কথাবার্তা: স্বাস্থ্যখাতে মালেকদের সংখ্যা কত, পেছনে কারা?
https://parstoday.ir/bn/news/uncategorised-i83269-কথাবার্তা_স্বাস্থ্যখাতে_মালেকদের_সংখ্যা_কত_পেছনে_কারা
সুপ্রিয় পাঠক/শ্রোতা: ২২ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবারের কথাবার্তার আসরে স্বাগত জানাচ্ছি আমি গাজী আবদুর রশীদ। আশা করছি আপনারা প্রত্যেকে ভালো আছেন। আসরের শুরুতে ঢাকা ও কোলকাতার গুরুত্বপূর্ণ বাংলা দৈনিকগুলোর বিশেষ বিশেষ খবরের শিরোনাম তুলে ধরছি।
(last modified 2025-07-29T12:16:04+00:00 )
সেপ্টেম্বর ২২, ২০২০ ১৭:২০ Asia/Dhaka

সুপ্রিয় পাঠক/শ্রোতা: ২২ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবারের কথাবার্তার আসরে স্বাগত জানাচ্ছি আমি গাজী আবদুর রশীদ। আশা করছি আপনারা প্রত্যেকে ভালো আছেন। আসরের শুরুতে ঢাকা ও কোলকাতার গুরুত্বপূর্ণ বাংলা দৈনিকগুলোর বিশেষ বিশেষ খবরের শিরোনাম তুলে ধরছি।

বাংলাদেশের শিরোনাম :

  • নুরুলের বিরুদ্ধে এবার কোতোয়ালি থানায় অপহরণ-ধর্ষণের মামলা–প্রথম আলো
  • উত্তরখানে সোহাগ হত্যা: কিশোর গাংয়ের দুই সদস্য গ্রেফতার-কালের কণ্ঠ
  • ফ্লাইট চালুর দাবিতে কারওয়ান বাজারে সৌদি প্রবাসীদের বিক্ষোভ-দৈনিক যুগান্তর 
  • দুর্বল তদারকির কারণে ব্যাংকিংখাতে দুর্নীতি ব্যাপক হারে বেড়েছে টিআইবি-দৈনিক মানবজমিন
  • বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় বাস্তবসম্মত রোডম্যাপ তৈরির আহবান প্রধানমন্ত্রীর-দৈনিক ইত্তেফাক
  • গাড়িচালক মালেকের পেছনে কারা-সমকাল

ভারতের শিরোনাম:

  • বিরোধীশূন্য রাজ্যসভায় পাশ তৃতীয় কৃষি বিলও, ‘অত্যাবশ্যকীয় পণ্য’ থেকে বাদ চাল-আলু-তেল -দৈনিক সংবাদ প্রতিদিন
  • গত তিন বছরে ভারত সীমান্তে দ্বিগুণ শক্তি বাড়িয়েছে চীন, বলছে রিপোর্ট -আনন্দবাজার পত্রিকা
  • সাসপেনশন প্রত্যাহারের দাবিতে রাজ্যসভা বয়কট বিরোধীদের, ধরনা তুললেন ৮ সাংসদ -দৈনিক আজকাল

পাঠক/শ্রোতা! এবারে চলুন, বাছাইকৃত কয়েকটি খবরের বিস্তারিত জেনে নেয়া যাক।

শুরুতেই বিশ্বজুড়ে  করোনার সর্বশেষ খবর। তারপর অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ খবর। 

Image Caption

ওয়ার্ল্ডওমিটারের সর্বশেষ তথ্যানুযায়ী বিশ্বব্যাপী মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৩  কোটি ১৫ লাখ ৬৮ হাজার ছাড়াল। আর মোট মৃত্যুর সংখ্যা সাড়ে ৯ লাখ  ৬৯ হাজার ছাড়িয়েছে। ভারতে ২৪ ঘন্টায় আক্রান্ত ৭৫  হাজার, মোট আক্রান্ত ৫৫  লাখ ৬২ হাজার ছাড়ালো। ভারতে মোট মৃত্যু-৮৮,৯৩৫ জন।

বাংলাদেশের করোনার সর্বশেষ খবরে বিভিন্ন দৈনিকে লেখা হয়েছে, ২৪ ঘন্টায় করোনায় ২৮ জন মারা গেছেন। মোট মৃত্যু ৫ হাজার ছাড়াল। দৈনিক প্রথম আলোর একটি খবরে লেখা হয়েছে, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী আজ অভিযোগ করে বলেছেন, সরকার ব্যবসায়িক উদ্দেশ্যে গণস্বাস্থ্যের কিটের অনুমতি না দিয়ে আমদানির অনুমোদন দিয়েছে।

দিকে দিকে হরিলুট, স্যারেরা বলেন ‘জানতাম না'দৈনিক প্রথম আলোর সহকারী সম্পাদক ফারুক ওয়াসিফ তার এ শিরোনামের নিবন্ধে লিখেছে,

গাড়িচালক আবদুল মালেক

আসলে ওপরওয়ালা ‘স্যারেরা’ কেউ কিছু জানতেন না। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের গাড়িচালক আবদুল মালেক যে এত ধনবান তা নাকি জানতেন না তাঁর বস স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এনায়েত হোসেন। মহাপরিচালকের জন্য বরাদ্দ করা সরকারি পাজেরো জিপ ভোগদখল করছেন তাঁরই গাড়িচালক। এটা না জেনেই মহাপরিচালক আলাদা গাড়ি ব্যবহার করতেন? আর তাঁর দপ্তরের তিনটি গাড়ি হাঁকিয়ে বেড়াচ্ছেন আবদুল মালেক। কে যে কার কর্তা, বোঝা বড়ই মুশকিল। তবে প্রবাদে বলে, লেজ গরুকে নাড়ায় না, গরুই লেজ নাড়ায়। স্যারদের ড্রাইভার যদি এত সম্পদ গড়েন, স্যারদের না জানি আরও কত।

স্বাস্থ্য খাতে মালেকদের সংখ্যা কত?-দৈনিক ইত্তেফাক

কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না : সচিব * চিহ্নিত করে ব্যবস্থা : ডিজি

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ড্রাইভার আব্দুল মালেক গ্রেফতার হওয়ার পর এখন প্রশ্ন উঠেছে স্বাস্থ্য খাতে এই মালেকদের সংখ্যা কত? কীভাবে এই মালেক শতকোটি টাকার সম্পদের মালিক হলেন? তৃতীয় শ্রেণির একজন কর্মচারীর আয়ের উৎস কী? অনুসন্ধানে জানা গেছে, শুধু টেন্ডার, কেনাকাটা আর নিয়োগ-বদলির কমিশনেই মালেক আজ বিপুল বিত্তবৈভবের মালিক।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে যখন যেই ডিজি এসেছেন তারই ড্রাইভার হিসেবে চাকরি করেছেন এই ক্ষমতাধর কর্মচারী মালেক। বসের কাছে তদবির করে পেয়েছেন কমিশন। শুধু কমিশনের টাকায় যদি মালেক শতকোটি টাকার মালিক হন, তাহলে যারা কমিশন দিয়েছেন তারা কত টাকার মালিক হয়েছেন? সেই টাকা কোথায়? দেশেই আছে, না বাইরে পাচার হয়ে গেছে?

আর দৈনিক সমকালের খবরের শিরোনাম করা হয়েছে এভাবে-মালেকের পেছনে কারা ,স্বাস্থ্যের অনেক রাঘববোয়ালের নাম উঠে আসছে। এতে লেখা হয়েছে, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের গাড়িচালক থেকে বিপুল বিত্তবৈভবের মালিক! আবদুল মালেক বাদলের সম্পদের পাহাড় গড়ে তোলার কাহিনি যেন রূপকথার গল্পকেও হার মানায়। ব্যাপক প্রভাব-প্রতিপত্তির কারণে স্বাস্থ্য খাতের অনেকে তাকে 'ছায়া ডিজি' বলেও ডাকত। সাবেক এক মহাপরিচালকের 'পালিত পুত্র' হিসেবেও ছিল তার পরিচিতি। কারা, কীভাবে আর কেন একজন গাড়িচালকের হাতে 'সোনার ডিম'পাড়া হাঁসটি তুলে দিয়েছিল, ক্রমে প্রকাশ্য হচ্ছে সেই চমকপ্রদ তথ্য। মূলত 'স্বাস্থ্য খাতের' মধুভোগীরাই রয়েছে মালেকের অবিশ্বাস্য উত্থানের নেপথ্যে। এরই মধ্যে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর জিজ্ঞাসাবাদে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের দুষ্টচক্রের সদস্যদের নাম প্রকাশ করেছেন মালেক। তাদের মধ্যে বেশ কয়েকজন এই খাতের রাঘববোয়াল। সাবেক দুই ডিজির সঙ্গে বিশেষ সখ্য ছিল মালেকের।

দুর্বল তদারকির কারণে ব্যাংকিংখাতে দুর্নীতি ব্যাপক হারে বেড়েছে: টিআইবি-দৈনিক মানবজমিনের এ খবরে লেখা হয়েছে,

ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)।

বাংলাদেশ ব্যাংকের দুর্বল নিয়ন্ত্রণ ও তদারকি, সরকারের সদিচ্ছার ঘাটতি এবং রাজনৈতিক হস্তক্ষেপের কারণে ব্যাংকিংখাতে আইনের লঙ্ঘন ও অনিয়ম-দুর্নীতির মাত্রা ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে বলে দাবি করেছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)।

মঙ্গলবার ‘খেলাপি ঋণ নিয়ন্ত্রণে বাংলাদেশ ব্যাংকের ভূমিকা এবং সুশাসনের চ্যালেঞ্জ সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশ উপলক্ষে এক ভার্চ্যুয়াল সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি করা হয়।

টিআইবির পরিচালক (গবেষণা ও পলিসি) মোহাম্মদ রফিকুল হাসান প্রতিবেদনটি উপস্থাপন করেন। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান।

টিআইবি বলছে, বিভিন্ন সময়ে খেলাপি ঋণ হ্রাস এবং ইচ্ছাকৃত ঋণ খেলাপিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার কথা বলা হলেও, তা কার্যকর না করে সরকার ও বাংলাদেশ ব্যাংক বার বার ঋণ পুনঃতফসিলিকরণ ও পুনর্গঠনের সুযোগ দেয়। সর্বশেষ ২০১৯ সালের মে মাসে বাংলাদেশ ব্যাংকের একটি নির্দেশনায় খেলাপি ঋণের মাত্র ২ শতাংশ ফেরত দিয়ে পুনঃতফসিলি করার মাধ্যমে ১০ বছরের মধ্যে ঋণ পরিশোধের সুযোগ দেয়া হয়। এভাবে পুনঃতফসিলের মাধ্যমে খেলাপি ঋণ আদায় না করেই গত বছরের সেপ্টেম্বর থেকে প্রায় ২৪ হাজার কোটি টাকা খেলাপি ঋণ কমিয়ে গত মার্চ পর্যন্ত ৯২ হাজার ৫১০ কোটি টাকা খেলাপি ঋণ হিসেবে দেখানো হয়, যা জুন ২০২০-এ ফের বেড়ে দাঁড়ায় ৯৬ হাজার ১১৭ কোটি টাকা। তবে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) একটি প্রতিবেদন অনুযায়ী জুন ২০১৯ পর্যন্ত প্রকৃত খেলাপি ঋণের পরিমাণ প্রায় ৩ লাখ কোটি টাকা।

পিয়াজ: খুচরা বাজারে কমার প্রভাব নেই-দৈনিক মানবজমিন

পাইকারি বাজারে পিয়াজের দাম কিছুটা কমলেও খুচরায় এর প্রভাব পড়েনি। পাইকারি দরের চেয়ে ২০/২৫ টাকা বেশি দামে খুচরা বাজারে বিক্রি হচ্ছে পণ্যটি। এদিকে ভারত থেকে আসা বেশির ভাগ পিয়াজ নষ্ট হওয়ায় পাইকারিতে আবারো দাম বাড়ার আশঙ্কা আছে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।ভারতে পিয়াজের মূল্য বৃদ্ধির খবরে গত শুক্রবারই দেশে পিয়াজের দাম বাড়তে শুরু করে। দুইদিনের ব্যবধানে ৪০ টাকার পিয়াজের দাম উঠে ৬০ টাকায়। সপ্তাহের মাঝামাঝিতে ভারত পিয়াজ রপ্তানি বন্ধের খবরে ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে পাইকারি ও খুচরায় পিয়াজের দাম শতকের ঘর ছাড়িয়ে যায়। আর পিঁয়াজ নিয়ে নিয়ে দৈনিক প্রথম আলোর একটি শিরোনাম-নতুন রেকর্ড-সমুদ্রপথে আসছে পৌনে ছয় লাখ টন পিঁয়াজ।

বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় ‘বাস্তবসম্মত রোডম্যাপ’ তৈরির আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর-দৈনিক সমকালের এ খবরে লেখা হয়েছে,

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন ও সুস্পষ্টভাবে বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সবার কাছে একটি ‘বিশ্বাসযোগ্য ও বাস্তবসম্মত’ রোডম্যাপ তৈরির জন্য জাতিসংঘের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। জাতিসংঘকে দুর্বল করে এমন ভূ-রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বিতার অনুমোদন না দেওয়ারও আহ্বান জানান তিনি।

মঙ্গলবার বাংলাদেশ সময় ভোর ৪টায় জাতিসংঘের ৭৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে নিউইয়র্কে জাতিসংঘের সদর দপ্তরে শুরু হওয়া জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের (ইউএনজিএ)  বিশেষ অধিবেশনে ভার্চুয়াল বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন।

এবার ভারতের কয়েকটি খবরের বিস্তারিত:

বিরোধীশূন্য রাজ্যসভায় পাশ তৃতীয় কৃষি বিলও, ‘অত্যাবশ্যকীয় পণ্য’ থেকে বাদ চাল-আলু-তেল-দৈনিক সংবাদ প্রতিদিন

কার্যত বিরোধীশূন্য রাজ্যসভায় পাশ হয়ে গেল অত্যাবশ্যকীয় পণ্য আইনের সংশোধনী বিল (Essential commodities Amendment law)। গত ১৫ সেপ্টেম্বর লোকসভায় বিলটি পেশ করা হয়েছিল। লোকসভার বাধা সহজেই উতরে যাওয়ার পর আজ বিলটি পেশ করা হয় সংসদের উচ্চকক্ষে। সেখানেও বিলটি পাশ হল বিনা বাধায়। কারণ, আটজন বিরোধী সাংসদকে সাসপেন্ড করার প্রতিবাদে রাজ্যসভার অধিবেশন বয়কট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিরোধী শিবির। এবার রাষ্ট্রপতি সই করলেই সাড়ে ছ’দশক পুরনো অত্যাবশ্যকীয় পণ্য আইনটি সংশোধিত হবে।

এই বিল (Farm Bill 2020) পাশ হওয়ার ফলে, অত্যাবশ্যকীয় পণ্যের ধারণাটাই একপ্রকার পালটে গেল। এখন থেকে চাল, আলু, পিঁয়াজ, ভোজ্য তেল, ডালের মতো বেশ কয়েকটি দৈনন্দিন খাদ্যসামগ্রী আর অত্যাবশ্যকীয় পণ্য হিসেবে গণ্য হবে না। এর ফলে এই পণ্যগুলি এবার থেকে ইচ্ছেমতো মজুত রাখতে পারবে ব্যবসায়ীরা। মজুত রাখার পাশাপাশি ইচ্ছেমতো দামে এগুলি বিক্রি করা যাবে, এক এলাকা থেকে কিনে অন্য এলাকায় নিয়ে বিক্রিতে কোনও বাধা থাকবে না। এক কথায় এই নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যগুলির কেনাবেচা এবং মজুতদারির উপর এতদিন যে সরকারি নিয়ন্ত্রণ ছিল তা পুরোপুরি উঠে যাচ্ছে। তবে, কোনও জরুরি অবস্থা বা যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে সরকার চাইলে এই পণ্যগুলির মজুতদারির উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করতে পারবে। অত্যধিক হারে মূল্যবৃদ্ধি সেটাও নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে।

গত তিন বছরে ভারত সীমান্তে দ্বিগুণ শক্তি বাড়িয়েছে চীন, বলছে রিপোর্ট-দৈনিক আনন্দবাজার পত্রিকার এ শিরোনামের খবরে লেখা হয়েছে,

লাদাখে চীনা বাহিনীর আগ্রাসন আসলে দীর্ঘ পরিকল্পনার ফসল। ডোকলামে সংঘাতের পর ভারতের সঙ্গে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা (এলএসি) বরাবর এলাকাগুলি নিজেদের কব্জার মধ্যে নিয়ে আসাই লক্ষ্য ছিল ড্রাগনদের। তাই লাদাখ-সহ ভারতের পূর্ব দিকে এলএসি বরাবর সামরিক শক্তি বৃদ্ধিতে মনোনিবেশ করে চিন। তার পর থেকে গত তিন বছরে সেখানে নিজেদের শক্তি তিন গুণ বাড়িয়ে নিতে সফল হয়েছে তারা।

চলতি বছরের গোড়া থেকেই চিনের সম্প্রসারণ নীতি ঠেকিয়ে আসার চেষ্টা করছে ভারত। তা নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে বেশ কয়েক বার সংঘর্ষও বেধেছে। লাদাখে স্থিতাবস্থা টিকিয়ে রাখতে এই মুহূর্তে আলাপ আলোচনার মাধ্যমে সমঝোতায় আসতে চাইছে দুই দেশ। তার মধ্যেই এলএসি বরাবর চিনের শক্তি বৃদ্ধি নিয়ে মার্কিন সংস্থার রিপোর্ট দিল্লির মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।#

পার্সটুডে/গাজী আবদুর রশীদ/‌২২