কোন কোন বিমান সংস্থা ইসরাইলে ফ্লাইট স্থগিত করেছে?
-
কোন কোন বিমান সংস্থা ইসরাইলে ফ্লাইট স্থগিত করেছে?
পার্সটুডে-তেল আবিবের বেন গুরিয়ন বিমানবন্দরে ইয়েমেনি সশস্ত্র বাহিনীর সাম্প্রতিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলার ঘটনায় ইসরাইলের বিমান সংকটকে নতুন পর্যায়ে নিয়ে গেছে।
বেন গুরিয়ন বিমানবন্দরে ইয়েমেনি সশস্ত্র বাহিনীর সাম্প্রতিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পর, ফ্লাইট স্থগিত করার ঢেউ উঠেছে। ফলে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে হাজার হাজার ইসরাইলি যাত্রীর গমনাগমন অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়েছে। পার্সটুডে'র মতে, জার্মানি, সুইজারল্যান্ড, স্পেন, ইতালি এবং ভারত সহ বেশ কয়েকটি দেশের বিমান সংস্থা তেলআবিবে তাদের ফ্লাইট স্থগিতের সময় আরও বাড়িয়েছে। নিরাপত্তাজনিত উদ্বেগের কারণে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে বলে জানায় বিমান সংস্থাগুলো।
জার্মান বিমান সংস্থা লুফথানসার মুখপাত্র এ বিষয়ে জানান, নিরাপত্তার কারণে এবং পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত, ইসরাইলে ফ্লাইট পরিচালনা করা হবে না। সুইস এয়ার এবং এয়ার ইন্ডিয়াও একই রকম সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এই কোম্পানিগুলোর সরকারী সূত্র জোর দিয়ে বলেছে যে যাত্রী এবং বিমান ক্রুদের নিরাপত্তা সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার। যে কোনও ফ্লাইট পুনরায় চালু করার বিষয়টি ভবিষ্যতের নিরাপত্তা পরিস্থিতি মূল্যায়ন সাপেক্ষে বিবেচনা করা হবে।
ইতালীয় বিমান সংস্থা আইটিএ শনিবার ঘোষণা করেছে যে তারা ১৯ মে পর্যন্ত অধিকৃত অঞ্চলগুলোতে তাদের সমস্ত ফ্লাইট স্থগিত রাখবে।
বিশ্লেষকরা বিশ্বাস করেন যে এই ধারা অব্যাহত থাকলে ইসরাইলের ওপর উল্লেখযোগ্য পর্যায়ের অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক প্রভাব পড়তে পারে, বিশেষ করে বিমান পরিবহন এবং পর্যটনের ক্ষেত্রে। ইতোমধ্যে, ইসরাইলি কর্তৃপক্ষও ঘোষণা করেছে যে তারা দেশের বিমানবন্দরগুলোতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা বাড়িয়ে দিয়েছে।
ইয়েমেনি সেনাবাহিনীর ক্ষেপণাস্ত্র হামলার কারণে বেন গুরিয়ন বিমানবন্দরে বেশ কয়েকটি বিদেশী কোম্পানির ফ্লাইট স্থগিত করার পর সম্প্রতি ইহুদিবাদী কোম্পানি সিগন্যালের সিইও বলেছেন: আমরা আশা করি যে বিমান সংস্থাগুলো আর ইসরাইলে তাদের ফ্লাইট স্থগিত করবে না, কারণ এর ফলে আমাদের প্রচুর ক্ষতি হবে এবং মূল্য বৃদ্ধি পাবে।
তার মতে, ইসরাইলি কোম্পানিগুলো, যারা পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে, কখন তাদের কার্যক্রম পুনরায় শুরু করবে তা নির্ধারণ করা কঠিন।
এই বিষয়ে, ইয়েমেনের মানবিক অপারেশনস সমন্বয় কেন্দ্র ঘোষণা করেছে, তারা আন্তর্জাতিক বেসামরিক বিমান চলাচল সংস্থা এবং বিমান পরিবহন সমিতিকে জানিয়েছে যে ইসরাইলি শত্রু বিমানবন্দরগুলো ইয়েমেনি সশস্ত্র বাহিনীর দ্বারা ক্রমাগত আক্রমণের শিকার হচ্ছে, তাই তাদেরকে অবশ্যই সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলোর (ATS) সাথে সমন্বয় করতে হবে।
সাম্প্রতিক মাসগুলোতে, ইয়েমেনের সেনাবাহিনী গাজা উপত্যকায় নিপীড়িত ফিলিস্তিনি জনগণের প্রতিরোধের সমর্থনে ইসরাইলি সামরিক লক্ষ্যবস্তুতে আক্রমণ চালিয়েছে। একইসাথে ইহুদিবাদী সরকারের ওপর নৌ অবরোধ আরোপ করা হয়েছে।
ইয়েমেনের সেনাবাহিনী ইসরাইল-অধিকৃত অঞ্চলগুলোতে অবরোধ এবং আক্রমণ চালিয়ে যাওয়ার অঙ্গিকার করেছে, যতক্ষণ না ইহুদিবাদী সরকার গাজার ওপর তাদের আক্রমণ বন্ধ করে।#
পার্সটুডে/এনএম/১১
বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।