সৌদি গোপন আদালত নিপীড়নের হাতিয়ার: অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল
আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল সৌদি আরবকে অভিযুক্ত করে গতকাল (বৃহস্পতিবার) বলেছে, দেশটি গোপন আদালতকে মূলত বিরোধীমত দমনের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছে। লন্ডনভিত্তিক মানবাধিকার সংস্থাটি আদালতের বিভিন্ন নথিপত্র পরীক্ষা-নিরীক্ষা এক রিপোর্টে এসব কথা বলেছে।
রিয়াদ সরকার গোপন এ আদালতকে ব্যবহার করে সৌদি আরবের বিরোধী চিন্তার লোকজনকে ভীত সন্ত্রস্ত করে তুলছে। এর মধ্যে রয়েছেন শান্তিবাদী সমালোচক, মানবাধিকার কর্মী, সাংবাদিক, ধর্মীয় নেতা এবং শিয়া মুসলমানরা। গোপন এই আদালত ব্যবহার করে এরইমধ্যে অনেককে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়েছে।
লন্ডনভিত্তিক মানবাধিকার সংস্থাটি আদালতের বিভিন্ন নথিপত্র পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে এবং মানবাধিকারকর্মী ও আইনজীবীদের সঙ্গে আলোচনা করে সৌদি আরবের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে ৫৩ পৃষ্ঠার প্রতিবেদন তৈরি করেছে। এতে সৌদি গোপন আদালতের কার্যক্রমই বেশি গুরুত্ব পেয়েছে। প্রতিবেদনে সৌদি আরবের অপরাধ আদালতকে ন্যায় বিচারের প্রতি প্রহসন বলে তুলে ধরা হয়েছে।
সন্ত্রাস-সংশ্লিষ্ট অপরাধ বিচারের জন্য ২০০৮ সালে সৌদি আরব বিশেষ আদালতের নামে গোপন এই আদালত প্রতিষ্ঠা করে। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে দেখা গেছে- আদালতে যাদের বিচার করা হচ্ছে তারা মূলত রাজা সালমান অথবা যুবরাজ মুহাম্মদ বিন সালমানকে সমালোচনা করার জন্য অভিযুক্ত হয়েছেন।
অ্যামনেস্টি বলছে, সৌদি শাসকদের প্রতি যারা অন্ধ আনুগত্য দেখান না তাদেরকেই মূলত এই আদালতে বিচার করা হচ্ছে।#
পার্সটুডে/এসআইবি/৭