Pars Today
ফিলিস্তিনের ইসলামী প্রতিরোধ আন্দোলন হামাসের লেবানন প্রতিনিধি ও পলিটব্যুরোর সদস্য ওসামা হামদান বলেছেন, তার সংগঠন ফিলিস্তিনি জনগণকে রক্ষা করতে এবং আঞ্চলিক শান্তি অর্জনের জন্য ইহুদিবাদী ইসরাইল সরকারের ধ্বংস চায়। তিনি জোর দিয়ে বলেন, গাজা উপত্যকা এবং লেবাননে গণহত্যা দখলদারদের পতনের পথ প্রশস্ত করেছে।
মার্কিন মধ্যস্থতায় লেবানন এবং ইহুদিবাদী ইসরাইল যুদ্ধবিরতি চুক্তির শর্তের ব্যাপারে একমত হয়েছে বলে খবর বেরিয়েছে। আমেরিকার কয়েকজন সরকারি কর্মকর্তা এবং ইসরাইলি সূত্র মার্কিন নিউজ ওয়েবসাইট এক্সিওসকে জানিয়েছে, চুক্তি প্রায় চূড়ান্ত হয়ে গেছে।
ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইহুদিবাদী ইসরাইলের বর্বরতা ও গণহত্যা বন্ধ করার জন্য যুদ্ধবিরতির অনুরোধ জানিয়ে তোলা একটি প্রস্তাবে ভেটো দিয়েছে আমেরিকা।
ফিলিস্তিনের ইসলামী প্রতিরোধ আন্দোলন হামাসের পলিট ব্যুরোর সদস্য ইজ্জাত আল-রিশ্ক গাজা উপত্যকায় সাময়িক যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব নাকচ করেছেন। তিনি বলেছেন, সাময়িক যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব বিভ্রান্তিকর এবং এই উদ্যোগের মধ্যে দীর্ঘস্থায়ী যুদ্ধবিরতির কোনো ব্যবস্থা নেই।
ফিলিস্তিনের ইসলামি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাসের কর্মকর্তারা বলেছেন, গাজায় পাশবিক যুদ্ধ অব্যাহত থাকার এবং যুদ্ধবিরতিতে ব্যর্থতার মূল কারণ হচ্ছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ইহুদিবাদী শাসক গোষ্ঠীর নানা প্রতারণা ও প্রতিবন্ধকতা।
লেবাননের প্রধানমন্ত্রী নাজিব মিকাতি আশা প্রকাশ করেছেন, আগামী কয়েক ঘণ্টার মধ্যে তার দেশে যুদ্ধবিরতি প্রতিষ্ঠিত হতে পারে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা হু’র প্রধান টেডরোস আধানম অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার উত্তর অংশের পরিস্থিতিকে ‘বিপর্যয়কর’ বলে অভিহিত করেছেন। তিনি নিজের অফিসিয়াল এক্স পেজে দেয়া এক পোস্টে বলেছেন, “উত্তর গাজার পরিস্থিতি অত্যন্ত বিপর্যয়কর।”
গাজা উপত্যকায় যুদ্ধবিরতি প্রতিষ্ঠা করার লক্ষ্যে আবার কূটনৈতিক প্রচেষ্টা শুরু হয়েছে। তবে হামাস বলেছে, ইসরাইল যুদ্ধ বন্ধ না করলে একজন ইহুদিবাদী পণবন্দিও জীবিত মুক্তি পাবে না।
গাজা উপত্যকায় যুদ্ধবিরতি প্রতিষ্ঠা করার আলোচনায় ইহুদিবাদী ইসরাইলের পক্ষ থেকে নতুন করে ‘আর কোনো চাহিদা বা শর্ত’ মেনে নেয়া হবে না বলে ঘোষণা করেছে হামাস।
ফিলিস্তিনের ইসলামি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাসের একজন সিনিয়র নেতা বলেছেন, ফিলাডেলফি করিডোরে দখলদার ইসরাইলি সেনা উপস্থিতি বজায় রেখে কোনো যুদ্ধবিরতি চুক্তি মানবে না তার সংগঠন।