জোলানির ইরাক সফর: তাকে গ্রেপ্তারের সম্ভাবনা কতটুকু?
(last modified Tue, 22 Apr 2025 13:17:27 GMT )
এপ্রিল ২২, ২০২৫ ১৯:১৭ Asia/Dhaka
  • • জোলানির ইরাক সফর: তাকে গ্রেপ্তারের সম্ভাবনা কতটুকু?
    • জোলানির ইরাক সফর: তাকে গ্রেপ্তারের সম্ভাবনা কতটুকু?

পার্সটুডে - ইরাকি আসাইব আহলুল-হক আন্দোলনের মহাসচিব বলেছেন যে সিরিয়া সরকারের বর্তমান প্রধান আল-জোলানির ইরাকে উপস্থিতির কারণে আইন প্রয়োগকারী সংস্থা তাকে গ্রেপ্তার করতে পারে। কারণ ইরাকি বিচার বিভাগ তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে।

সিরিয়ার নতুন সরকারের প্রধান আহমেদ আল-শারা, যার ডাকনাম আল-জোলানি, তাকে সম্প্রতি ইরাকে সন্ত্রাসী গোষ্ঠী আল-কায়েদা, আইএস বা দায়েশ এবং নুসরা ফ্রন্টের সাথে যুক্ত থাকায়, সন্ত্রাসী গোষ্ঠী তাহরির আল-শাম প্রতিষ্ঠা এবং বড় ধরনের অপরাধ সংঘটনের অভিযোগে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে। সম্প্রতি, ইরাকি প্রধানমন্ত্রী মুহাম্মদ শিয়া আল-সুদানি ১৭ মে আরব লীগ শীর্ষ সম্মেলনে অংশগ্রহণের জন্য আল-জোলানিকে বাগদাদ ভ্রমণের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। এই আমন্ত্রণ ইরাকের জনগণ এবং বিভিন্ন গোষ্ঠীর মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি করে। বাগদাদ আল-ইয়ুম নিউজ সাইটের উদ্ধৃতি দিয়ে পার্সটুডে জানিয়েছে, ইরাকি আসাইব আহলুলহক আন্দোলনের মহাসচিব কায়েস আল-খাজালি ঘোষণা করেছেন: ইরাক ও সিরিয়া এই দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক অপরিহার্য এবং তাদের অভিন্ন স্বার্থ রয়েছে, কিন্তু একই সাথে, এই পর্যায়ে ইরাকে সিরিয়ার বর্তমান সরকার প্রধানের উপস্থিতি অনেক বেশি তড়িঘড়িমূলক।  

আল-খাজালি ইরাকি বিচার বিভাগের সিদ্ধান্ত মেনে চলার উপর জোর দিয়ে এই মামলায় সতর্ক দৃষ্টিভঙ্গি গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছিলেন, যাতে ইরাকের জাতীয় সার্বভৌমত্ব রক্ষা পায় এবং দেশের আইনি প্রতিষ্ঠানগুলোকে সম্মান করা হয়।

কাতারের মধ্যস্থতায় ইরাকি প্রধানমন্ত্রী মুহাম্মদ শিয়া আল-সুদানী এবং নতুন সিরিয়ার সরকারের প্রধান আহমেদ আল-শারার মধ্যে বৈঠকের পর বাগদাদ ও দামেস্কের মধ্যে সম্পর্ক যখন এক নতুন পর্যায়ে প্রবেশ করেছে, তখন আল জোলানির ব্যাপারে এই বক্তব্যগুলো এসেছে।

এই বৈঠকে, আল-জোলানি এবং আল-সুদানি দুই দেশের সার্বভৌমত্ব ও স্বাধীনতার প্রতি শ্রদ্ধাশীল হওয়া এবং যেকোনো বিদেশী হস্তক্ষেপের বিরোধিতা করার প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দেন এবং বলেন যে সিরিয়া ও ইরাকের নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা আঞ্চলিক নিরাপত্তার ভিত্তি।

বৈঠকে সীমান্তের নিরাপত্তা নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে এবং সম্ভাব্য হুমকি ও বিপদ মোকাবেলার লক্ষ্যে মাঠ পর্যায়ে এবং গোয়েন্দা সমন্বয় জোরদার করার বিষয়ে একমত হয়েছে।

অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে, আল-জোলানি এবং আল-সুদানী দুই দেশের কৌশলগত স্বার্থের সাথে সামঞ্জস্য রেখে বাণিজ্য বৃদ্ধি, যৌথ সীমান্ত ক্রসিংয়ের মাধ্যমে পণ্য ও মানুষের যাতায়াত সহজতর করার, বিনিয়োগকে উৎসাহিত করার এবং জ্বালানি, পরিবহন ও অবকাঠামোগত সহযোগিতার নতুন দিগন্ত উন্মোচনের উপায় নিয়েও আলোচনা করেছেন।#

পার্সটুডে/এমআরএইচ/২২

বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।