নিষেধাজ্ঞার পরিধি বাড়িয়ে রাশিয়ার সমরসজ্জার জবাব দিচ্ছে আমেরিকা
পুতিন ও ল্যাভরভের ওপর নিষেধাজ্ঞা; ‘অক্ষমতার লক্ষণ’ বলল মস্কো
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভের বিরুদ্ধে ইউরোপীয় ইউনিয়ন বা ইইউ যে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে তার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে মস্কো। রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মারিয়া জাখারোভা এ নিষেধাজ্ঞাকে রাশিয়ার মোকাবিলায় পাশ্চাত্যের অক্ষমতার লক্ষণ বলে মন্তব্য করেছেন।
ইইউ’র পররাষ্ট্রনীতি বিষয়ক প্রধান কর্মকর্তা জোসেপ বোরেল শুক্রবার রাতে ব্রাসেলসে ইইউ’র পররাষ্ট্র সম্পর্ক বিষয়ক পরিষদের বৈঠকের পর বলেন, রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভকে নিষেধাজ্ঞার তালিকায় ফেলেছে ইইউ।
বোরেল আরো বলেন, ইউক্রেনে আগ্রাসন চালানোর কারণে পুতিন ও ল্যাভরভের পাশাপাশি রুশ পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ দুমার সব সদস্যের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। ওদিকে, ইইউকে অনুসরণ করে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনও শিগগিরই পুতিন ও ল্যাভরভের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞার ঘোষণা দেবেন বলে জানিয়েছেন হোয়াইট হাউজের মুখপাত্র জেন সাকি।
ইইউ’র ঘোষণার প্রতিক্রিয়ায় রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মারিয়া জাখারোভা রাশিয়ার এক নম্বর টিভি চ্যানেলকে দেয়া সাক্ষাৎকারে বলেছেন, প্রেসিডেন্ট ও পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা ‘পাশ্চাত্যের পরিপূর্ণ অক্ষমতা ও অসহায়ত্ব’ ফুটে উঠেছে।
ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভ রক্ষা করার জন্য ওই নগরীর বেসামরিক নাগরিকদের হাতে অস্ত্র তুলে দেয়ার প্রতিক্রিয়ায় জাখারোভা বলেন, এই ঘটনার পরিণতি হবে অত্যন্ত ভয়াবহ।গতকাল (শুক্রবার) কিয়েভের বেসামরিক নাগরিকদের হাতে ১৮ হাজার মেশিনগান তুলে দেয় ইউক্রেন কর্তৃপক্ষ।
রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আরো বলেন, ইউক্রেন পরিস্থিতি সম্পর্কে পশ্চিমা দেশগুলোর বক্তব্য উন্মাদনায় পরিপূর্ণ এবং মনে হয় যেন কোনো মানসিক ভারসাম্যহীন কেন্দ্র থেকে প্রকাশিত হয়।জাখারোভা অভিযোগ করেন, শুক্রবার রাশিয়ার পক্ষ থেকে দেয়া একটি আলোচনার প্রস্তাব ইউক্রেন প্রত্যাখ্যান করেছে।
পার্সটুডে/এমএমআই/২৬
বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।