লেবানন-ইসরাইল সীমান্তে উত্তেজনা চলছে
সিনিয়র কমান্ডার হত্যার জবাবে ১০০ রকেট নিক্ষেপ নিক্ষেপ করল হিজবুল্লাহ
লেবাননের ইসলামি প্রতিরোধ আন্দোলন হিজবুল্লাহ বলেছে, দক্ষিণ লেবাননে ইহুদিবাদী ইসরাইলের বিমান হামলায় সংগঠনটির একজন সিনিয়র কমান্ডার শহীদ হয়েছেন। বুধবার এক বিবৃতিতে হিজবুল্লাহ তাদের কমান্ডার মোহাম্মাদ নাঈম নাসেরের শাহাদাতের খবর নিশ্চিত করেছে।
ঠিক কোথায় কী ধরনের বিমান হামলায় তিনি শহীদ হয়েছেন সে সম্পর্কে বিস্তারিত কোনো তথ্য বিবৃতিতে জানানো হয়নি। তবে লেবাননের গণমাধ্যমের খবরে জানানো হয়, দক্ষিণ লেবাননের তাইর জেলার হোশ এলাকায় ইসরাইলি বিমান হামলায় ওই কমান্ডার শহীদ হন।
দু’টি নিরাপত্তা সূত্র বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেছে, নিহত কমান্ডার ইসরাইল-লেবানন সীমান্তবর্তী হিজবুল্লাহর একটি অপারেশন সেন্টারের প্রধান ছিলেন। গত অক্টোবর থেকে ইসরাইলবিরোধী অভিযানের দায়িত্ব পালন করছিলেন তিনি।
সিনিয়র কমান্ডারের শাহাদাতের বদলা নিতে বুধবারই ইসরাইল অধিকৃত গোলান মালভূমিতে অবস্থিত দু’টি ইসরাইলি অবস্থানে ১০০টি কাতিউশা রকেট নিক্ষেপ করেছে হিজবুল্লাহ।
এদিকে লেবানন সীমান্তে উত্তেজনা বেড়ে যাওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে ইসরাইলি যুদ্ধমন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্ট আবার লেবাননের বিরুদ্ধে ‘প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের’ হুমকি দিয়েছেন যাতে ‘শক্তিশালী অবস্থানে থেকে’ সম্ভাব্য যুদ্ধবিরতির আলোচনা করা যায়।
গত মাসে ইহুদিবাদী বাহিনী হিজবুল্লাহর শীর্ষ পর্যায়ের কমান্ডার সামি তালেব আব্দাল্লাহকে হত্যা করার পর সীমান্তে উত্তেজনা চরমে পৌঁছেছে। ওই হত্যাকাণ্ডের জের ধরে হিজবুল্লাহ ইসরাইলের বিরুদ্ধে এ যাবতকালের সবচেয়ে বড় ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা চালায়।
লেবাননের প্রতিরোধ আন্দোলন বারবার বলে এসেছে, তাদের হামলা বন্ধ করার একমাত্র উপায় গাজায় ইসরাইলি গণহত্যা বন্ধ করা। সম্প্রতি হিজবুল্লাহর দ্বিতীয় শীর্ষ নেতা শেখ নাঈম কাসেম বলেছেন, গাজায় যুদ্ধবিরতি প্রতিষ্ঠিত হলে হিজবুল্লাহ কোনো আলোচনা ছাড়াই ইসরাইলবিরোধী হামলা বন্ধ করে দেবে। হিজবুল্লাহ ২০০০ এবং ২০০৬ সালে দুইবার ইসরাইলের বিরুদ্ধে সর্বাত্মক যুদ্ধ করে এবং দু’বারই ইহুদিবাদী সরকার তার সেনা প্রত্যাহার করতে বাধ্য হয়।#
পার্সটুডে/এমএমআই/৪
বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।