ইসরাইলে ইরানের গোয়েন্দা আঘাতের বিষয়ে এক্স ব্যবহারকারীদের প্রতিক্রিয়া: মোসাদ হতবাক!

জেরুজালেমের দখলদার ইসরাইলি সরকারের গুপ্তচরবৃত্তির বিরুদ্ধে যুদ্ধে ইরানের গোয়েন্দা সংস্থার সবচেয়ে বড় বিজয় সামনে এনেছে ইসলামী প্রজাতন্ত্র ইরান।

গণমাধ্যমে প্রকাশিত তথ্য অনুসারে, একটি জটিল অভিযানে ইরানি গোয়েন্দা সংস্থাগুলো দখলকৃত অঞ্চল থেকে উল্লেখযোগ্য পরিমাণে ইসরাইলি কৌশলগত নথি, বিশেষ করে সরকারের পারমাণবিক কর্মসূচি বিষয়ক গুরুত্বপূর্ণ নথি ইরানে আনতে এবং নিরাপদ স্থানে সেগুলো অধ্যয়ন ও পরীক্ষা করতে সফল হয়েছে। পার্সটুডে অনুসারে, ইরানে এই নথি স্থানান্তরের সাথে সম্পর্কিত নিরাপত্তা বিবেচনা এবং এগুলোর বিশাল পরিমাণের কারণে তেহরান এই কৌশলগত সাফল্য তাড়াতাড়ি প্রকাশ করা থেকে বিরত থাকে এবং বর্তমানে এই অর্জন প্রকাশ করে। ইসরাইলি সরকারের গুপ্তচরবৃত্তির বিরুদ্ধে যুদ্ধে ইরানি গোয়েন্দা সংস্থার দুর্দান্ত সাফল্যের খবর প্রকাশ হওয়ার পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্স ব্যবহারকারীদের মধ্যে নানা প্রতিক্রিয়া লক্ষ্য করা গেছে।

আরাশ নামে একজন ব্যবহারকারী "একটি জটিল অভিযান এবং ইসরাইলের প্রতি অপূরণীয় আঘাত" শিরোনামে একটি টুইটে লিখেছেন: প্রাপ্ত নথিগুলোতে ইসরাইলি সুবিধা সম্পর্কিত নথি এবং ভিডিও ক্লিপ অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। আহমেদ রেজা লিখেছেন,  ইরানের পারমাণবিক স্থাপনা আক্রমণ করতে চেয়েছিল শিশু হত্যাকারী ইসরাইল, আজ তার সমস্ত পারমাণবিক নথি ইসলামিক প্রজাতন্ত্রের হাতে।

এক্স ব্যবহারকারী আরেকজন সৈনিক বেহরুজ আজিজি বলেছেন, ইরানের বিপুল পরিমাণ ইসরাইলি পারমাণবিক তথ্য অর্জনের অর্থ ইহুদিবাদী শাসনব্যবস্থার পরাজয়।

বেহরুজ আজিজি আরো বলেছেন যে গোপন ইসরাইলি নথিপত্র পাওয়া ইরানি সামরিক কর্মকর্তাদের কাজকে সহজ করে তুলেছে এবং লিখেছেন: ইহুদিবাদী শাসনব্যবস্থার পারমাণবিক স্থাপনা এবং অবকাঠামোতে কী ঘটে তার জন্য অপেক্ষা করুন।

মেহদি জারিনাম এই প্রসঙ্গে আরও বলেছেন: ইরান ইসরাইলের উপর একটি বড় গোয়েন্দা আঘাত করেছে এবং তাদের স্থাপনা পরিকল্পনা অর্জন করেছে। নথিপত্রের পরিমাণ এত বেশি যে সেগুলি পর্যালোচনা করতে সপ্তাহখানেক সময় লাগবে।]রাৃ

আবদুল মাজিদ, আরেকজন এক্স ব্যবহারকারী, ইহুদিবাদীদের বিরুদ্ধে ইরানের গোয়েন্দা সাফল্যের প্রতিক্রিয়ায় লিখেছেন,  নেতানিয়াহু এবং ট্রাম্পের বিপরীতে, ইরানের কোনও মিডিয়া প্রচার নেই এবং উপযুক্ত সময়ে যথাযথ ব্যবস্থা নেবে। মোখতারজাদেহ আরো বলেছেন,  মোসাদের দুর্ভেদ্যতার মিথ ইরানি গোয়েন্দা সংস্থা ধ্বংস করেছে।

মাগসৌদি নামে একজন ব্যবহারকারী আশা প্রকাশ করেছেন যে গাজার জনগণের গণহত্যার সাথে জড়িত ব্যক্তিদের একটি তালিকা ইরানের কাছে থাকা নথিতে অন্তর্ভুক্ত করা হবে, যাতে আন্তর্জাতিক মহলে এটি প্রকাশ করে তাদের কর্মকাণ্ডের জন্য জবাবদিহি করা যায়।#

পার্সটুডে/এমবিএ/১০

বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।