সম্প্রতি ইহুদিবাদ নামক মতবাদটি বিলীন হওয়ার গতি বেড়েছে: ইলান পাপ্পে
পার্সটুডে- ইসরাইলি লেখক ইলান পাপ্পে বলেছেন, এমন একটি শাসক গোষ্ঠীর মাধ্যমে গাজা গণহত্যা পরিচালিত হচ্ছে যারা গাজাকে পুরোপুরি ধ্বংস করার চিন্তা-বিশ্বাস লালন করে। স্পেনের দৈনিক এল পাইস-কে দেওয়া একটি সাক্ষাত্কারে তিনি এ কথা বলেছেন।
ইসরাইলের এই ইতিহাসবিদ বলেন, বর্তমানে গাজায় যা ঘটছে তা অবশ্যই গণহত্যা। এটা কেবল নারী ও শিশুসহ বিপুল সংখ্যক মানুষ নিহত হওয়ার কারণে নয় বরং এই অন্যায়ের পেছনে একটি চিন্তা-বিশ্বাস কাজ করছে আর তাহলো গাজার সব মানুষকে এমনকি সম্ভবত সব ফিলিস্তিনিকেও মেরে ফেলা বৈধ। ইসরাইলের শাসক গোষ্ঠী এমনটাই মনে করে।
এল পাইস পত্রিকার সাংবাদিকের একটি প্রশ্ন ছিল এরকম: 'আপনি কয়েক মাস আগে একটি নিবন্ধে যুক্তি দিয়েছিলেন যে ইহুদিবাদ ভেঙে পড়ছে; আপনি কি এখনও ঐ অবস্থানে অটল রয়েছেন?' এই প্রশ্নের উত্তরে ইলান পাপ্পে বলেন, 'হ্যা, অবশ্যই। আমি আমার অবস্থানে অটল রয়েছি। আমি বেশ কয়েকটি প্রক্রিয়া চিহ্নিত করেছি যেগুলো একসঙ্গে মেলালে ইহুদিবাদ নামক মতবাদের ধ্বংস নির্দেশ করে এবং আমার নিবন্ধটি লেখার পর ধ্বংসের এই প্রক্রিয়াটি আরও জোরালো হয়েছে।'
গত বছরের ৭ অক্টোবর থেকে পশ্চিমা দেশগুলোর পূর্ণ সমর্থনে দখলদার ইসরাইল ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকা এবং জর্ডান নদীর পশ্চিম তীরে নতুন করে গণহত্যা শুরু করেছে।
সর্বশেষ পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গাজায় ইহুদিবাদী ইসরাইলের হামলায় ৪৩ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি শহীদ হয়েছেন এবং এক লাখ সাত হাজারের বেশি আহত হয়েছেন।
ব্রিটিশ সরকারের সরাসরি সহযোগিতায় ফিলিস্তিনের মাটিতে ইহুদিবাদীরা অবৈধ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম হয়। ব্রিটেনের তৎকালীন পররাষ্ট্রমন্ত্রী লর্ড আর্থার জেমস বেলফোর ১৯১৭ সালের ২ নভেম্বর ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে ইহুদিবাদী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার প্রতিশ্রুতি দেন। এরপর ১৯৪৮ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে অবৈধ ইসরাইল রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার ঘোষণা দেওয়া হয়। আমেরিকা ও ব্রিটেনসহ পশ্চিমাদের সহযোগিতায় এ পর্যন্ত ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে বহু গণহত্যা চালানো হয়েছে।
ইসলামী প্রজাতন্ত্র ইরানসহ অনেকেই ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে ইসরাইলের অবৈধ শাসনের বিলুপ্তি চায় এবং বিশ্বের বুকে এমন অবৈধ অস্তিত্বকে গোটা মানবতার জন্য লজ্জাজনক বলে মনে করে।#
পার্সটুডে/এসএ/১৭
বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।