হামাস বলছে- আঙুল বন্দুকের ট্রিগারেই রয়েছে
গাজা-ইসরাইল যুদ্ধবিরতির মেয়াদ বাড়তে পারে: কাতার
ইহুদিবাদী ইসরাইল এবং ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার প্রতিরোধ যোদ্ধাদের মধ্যে যে বন্দী বিনিময় ও যুদ্ধবিরতি হয়েছে তা বাস্তবায়নের শেষ পর্যায়ে চুক্তির মেয়াদ বাড়ানো হতে পারে। চুক্তির অন্যতম প্রধান মধ্যস্থতাকারী দেশ কাতার এ তথ্য জানিয়েছে।
গতকাল (সোমবার) শেষ বেলায় দুই পক্ষ এই চুক্তির ঘোষণা দেয় এবং এরইমধ্যে ইহুদিবাদী ইসরাইলের সংসদ নেসেটে চুক্তিটি অনুমোদিত হয়েছে। এই চুক্তি সইয়ের ব্যাপারে কাতার, মিশর এবং আমেরিকা মধ্যস্থতা করেছে বলে জানিয়েছে কাতারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
চুক্তির ফলে গাজা থেকে ৫০ জন বন্দি মুক্তি পাবে, তার বিনিময়ে ইসরাইলের কারাগার থেকে ১৫০ জন ফিলিস্তিনি নারী ও শিশু মুক্তি পাবে। এছাড়া, গাজার রাফা ক্রসিং সীমান্তে যে শত শত খাদ্য, ওষুধ ও অন্যান্য ত্রাণবাহী ট্রাক অপেক্ষা করছে সেগুলো গাজার ভেতরে প্রবেশ করতে পারবে। এতে গাজার ভয়াবহ খাদ্য ও অন্যান্য জরুরি পণ্যের সংকট কিছুটা হলেও মিটবে।
চুক্তির বিষয়টি এরইমধ্যে হামাসের পক্ষ থেকে নিশ্চিত করা হয়েছে তবে সংগঠনটি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেছে, তাদের যোদ্ধাদের হাত বন্দুকের ট্রিগারেই রয়েছে। ইসরাইল যদি কোনভাবে এই যুদ্ধবিরোতি লঙ্ঘন করে তবে হামাসও তাৎক্ষণিকভাবে তার জবাব দেবে।
৪৭ দিনের যুদ্ধ শেষে সই হওয়া যুদ্ধবিরতির চুক্তিকে হামাস বিজয় হিসেবে দেখছে। তারা বলছে, ইসরাইল এই সংগঠনের যোদ্ধাদেরকে সম্পূর্ণভাবে নির্মূল করবে বলে ঘোষণা দিয়েছিল কিন্তু শত চেষ্টা সত্ত্বেও তারা সে লক্ষ্যের ধারেকাছেই পৌঁছাতে পারেনি।
কাতারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, পরবর্তী ২৪ ঘন্টার মধ্যে যুদ্ধবিরতি কার্যকরের সময় ঘোষণা করা হবে। বিবৃতিতে আরো বলা হয়েছে, চুক্তি বাস্তবায়নের শেষ পর্যায়ে বন্দী বিনিময়ের সংখ্যাও বাড়তে পারে।#
পার্সটুডে/এসআইবি/২০
বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।