ইউরোপ ও আমেরিকায় নজিরবিহীন মুদ্রাস্ফীতি: মন্দার আশঙ্কা
https://parstoday.ir/bn/news/world-i110798
আমেরিকা ও ইউরোপে মুদ্রাস্ফীতির হার নজিরবিহীনভাবে বেড়েছে। সর্বশেষ পরিসংখ্যান অনুযায়ী, আমেরিকায় মুদ্রাস্ফীতির হার ৯.১ শতাংশের উপরে পৌঁছে গেছে। বিগত চার দশকের মধ্যে আমেরিকায় মুদ্রাস্ফীতির এই হার সর্বোচ্চ। এরই মধ্যে রুটির দাম এতটাই বেড়েছে যে মানসম্পন্ন একটি রুটির দাম ১০ ডলার কিংবা তার চেয়েও বেশি।
(last modified 2025-07-29T12:16:04+00:00 )
জুলাই ২১, ২০২২ ১১:৩২ Asia/Dhaka

আমেরিকা ও ইউরোপে মুদ্রাস্ফীতির হার নজিরবিহীনভাবে বেড়েছে। সর্বশেষ পরিসংখ্যান অনুযায়ী, আমেরিকায় মুদ্রাস্ফীতির হার ৯.১ শতাংশের উপরে পৌঁছে গেছে। বিগত চার দশকের মধ্যে আমেরিকায় মুদ্রাস্ফীতির এই হার সর্বোচ্চ। এরই মধ্যে রুটির দাম এতটাই বেড়েছে যে মানসম্পন্ন একটি রুটির দাম ১০ ডলার কিংবা তার চেয়েও বেশি।

কলম্বিয়া ইউনিভার্সিটির রিটেইল স্টাডিজের প্রধান মার্ক কোহেন এ সম্পর্কে বলেছেন: উর্ধ্বমূল্যের প্রকৃত আঘাতটি পড়ে ভোক্তাদের ওপর। অতীতে কখনোই একটি রুটির জন্য ১০ ডলার দাম দেওয়ার ঘটনা কেউ দেখে নি। এর প্রভাব অনেকটাই ৫ ডলারের পেট্রোলের মতো।

আমেরিকায় জিনিসপত্রের দাম বৃদ্ধির এই ঢেউ কোভিড-১৯ এর সময় এবং সেদেশের রাজনৈতিক অস্থিতিশীল পরিস্থিতির সময় থেকেই লেগেছে। তবে ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের কারণে বিশ্বব্যাপী জ্বালানিসহ নিত্যপণ্যের দাম বেড়ে যাওয়ার প্রভাবও পড়েছে বৈ কি। বিশেষ করে সমরাস্ত্রের ব্যয় বৃদ্ধিসহ জো বাইডেনের নীতির কারণেও আমেরিকায় নজিরবিহীন মুদ্রাস্ফীতি দেখা দিয়েছে। আমেরিকায় এখন সম্ভাব্য মন্দার আশঙ্কায় উদ্বিগ্ন বিশেষজ্ঞরা।

মার্কিন জনগণ আগের মতো বেহিসাবি খরচ করছে না, অপ্রয়োজনীয় খরচের মাত্রা কমিয়ে দিয়েছে তারা। এমনকি মৌলিক পণ্যে চাহিদার পরিমাণও কমিয়ে এনেছে। নেলসন ই-কিউ সেন্টারের রিপোর্ট অনুযায়ী চলতি বছরের শুরু থেকে জুলাইয়ের ২ তারিখ পর্যন্ত  আমেরিকার দোকানগুলোতে রুটি কেনার পরিমাণ গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ২.৭ শতাংশ কমে গেছে।

আমেরিকা ইউক্রেন যুদ্ধকে কেন্দ্র করে রাশিয়ার ওপর অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। অথচ সেই নিষেধাজ্ঞার প্রভাব পড়েছে বিশ্বের ওপর। রাশিয়া ঠিকই বিভিন্ন উপায়ে তাদের অর্থনীতির চাকা সচল রেখেছে, আয়-রোজগার নিয়ন্ত্রণে রেখেছে। কেবল নিয়ন্ত্রণেই রাখে নি বরং বৃদ্ধি করেছে বলে আন্তর্জাতিক জ্বালানি সংস্থার পরিসংখ্যানে উল্লেখ করা হয়েছে। রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন যথার্থই বলেছেন: আমেরিকাসহ ইউরোপীয় দেশগুলোর দায়িত্বজ্ঞানহীন নীতির কারণেই বিশ্বব্যাপী নজিরবিহীন মুদ্রাস্ফীতি দেখা দিয়েছে।

বিশ্লেষকদের মতে আমেরিকার উচিত বিশ্বকে সম্ভাব্য মন্দা পরিস্থিতি থেকে বাঁচাতে তাদের হস্তক্ষেপকামী নীতি থেকে সরে আসা।#

পার্সটুডে/এনএম/২১

বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।