্ধুরা!২৪ আগস্ট সোমবারের কথাবার্তার আসরে স্বাগত জানাচ্ছি আমি গাজী আবদুর রশীদ। আশা করছি আপনারা প্রত্যেকে ভালো আছেন। আসরের শুরুতে ঢাকা ও কোলকাতার গুরুত্বপূর্ণ বাংলা দৈনিকগুলোর বিশেষ বিশেষ খবরের শিরোনাম তুলে ধরছি। এরপর গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি খবরের বিশ্লেষণে যাবো। বিশ্লেষণ করবেন সহকর্মী সিরাজুল ইসলাম।

বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ খবরের শিরোনাম:

  • খুনিদেরকে যারা পুরস্কৃত করে তারা সমান অপরাধী-ওবায়দুল কাদের-ইত্তেফাক
  • কক্সবাজারে ট্রলার থেকে ৪০ কোটি টাকার ইয়াবা উদ্ধার-দৈনিক সমকাল
  • পাপুলের আটকাদেশ আরও একমাস বাড়ালো কুয়োত-দৈনিক কালের কণ্ঠ
  • ২৪ ঘন্টায় বাংলাদেশে করোনা পরীক্ষা, শনাক্ত ও মৃত্যু বেড়েছে-প্রথম আলো
  • সিনহা হত্যা: ওসি প্রদীপসহ ৭ পুলিশ সদস্যের আরও ৪ দিনের রিমান্ড-দৈনিক যুগান্তর
  • করোনায় অ্যান্টিজেন টেস্ট অনুমোদনের সিদ্ধান্ত-স্বাস্থ্য মন্ত্রী-মানবজমিন

এবার ভারতের কয়েকটি খবরের শিরোনাম:

  • কংগ্রেস সভানেত্রীর পদ থেকে ইস্তফার ইচ্ছাপ্রকাশ সোনিয়ার, দায়িত্ব নিতে নারাজ রাহুল-প্রিয়াঙ্কাও-সংবাদ প্রতিদিন
  • ভারতে করোনায় মোট আক্রান্ত ৩১ লক্ষ ছাড়াল-আনন্দবাজার পত্রিকা
  • আজাদদের বিজেপি–যোগ খুঁজলেন রাহুল, কংগ্রেসের বৈঠকে নাটক তুঙ্গে-আজকাল

  • শিরোনামের পর এবার দুটি বিষয়ের বিশ্লেষণে যাব। 

কথাবার্তার বিশ্লেষণের বিষয়:

১. বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের বৈধতা নিয়ে হাইকোর্টে দুটি রিট আবেদনের শুনানি ঝুলে আছে বছরের পর বছর। এর মধ্যে একটি রিট ১৪ বছর আগে, আরেকটি ১১ বছর আগে করা হয়েছিল। প্রথম আলোর এ খবর সম্পর্কে আপনি কী বলবেন?

২. ইরাকের তাজি ঘাঁটি হস্তান্তর করা হয়েছে বাগদাদ সরকারের কাছে তবে এ খবর কভার করতে দেয়া হয় নি বেশ কয়েকটি টিভি চ্যানেলকে। কী কারণে মার্কিন সেনারা এটা করল বলে আপনার মনে হয়?

বিশ্লেষণের বাইরে গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি খবর:

বাংলাদেশ করোনা ভ্যাকসিন পাবে কীভাবে?

টিকা বা ভ্যাকসিন পেতে কাজ শুরু করেছে বাংলাদেশ। ভ্যাকসিন পেতে ইতিমধ্যে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাকে চিঠি দিয়েছে সরকার। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, তিন প্রক্রিয়ায় ভ্যাকসিন পাওয়া যাবে। নিজেদের তৈরি করা ভ্যাকসিন। অন্যদের ভ্যাকসিন ট্রায়ালে অংশগ্রহণ  করলে এবং অন্য দেশের তৈরি করা ভ্যাকসিন হু’র মাধ্যমে চুক্তি করে নিতে হবে। আন্তর্জাতিক ভ্যাকসিন জোট ‘গ্যাভি’র ভ্যাকসিন পেতে এই প্রক্রিয়ায় এগোতে হবে।

বাংলাদেশ ভ্যাকসিন পেতে এখন কোন অবস্থায় রয়েছে জানতে চাইলে স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক মানবজমিনকে বলেছেন, আমরা দীর্ঘদিন ভ্যাকসিন নিয়ে কাজ করছি। বিভিন্ন দেশের ভ্যাকসিন ট্রায়াল হচ্ছে। আমরা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাকে এই বিষয়ে চিঠি দিয়েছি।

সংস্থাটি জানিয়েছে, যখন ভ্যাকসিন অনুমোদন পাবে তখন দরিদ্র ও মধ্যম আয়ের দেশগুলো ২০ শতাংশ হারে পাবে। এটা যখন সহজলভ্য হবে। ‘গ্যাভি’কে চিঠি দেয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, গ্যাভি’র ভ্যাকসিনই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মাধ্যমে পাওয়া যাবে। তিনি জানান, অক্সফোর্ডের ভ্যাকসিন ভারতে ট্রায়ালে, চীনের ভ্যাকসিন ট্রায়ালে রয়েছে। রাশিয়া তো অনুমোদন দিয়েছে। আমেরিকার ফাইজারের ভ্যাকসিনও ট্রায়ালে আছে। সব বিষয়েই প্রধানমন্ত্রীকে জানানো হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীই সিদ্ধান্ত দেবেন। তিনি বলেন, স্থানীয়ভাবে আমরা প্রস্তুতি গ্রহণ করেছি। বাংলাদেশ যাতে সবচেয়ে ভালো ও নিরাপদ ভ্যাকসিন পেতে পারে সেভাবেই এগোচ্ছি।

এদিকে, সম্প্রতি টিকা প্রাপ্তির বিষয়ে বাংলাদেশ সফরে আসা ভারতের পররাষ্ট্র সচিবের সঙ্গে এই নিয়ে আলোচনাও হয়েছে। টিকা বা ভ্যাকসিন তৈরিকারী দেশ বা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে বাংলাদেশ এখনো দৃশ্যত কোনো যোগাযোগ স্থাপন করতে পারেনি। এক প্রকার সিদ্ধান্তহীনতায় রয়েছে। কোভিড পরিস্থিতি মোকাবিলায় সরকার গঠিত জাতীয় কারিগরি কমিটিও ভ্যাকসিনের বিষয়ে দ্রুত সিদ্ধান্ত নেয়ার তাগিদ দিয়েছে। একই সঙ্গে দেশেই টিকার ট্রায়ালের পক্ষে মত দিয়েছেন তারা। যদিও এ পর্যন্ত পরামর্শক কমিটির মতামতকে খুব বেশি গুরুত্ব দেয়া হয়নি স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষ থেকে। করোনার ওষুধ আবিষ্কার না হওয়ায় পুরো বিশ্ব এখন ভ্যাকসিনের অপেক্ষায়। দেশের মানুষও অপেক্ষায় কবে ভ্যাকসিনের সুখবর আসবে। তবে এ পর্যন্ত ভ্যাকসিন নিয়ে কোনো আশার তথ্য পাওয়া যাচ্ছে না।

গত ১০ই আগস্ট স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব আবদুল মান্নানের সভাপতিত্বে ‘বিশ্বব্যাপী বাজার থেকে ন্যায্যমূল্যে কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন সংগ্রহ’ শীর্ষক বৈঠক হয়। ওই বৈঠকে করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন আমদানি ও উৎপাদনের সঙ্গে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে সমপৃক্ত করার  বিষয়টি ওঠে আসে। যাতে ভ্যাকসিন কূটনীতিতে বাংলাদেশ জোরালো ভূমিকা রাখতে পারে।  বৈঠকে কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন তৈরি হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আন্তর্জাতিক ভ্যাকসিন জোট ‘গ্যাভি’র (দ্য গ্লোবাল অ্যালায়েন্স ফর ভ্যাকসিনস অ্যান্ড ইমিউনাইজেশনস) মাধ্যমে দেশে নিয়ে আসার দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ, পাশাপাশি নগদ টাকায় ভ্যাকসিন কেনার ব্যাপারে ব্যবস্থা গ্রহণ বিষয়ে আলোচনা হয়। জানা গেছে, বৈঠকে ভ্যাকসিন পাওয়ার ব্যাপারে বাংলাদেশ প্রাধিকার পাবে বলে জানানো হয়।  

কীভাবে আমরা টিকা পাবো

কীভাবে আমরা টিকা পাবো- জানতে চাইলে রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের (আইইডিসিআর) সাবেক প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা এবং সংস্থাটির উপদেষ্টা ডা. মুস্তাক হোসেন বলেন, তিন প্রক্রিয়ায় ভ্যাকসিন পাওয়া যায়। নিজদের তৈরি করা ভ্যাকসিন। অন্যদের ভ্যাকসিন ট্রায়ালে অংশগ্রহণ করে এবং অন্য দেশের তৈরি করা ভ্যাকসিন হু’র মাধ্যমে চুক্তি করে নিতে হবে। আন্তর্জাতিক ভ্যাকসিন জোট ‘গ্যাভি’র ভ্যাকসিন পেতে এই প্রক্রিয়ায় এগোতে হবে। এই জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ বলেন, ঝুঁকিপূর্ণদের আগে ভ্যাকসিন দিতে হবে। এক্ষেত্রে স্বাস্থ্যকর্মীরা অগ্রাধিকার পাবেন। এরপর ধারাবাহিকভারে তালিকা করে দিতে হবে ভ্যাকসিন। সিরিঞ্জ তৈরি করতে হবে। সম্ভাব্য সব পরিকল্পনা নিতে হবে এখনই।  

দেশের বিশেষজ্ঞরা টিকা বা ভ্যাকসিন প্রসঙ্গে বলছেন, যারা টিকা আবিষ্কার করছেন তাদের সঙ্গে দৌড়াতে। কোভিড-১৯ জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটি পরামর্শ দিয়েছে, করোনাভাইরাস বা কোভিড-১৯ সংক্রমণ প্রতিরোধে টিকার মাধ্যমে জনগণের মধ্যে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তোলার কার্যক্রমের অংশ হিসেবে টিকার ট্রায়াল বাংলাদেশে হওয়া উচিত। পরামর্শক কমিটি মত দিয়ে বলেন, টিকা আন্তর্জাতিক বাজারে এসে গেলে তা কীভাবে প্রথমেই বাংলাদেশে নিয়ে আসা যায় তার বিস্তারিত পরিকল্পনা এখনই নেয়া প্রয়োজন। বিশেষজ্ঞদের এই কমিটি মনে করে, বাংলাদেশে টিকার ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল হলে প্রথমত বাংলাদেশ এর সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং তা প্রমাণের সুযোগ সৃষ্টি হবে। এই টিকা সফল প্রমাণিত হলে সর্বাগ্রে পাওয়ার নিশ্চয়তা থাকবে। বুধবার কমিটির সর্বশেষ বৈঠক থেকেই এমন পরামর্শ দেয়া হয়েছে।

অন্যদিকে, গত ১৯শে আগস্ট ঢাকায় ভারত ও বাংলাদেশের পররাষ্ট্র সচিব পর্যায়ের বৈঠকে সম্ভাব্য কোভিড-১৯ টিকার পরীক্ষামূলক প্রয়োগ নিয়ে আলোচনা হয়। অনুষ্ঠান শেষে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে পররাষ্ট্র সচিবকে উদ্ধৃত করে বলা হয়, ট্রায়ালসহ কোভিড-১৯ টিকা তৈরিতে যেকোনো ধরনের সহযোগিতা করতে বাংলাদেশ প্রস্তুত। টিকা প্রস্তুত হলে সাশ্রয়ী মূল্যে শুরুতেই পেতে চায় বাংলাদেশ।

চীন,যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের করোনাভাইরাসের টিকা এখন তৃতীয় ধাপের পরীক্ষার পর্যায়ে রয়েছে। এ ছাড়া রাশিয়া প্রথম দেশ হিসেবে টিকা উৎপাদন শুরু করে দিয়েছে। এর মধ্যে চীনের সিনোভ্যাক বায়োটেক লিমিটেড তাদের তৈরি করা টিকার তৃতীয় ধাপের পরীক্ষা বাংলাদেশেও করার পরিকল্পনা করেছিল। বাংলাদেশ মেডিকেল রিসার্চ কাউন্সিলও গত ১৮ই জুলাই বাংলাদেশে ওই টিকার পরীক্ষামূলক প্রয়োগের অনুমোদন দিয়েছিল। ঘোষণা অনুযায়ী, বাংলাদেশে চীনা টিকার পরীক্ষামূলক প্রয়োগের কাজটি করার কথা ছিল আন্তর্জাতিক উদরাময় রোগ গবেষণা কেন্দ্র-আইসিডিডিআর,বি’র। বলা হয়েছিল, দেশের সাতটি হাসপাতালে স্বাস্থ্যকর্মীদের ওপর এই টিকার পরীক্ষামূলক প্রয়োগ হবে। তবে সে বিষয়টি পরে ঝুলে যায়।

এদিকে,অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় ও অ্যাস্ট্রাজেনেকার তৈরি করা টিকার পরীক্ষা ও উৎপাদনের সঙ্গে জড়িত হয়েছে ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়া (এসআইই)। দ্বিতীয় ধাপ থেকেই কোভিশিল্ড নামের ওই টিকার পরীক্ষামূলক প্রয়োগ করে যাচ্ছে দেশটির সবচেয়ে বড় ভ্যাকসিন প্রস্তুতকারী এই সংস্থা।

সাড়ে ৪ মাসে দেশে ফিরেছেন ৭০ হাজার ৪২৭ প্রবাসী-দৈনিক যুগান্তর

করোনাকালে দেশে ফিরেছেন ৭০ হাজারের বেশি প্রবাসী

গত সাড়ে ৪ মাসে দেশে ফিরে এসেছেন ৭০ হাজার ৪২৭ প্রবাসী বাংলাদেশি। গত ১ এপ্রিল থেকে ১৮ আগস্ট পর্যন্ত বিশ্বের ২৩টি দেশ থেকে এসব প্রবাসী বাংলাদেশি দেশে ফিরেছেন। হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের প্রবাসী কল্যাণ ডেস্ক এ তথ্য জানায়।

ডেস্কের সহকারী পরিচালক মো. ফখরুল আলম জানান, গত ১ এপ্রিল থেকে ১৮ আগস্ট পর্যন্ত যারা ফেরত এসেছে তাদের মধ্যে ৬৭ হাজার ১১৯ জন পুরুষ এবং ৩ হাজার ৩০৮ জন নারী রয়েছেন।

তিনি জানান,বৈশ্বিক মহামারী করোনার কারণে কাজ না থাকা, কাজের বা চুক্তির মেয়াদ শেষ হওয়া, আকামা বা ভিসার মেয়াদ শেষ হওয়ায় অবৈধ হয়ে যাওয়াসহ বিভিন্ন কারণে এসব প্রবাসী কর্মী দেশে ফিরে এসেছেন। অনেকে আবার বিভিন্ন মেয়াদে কারাভোগ করে আউট পাশ নিয়েও দেশে ফেরত এসেছেন।

ফেরত আসা কর্মীদের অনেকে আবার পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে সংশ্লিষ্ট দেশে ফিরে যেতে পারবেন বলে সূত্র জানায়। দেশে ফেরা কর্মীদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি এসেছেন সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে কাজ না থাকায় সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে ফিরেছেন ২৩ হাজার ৫০২ জন। এর মধ্যে পুরুষ কর্মী ২২ হাজার ৫৭৩ জন। আর নারী কর্মী ফিরেছেন ৯২৯ জন।

সৌদি আরব থেকে ১২ হাজার ৯৫০ জন প্রবাসী কর্মী ফেরত এসেছেন। এর মধ্যে পুরুষ ১১ হাজার ৮৭৪ জন, আর নারী কর্মী রয়েছেন ১ হাজার ৭৬ জন। সৌদি ফেরত কর্মীদের মধ্যে বেশিরভাগই বিভিন্ন মেয়াদে কারাভোগ করে আউটপাস নিয়ে দেশে ফিরেছেন।

করোনা ভাইরাসের প্রেক্ষিতে কাজ না থাকায় মালদ্বীপ থেকে ফিরেছেন ৭ হাজার ৭৫৯ জন প্রবাসী কর্মী। কাজের মেয়াদ শেষ হওয়ায় সিঙ্গাপুর থেকে ফিরেছেন ১ হাজার ৩৮২ জন। বিভিন্ন মেয়াদে কারাভোগ করে ওমান থেকে দেশে ফিরেছেন ৩ হাজার ৬৪৫ জন। ভিসার মেয়াদ না থাকায় কুয়েত থেকে দেশে ফিরেছেন ৭ হাজার ৩২৯ জন। বাহরাইন থেকে ফিরেছেন ৭৪৬ জন।

কাজ না থাকায় দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে ফিরে এসেছেন ৭১ জন প্রবাসী। কাতার থেকে ফিরেছেন ৬ হাজার ৬৮ জন। মালয়েশিয়া থেকে ফিরেছেন ১ হাজার ৮৩৮ জন। চুক্তির মেয়াদ শেষ হওয়ায় দক্ষিণ কোরিয়া থেকে ফিরেছেন ১০০ জন। কাজ না থাকায় থাইল্যান্ড থেকে ফিরেছেন ২০ জন, মিয়ানমার থেকে ৩৯ জন, জর্ডান থেকে ৪৮১ জন এবং ইরাক থেকে ফিরেছেন ১ হাজার ৪১৯ জন। কাজের মেয়াদ শেষ হওয়ায় ভিয়েতনাম থেকে ফিরেছেন ১২২ জন এবং শ্রীলংকা থেকে ৮০ জন।

অন্যদিকে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত সন্দেহে ইতালি থেকে ফেরত পাঠানো হয়েছে ১৫১ জন প্রবাসী বাংলাদেশিকে। এই ১৫১ জন প্রবাসী গত ৬ জুলাই বাংলাদেশ থেকে ইতালি গেলে তাদের ফেরত পাঠানো হয়। পরে দেশে ফিরলে সবাইকে সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়।

এছাড়া লেবানন থেকে ৪৪৪ জন, রাশিয়া থেকে ১০০ জন, মরিশাস থেকে ২০ জন, কম্বোডিয়া থেকে ৪০ জন প্রবাসী কর্মী দেশে ফেরত এসেছেন। খবর বাসসের।

ভারতের কয়েকটি খবরের বিস্তারিত:

প্রয়োজনে সেনা অভিযানে নামব, লাদাখের পরিস্থিতি নিয়ে চিনকে হুঁশিয়ারি রাওয়তের-দৈনিক আনন্দবাজার পত্রিকা

সিডিএস বিপিন রাওয়তের হুঁশিয়ারি

লাদাখে চিনা আগ্রাসন ঠেকাতে প্রয়োজনে সেনা অভিযান চালানো হবে। সেনাকে তার জন্য প্রস্তুত রাখা হয়েছে। রবিবার এমনই হুঁশিয়ারি দিলেন চিফ অব ডিফেন্স স্টাফ (সিডিএস) বিপিন রাওয়ত।

এক সংবাদ সংস্থাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে রাওয়ত বলেন, “শান্তিপূর্ণ ভাবে বিষয়টা মিটিয়ে নেওয়া চেষ্টা করছে ভারত। তবে দু’দেশের মধ্যে যদি সেনা এবং কূটনৈতিক পর্যায়ের আলোচনা ব্যর্থ হয়, তা হলে সেনা অভিযানকেই বিকল্প পথ হিসেবে বেছে নেব আমরা।” লাদাখের পরিস্থিতি নিয়ে কী কী পদক্ষেপ করা যায় সমগ্র বিষয়টি প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহ এবং জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল পর্যালোচনা করছেন বলেও জানান রাওয়ত।

গালওয়ান থেকে শুরু হয়েছে সমস্যা। তার পরে কয়েক মাস কেটে গেলেও পূর্ব লাদাখে সীমান্ত সমস্যার এখনও সমাধান হয়নি। গত দেড় মাস ধরে ভারত-চিনের মধ্যে সেনা এবং কূটনৈতিক পর্যায়ের একাধিক বৈঠকেও কোনও সুরাহা মেলেনি। তার পরেও লাদাখের প্যাংগং, দেপসাং-সহ বিভিন্ন প্রান্তে লাল ফৌজ ঢুকে পড়ার চেষ্টা করেছে। গত বৃহস্পতিবারেও এক দফায় বৈঠক হয়েছে। সূত্রের খবর, সেই বৈঠক থেকেও কোনও আশাপ্রদ ফল মেলেনি।

এক সরকারি সূত্র বলছে, চিনা সেনারা পূর্ব লাদাখে সীমান্তের বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখছে না। যদি সীমান্ত সংক্রান্ত কোনও প্রোটোকল চিন অমান্য করে তা হলে ভারতীয় সেনার কড়া চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হবে তাদের। অন্য দিকে, সেনা জানিয়েছে চিনের পিপলস লিবারেশন আর্মি যে ভাবে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা লঙ্ঘন করছে তা কোনও ভাবেই বরদাস্ত করা হবে না।

নতুন ফন্দি চিনের, এবার পাকিস্তানকে অত্যাধুনিক রণতরী বিক্রি করছে বেজিং-দৈনিক সংবাদ প্রতিদিন

কাশ্মীর (Kashmir) নিয়ে চিনা প্রতিনিধির কাছে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন পাকিস্তানের বিদেশমন্ত্রী । এরপরই ভারতের উপর চাপ বাড়াতে ইসলামাবাদকে (Islamabad) অত্যাধুনিক যুদ্ধজাহাজ (Warship) দিল ‘ড্রাগন’। একটা নয়, ২০২১ সালের মধ্যে অত্যাধুনিক ক্ষমতাসম্পন্ন চারটি যুদ্ধজাহাজ দিতে চলেছে চিন। ওয়াকিবহাল মহল বলছে, চিনে তৈরি হওয়া যুদ্ধজাহাজগুলি হাতে পেলে কয়েকগুণ ক্ষমতাশালী হয়ে উঠবে পাকিস্তানি (Pakistan) নৌসেনা।

চিনা সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, ইসলামাবাদের সঙ্গে কৌশলগত সম্পর্ক আরও মজবুত করছে বেজিং (Bejing)। তারই অংশ হিসেবে রবিবার প্রথম যুদ্ধজাহাজটি ইসলামাবাদের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। এখনও পর্যন্ত যতগুলি যুদ্ধজাহাজ বিদেশি সেনাকে বিক্রি করা হয়েছে, তার মধ্যে সবচেয়ে বড় কমব্যাট শিপ (Combat Ship) হল এটি। রণতরীটিতে রয়েছে মিসাইল প্রতিরোধক ক্ষমতা। পাশাপাশি, অত্যাধুনিক যুদ্ধ সরঞ্জম বহন করার ক্ষমতা রয়েছে জাহাজটির। রবিবার সাংহাইয়ের হুদোং ঝংহুয়া শিপইয়ার্ডে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। সেখানে চিনের নৌসেনা ও রণতরী প্রস্তুতকারক সংস্থার তাবড়-তাবড় কর্তারা হাজির ছিলেন। সেই অনুষ্ঠানেই অত্যাধুনিক রণতরীটিকে সর্বসমক্ষে নিয়ে আসা হয়।

প্রসঙ্গত, সম্প্রতি চিনের বিদেশমন্ত্রী ওয়াং ই-এর সঙ্গে আলোচনায় জম্মু-কাশ্মীরের পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন পাকিস্তানের বিদেশমন্ত্রী শাহ মহম্মদ কুরেশি। এরপরই অত্যাধুনিক রণতরীটি প্রকাশ্যে আনল চিন। যা পাকিস্তানের হাতে তুলে দেওয়া হবে। এদিকে সীমান্ত নিয়ে ভারতের সঙ্গে চিন ও পাকিস্তানের সম্পর্কে টানাপোড়েন চলছে। তার মধ্যেই দুদেশের মধ্যে সামরিক সরঞ্জাম আদান-প্রদানের উপর কড়া নজর রাখছে ভারতও।

রাহুলকে ঘিরে কংগ্রেসের বৈঠকে শোরগোল তুঙ্গে, নাটক প্রকাশ্যেও-দৈনিক আনন্দবাজার পত্রিকা/আজকাল ও সংবাদ প্রতিদিন

কংগ্রেসের ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠক: সোনিয়া ও রাহুল (ফাইর ফটো)

দলের অন্দরে প্রবল টানাপড়েনের মধ্যেই সোমবার বেলা ১১টা থেকে শুরু হয়েছে কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠক। গোড়াতেই রাহুল গাঁধীর মন্তব্য ঘিরে বৈঠক উত্তপ্ত হয়ে উঠল।

সনিয়া গাঁধী দলের অন্তর্বর্তী সভানেত্রী পদ থেকে অব্যাহতি চাওয়ার পর এই বৈঠকে তাঁর উত্তরসূরি মনোনয়নের বিষয়টিই আজকের বৈঠকের মূল আলোচ্য বলে কংগ্রেস সূত্রের খবর ছিল। দলের নেতৃত্ব পরিবর্তন চেয়ে ২৩ জন নেতা চিঠি লেখার পরেই সনিয়া দলের শীর্ষ পদে থাকতে অনীহার কথা জানান। কংগ্রেস সূত্রের খবর, আজ ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকের সূচনাতেই প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহ জানিয়ে দেন সনিয়ার নেতৃত্বের প্রতি দলের পূর্ণ আস্থা রয়েছে। একই কথা বলেন এ কে অ্যান্টনিও। কিন্তু প্রাক্তন সভাপতি রাহুল গাঁধী এদিন নেতৃত্ব পরিবর্তন চেয়ে সনিয়াকে চিঠি লেখা নেতাদের প্রতি বিষোদগার করে অভিযোগ তোলেন, ‘‘এঁদের অনেকের সঙ্গেই বিজেপির যোগ আছে।’’

রাহুলের মন্তব্যের প্রতিবাদে আজ সরব হন আজাদ ও সিব্বল। সূত্রের খবর, রাহুলকে কার্যত চ্যালেঞ্জ করে আজাদ আজ বলেন, ‘‘ বিজেপির সঙ্গে যোগাযোগ প্রমাণিত হলে আমি রাজনীতি ছেড়ে দেব।’’ এক ধাপ এগিয়ে সিব্বল বৈঠক চলাকালীনই টুইটারে দলের অন্তর্বিরোধের প্রসঙ্গ উল্লেখ করেন। লেখেন, ‘‘রাহুল গাঁধী বলছেন আমাদের সঙ্গে বিজেপির আঁতাঁত রয়েছে। রাজস্থান হাইকোর্টে কংগ্রেসকে রক্ষায় সাফল্য পেয়েছি। মণিপুরে বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে দলের লড়াইয়ে সঙ্গ দিয়েছি। গত ৩০ বছর বিজেপির সমর্থনে একটা কথাও বলিনি। তবুও বিজেপির সঙ্গে আমাদের আঁতাঁত!’’ কিছুক্ষণ পরেই অবশ্য টুইটটি তুলে নেন তিনি।

আর সংবাদ প্রতিদিনে খবরটি লেখা হয়েছে এভাবে- প্রত্যাশামতোই কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকে পদত্যাগের ইচ্ছাপ্রকাশ করলেন দলের অন্তর্বর্তীকালীন সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী। তিনি সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, আর দলের দায়িত্বে থাকতে চান না। এবার দলের উচিত নতুন সভাপতি খুঁজে নেওয়া। যদিও সঙ্গে সঙ্গে সোনিয়াকে দলের সভানেত্রী পদে কাজ চালিয়ে যেতে অনুরোধ করেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং এবং প্রাক্তন প্রতিরক্ষামন্ত্রী এ কে অ্যান্টনি। আর যদি নেহাতই সোনিয়া রাজি না হন, তাহলে রাহুল গান্ধীকে ফের ফিরিয়ে আনার দাবি জানান অন্য কংগ্রেস নেতারা।

২৩ জন বিদ্রোহী নেতার চিঠির খবর প্রকাশ্যে আসার পর কংগ্রেসের অন্দরে অনেকটা বিনা মেঘে বজ্রপাতের মতো অবস্থা। কালকের চিঠির কথা প্রকাশ্যে আসার পর থেকেই গান্ধী পরিবারের প্রতি নিজেদের আনুগত্য জাহির করা শুরু করেছেন কংগ্রেসের প্রায় সব স্তরের নেতা। চার কংগ্রেস শাসিত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ইতিমধ্যেই প্রকাশ্যে রাহুল-সোনিয়াকে সমর্থন করেছেন। তাঁদের সাফ কথা, রাহুল যদি দায়িত্ব নিতে রাজি থাকেন তাহলে তাঁকেই দায়িত্ব দেওয়া হোক। আর তিনি যদি নেহাত রাজি না থাকেন, তাহলে কাজ চালিয়ে যান সোনিয়া। দলের লোকসভার সব সাংসদেরও একই বক্তব্য। শুধু যে দুজন ওই চিঠিতে সই করেছেন, সেই মনীশ তিওয়ারি এবং শশী থারুর ছাড়া বাকি সকলেই চাইছেন নেতৃত্ব থাক গান্ধী পরিবারের হাতে। এমনকী, কদিন আগে যিনি বিদ্রোহ করেছিলেন সেই শচীন পাইলটও গান্ধীদের সমর্থনে সুর চড়িয়েছেন। কংগ্রেসের বেশিরভাগ নেতার ধারণা, গান্ধী পরিবারের বাইরে কেউ সভাপতি হলে দলে ভাঙন আরও বাড়বে।#

পার্সটুডে/গাজী আবদুর রশীদ/২৪

ট্যাগ