নির্বাচনে ইউরোপ-আমেরিকার হস্তক্ষেপের অভিযোগ এরদোগানের
(last modified Tue, 07 Feb 2023 05:31:07 GMT )
ফেব্রুয়ারি ০৭, ২০২৩ ১১:৩১ Asia/Dhaka

রজব তাইয়্যেব এরদোগান বলেছেন: 'পশ্চিমা বিশ্বের শক্তিগুলো ইউরোপ থেকে আমেরিকা পর্যন্ত প্রায় সবাই আমাদের দেশের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনকে প্রভাবিত করার জন্য ব্যাপক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। বিশেষ করে আমার বিরুদ্ধে ঘৃণিত অপপ্রচার চালাচ্ছে'।

জাস্টিস অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট পার্টির ২০ বছরের শাসনের পর একথা অবশ্যই বলা উচিত: এই দ্বিতীয়বারের মতো তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এবং সংসদীয় নির্বাচনে পশ্চিমা সরকারগুলোর হস্তক্ষেপ নিয়ে এরদোগান উদ্বেগ ও অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন। এর আগেও তুরস্কের প্রেসিডেন্ট আসন্ন নির্বাচনে পশ্চিমাদের হস্তক্ষেপ নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছিলেন।  

অন্যভাবে বলা যায় তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এমন সময় তার বিরুদ্ধে ব্যক্তিগতভাবে পশ্চিমারা ঘৃণা ও অপপ্রচার করছে বলে মন্তব্য করলেন যখন তাঁরই নেতৃত্বাধীন সরকার তুরস্ক ও আজারবাইজান প্রজাতন্ত্রের গণমাধ্যমগুলোতে রাশিয়াসহ আঞ্চলিক স্বাধীন দেশগুলোর বিরুদ্ধে ঘৃণা ছড়াতে ব্যস্ত। তুরস্কের প্রেসিডেন্সিয়াল ইনস্টিটিউশনের কমিউনিকেশন সেন্টারের প্রধান ফাখরেদ্দিন আলতুন মিথ্যা ও জাল খবরের বিস্তার রোধে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালানোর অঙ্গিকার ঘোষণা করেছেন। আলতুন বলেছেন: দেশের নাগরিকদের সুস্পষ্ট ও বস্তুনিষ্ঠ তথ্য প্রদানের স্বার্থে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালানো হবে।

আঙ্কারা সরকারের কর্মকর্তাদের মন্তব্য থেকে মনে হচ্ছে, সরকারী কর্মকর্তাদের সকল পরিকল্পনার ওপর এক ধরনের হতাশাজনক পরিবেশ বিরাজ করছে। তুরস্ক বিষয়ক বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, তুরস্কের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন যতই ঘনিয়ে আসছে ক্ষমতাসীন দলের কর্মকর্তারা বিশেষ করে রজব তাইয়েব এরদোগান ততই হতাশা বোধ করছেন। বিগত মাসগুলোতে ক্ষমতাসীন দলের কর্মকর্তাদের বিশেষ করে এরদোগানের কাছ থেকে এরকম হতাশাজনক কথা খুব কমই শোনা গিয়েছিল। হতে পারে আঙ্কারার কর্মকর্তাদের এ ধরনের মন্তব্য বিরোধী দলগুলোকে মোকাবিলা করার একটা কৌশল। তুরস্কের প্রেসিডেন্ট ও সংসদীয় নির্বাচনের প্রাক্কালে এসদেশের বিশিষ্ট বিশ্লেষক আহমেদ তাশগতিরান এরদোগান সরকারের রাজনৈতিক নীতি নিয়ে কিছু সমালোচনামূলক প্রশ্ন উত্থাপন  করেছেন। তুরস্কে আইন-কানুনের অভাব, বিচার বিভাগে স্বাধীনতাহীনতা ইত্যাদি বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন ওই বিশ্লেষক।

একইসঙ্গে অর্থনীতিবিদদের মতে তুরস্কের বর্তমান অর্থনৈতিক সংকট বিগত তিন দশকের মধ্যে নজিরবিহীন। এই সংকটও এরদোগানসহ তাঁর দলের বিপর্যয়ের কারণ হতে পারে। তারই পরিপ্রেক্ষিতে বিশিষ্ট বিশ্লেষক ত্বহা অক ইউল বলেছেন: ২০২৩ সালের আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন তুরস্কের গণতান্ত্রিক ইতিহাসে সবচেয়ে কঠিন নির্বাচন হবে। এতোসব বিশ্লেষণ সত্ত্বেও বাস্তবতা হলো এখনও ৯৯ বছরের পুরোণো পিপলস রিপাবলিক পার্টির চেয়ে এরদোগানের দলের ভোট বেশি রয়েছে।

আরেকটি বিষয় বিশ্লেষকদের দৃষ্টি এড়ায় নি। সেটা হলো ক্ষমতাসীন জাস্টিস অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট পার্টি (এ.কে.পার্টি) শহরে-নগরে, পাড়ায় মহল্লায় অনেক জনপ্রিয় একটি দল। এরদোগানের দল সমস্ত এলাকায় চমৎকার গণসংযোগ গড়ে তুলতে সক্ষম হয়েছে। পাড়ায়-মহল্লায় হাজার হাজার নারী ভোটারদের ঘরে ঘরে গিয়ে এরদোগান ও তার দলের পক্ষে কাজ করে যাচ্ছে।#

পার্সটুডে/এনএম/৭

বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।

 

ট্যাগ