মার্চ ১৫, ২০২৩ ০৯:৩৯ Asia/Dhaka
  • কৃষ্ণসাগরে সংঘাত; মার্কিন ড্রোন বিধ্বস্ত নিয়ে পাল্টাপাল্টি অভিযোগ

রাশিয়ার ক্রিমিয়া উপদ্বীপের কাছে কৃষ্ণসাগরের আকাশে একটি মার্কিন গোয়েন্দা ড্রোন বিধ্বস্ত হয়েছে। ওয়াশিংটন দাবি করেছে, রাশিয়ার একটি যুদ্ধবিমানের সঙ্গে সংঘর্ষে ড্রোনটি বিধ্বস্ত হয়েছে। তবে রাশিয়া বলেছে, কোনো সংঘর্ষে নয় বরং দ্রুত বাঁক নিতে গিয়ে মার্কিন ড্রোনটি সাগরে ভেঙে পড়েছে।

এমকিউ-৯ রিপার নামের ওই ড্রোনটি নজরদারির কাজে ব্যবহার করে মার্কিন বিমান বাহিনী। মধ্য ইউরোপীয় সময় অনুযায়ী, মঙ্গলবার সকাল ৭টা ৩৩ মিনিটে এ ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছে মার্কিন বিমান বাহিনী।

গত বছরের ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে রাশিয়ার বিশেষ সামরিক অভিযান শুরু হওয়ার পর এই প্রথম আমেরিকা ও রাশিয়ার সামরিক বাহিনীর মধ্যে এ সংঘাতের ঘটনা ঘটল। মার্কিন সেনাবাহিনী দাবি করেছে, রুশ যুদ্ধবিমানের এই কর্মকাণ্ড ছিল ‘বেপরোয়া ও অপেশাদার’।

মার্কিন সামরিক বাহিনী বলেছে, মঙ্গলবার কৃষ্ণসাগরের উপর দিয়ে রাশিয়ার দুটি এসইউ-২৭ যুদ্ধবিমান এবং একটি মার্কিন রিপার ড্রোন উড়ছিল। এ সময় একটি যুদ্ধবিমান ‘ইচ্ছাকৃতভাবে’ ড্রোনটির সামনে যায় এবং সেটির ওপর কয়েকবার জ্বালানি তেল ফেলে। এরপর যুদ্ধবিমানটি ড্রোনটির ‘প্রোপেলারে’ আঘাত করে। এতে ক্ষতিগ্রস্ত ড্রোনটি কৃষ্ণসাগরে পুরোপুরি বিধ্বস্ত হয়।

মার্কিন বিমানবাহিনীর কর্মকর্তা জেনারেল জেমস বি হেকার এক বিবৃতিতে দাবি করেন, “আমাদের এমকিউ-৯ বিমানটি আন্তর্জাতিক আকাশসীমায় নিয়মিত অভিযানে ছিল। তখন সেটিকে আঘাত করে রাশিয়ার একটি যুদ্ধবিমান। এর ফলে ড্রোনটি বিধ্বস্ত হয়। এটি ছিল রাশিয়ার একটি অনিরাপদ ও অপেশাদার পদক্ষেপ, যার ফলে দুটি উড়োজাহাজ প্রায় বিধ্বস্ত হতে যাচ্ছিল।”

মার্কিন বাহিনী এ দাবি করলেও রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলেছে ভিন্ন কথা। তারা বলেছে, এ ঘটনায় রুশ যুদ্ধবিমান কোনো অস্ত্র ব্যবহার করেনি বা ড্রোনটির সংস্পর্শে আসেনি। মস্কো বলেছে, মঙ্গলবার সকালে রাশিয়ার অ্যারোস্পেস ফোর্সেসের নিয়ন্ত্রণকক্ষ ক্রিমিয়া উপদ্বীপের কাছে কৃষ্ণসাগরের আকাশে একটি মার্কিন এমকিউ-৯ ড্রোন শনাক্ত করে। সেটি রুশ ফেডারেশনের সীমান্তেরু এগোচ্ছিল। ইউক্রেনে সামরিক অভিযানের জন্য যে অস্থায়ী আকাশপথ তৈরি করা হয়েছে, সেটি তা লংঘন করছিল। তখন অনুপ্রবেশকারী ড্রোনটিকে চিহ্নিত করার জন্য জঙ্গিবিমান পাঠানো হয়। কিন্তু দ্রুত বাক বদল করতে গিয়ে এমকিউ-৯ ড্রোনটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলে এবং সাগরে গিয়ে পড়ে।

মার্কিন সরকার এই ঘটনার প্রতিবাদে ওয়াশিংটনে নিযুক্ত রুশ রাষ্ট্রদূতকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তলব করেছে বলে সর্বশেষ পাওয়া খবরে জানা গেছে।#                              

পার্সটুডে/এমএমআই/এনএম/১৫

বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।

ট্যাগ