নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাব পাস
স্বাগত জানিয়েছে হামাসসহ ফিলিস্তিনের প্রতিরোধ আন্দোলনগুলো
ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইহুদিবাদী ইসরাইলের বর্বর আগ্রাসন ও গণহত্যা বন্ধের দাবিতে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে যে প্রস্তাব পাস হয়েছে তাকে স্বাগত জানিয়েছে ফিলিস্তিনের প্রতিরোধ আন্দোলনগুলো। প্রস্তাবে অবিলম্বে গাজায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর এবং ইসরাইলি বন্দীদের মুক্তির কথা বলা হয়েছে।
এ প্রস্তাবকে স্বাগত জানিয়ে ফিলিস্তিনের ইসলামী প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস বলেছে, গাজায় স্থায়ীভাবে যুদ্ধবিরতি এবং দখলদার ইহুদিবাদী সেনাদের প্রত্যাহার জরুরি। পাশাপাশি ইসরাইলি আগ্রাসনের শিকার হয়ে যে সমস্ত মানুষ নিজেদের ঘরবাড়ি ছেড়ে উদ্বাস্তু হয়েছে তাদেরকে জরুরিভিত্তিতে বসতভিটায় ফেরার ব্যবস্থা করতে হবে।
হামাস আরো বলেছে, তারা দ্রুতই বন্দী বিনিময়ের বিষয়ে আলোচনায় বসতে প্রস্তুত রয়েছে। দখলদার ইসরাইল যাতে এই যুদ্ধবিরতি মেনে চলে তা নিশ্চিত করার জন্য জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে হামাস।
সংগঠনটি জোর দিয়ে বলেছে, জনগণের স্বাধীনতা, আল-কুদসকে রাজধানী করে সার্বভৌম রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা এবং আন্তর্জাতিক প্রস্তাব ও আইন অনুসারে ফিলিস্তিনি জনগণের ভাগ্য নিয়ন্ত্রণের অধিকার নিশ্চিত করতে হবে। আলজেরিয়াসহ যেসব দেশ এ প্রস্তাব নিরাপত্তা পরিষদে উত্থাপন করেছে তাদের সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়েছে হামাস।
এদিকে, ফিলিস্তিনের কয়েকটি প্রতিরোধ সংগঠনের জোট ‘পপুলার রেজিস্ট্যান্স কমিটি’ নিরাপত্তা পরিষদে পাস হওয়া এই প্রস্তাবকে স্বাগত জানিয়েছে। এক বিবৃতিতে এ জোট বলেছে, নিরাপত্তা পরিষদে পাস হওয়া এই প্রস্তাবকে রেজিস্ট্যান্স কমিটি ইসরাইল ও যুদ্ধবাজ প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর মুখে ‘চপেটাঘাত’ হিসেবে গণ্য করছে। ফিলিস্তিনের পপুলার ফ্রন্ট ফর দ্য লিবারেশন অফ প্যালেস্টাইনও নিরাপত্তা পরিষদের এই প্রস্তাবকে স্বাগত জানিয়েছে।
অন্যদিকে, জাতিসংঘে নিযুক্ত ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রদূত রিয়াদ মনসুর বলেছেন, প্রস্তাবটি গাজা যুদ্ধাবসানের ক্ষেত্রে একটি "টার্নিং পয়েন্ট" হবে।#
পার্সটুডে/এসআইবি/২৬
বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।