এক চীন নীতির লঙ্ঘন
তাইওয়ানের কাছে আরো ৪৪০ মিলিয়ন ডলারের অস্ত্র বিক্রি করবে আমেরিকা
তাইওয়ানের কাছে আরো ৪৪০ মিলিয়ন ডলারের অস্ত্র ও সামরিক সরঞ্জাম বিক্রি করার ঘোষণা দিয়েছে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর। এই ধরনের তৎপরতার কারণে আমেরিকার সঙ্গে চীনের সম্পর্ক মারাত্মকভাবে অবনতি হবে বলে বেইজিংয়ের পক্ষ থেকে হুঁশিয়ারি দেয়া সত্ত্বেও ওয়াশিংটন এই পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছে।
গতকাল (বৃহস্পতিবার) কংগ্রেসে পাঠানো এক নোটিশে পররাষ্ট্র দপ্তর বলেছে, তারা তাইওয়ানের কাছে ৪৪০ দশমিক ২ মিলিয়ন ডলারের অস্ত্র এবং সামরিক সরঞ্জাম ও গোলাবারুদ বিক্রি করবে যাতে তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা সক্ষমতা বেড়ে যায়।
সাম্প্রতিক মাসগুলোতে যখন চীন ও তাইওয়ানের মধ্যে সামরিক উত্তেজনা সর্বোচ্চ পর্যায়ে রয়েছে তখন আমেরিকা তাইপেকে এই অস্ত্র সরবরাহ করার ঘোষণা দিল। মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর জানিয়েছে, তারা যে ৪৪০দশমিক ২ মিলিয়ন ডলারের সামরিক সহযোগিতা দিচ্ছে তার মধ্যে ৩৩২দশমিক ২ মিলিয়ন ডলারের গোলাবারুদ থাকবে।
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর আরো বলেছে, এ সমস্ত গোলাবারুদ ও সামরিক সরঞ্জাম তাইওয়ানকে সরবরাহ করার ফলে তাদের প্রতিরক্ষা সক্ষমতা উল্লেখযোগ্য মাত্রায় বেড়ে যাবে তবে এতে ওই অঞ্চলের সামরিক ভারসাম্যে কোনো পরিবর্তন আসবে না।
পররাষ্ট্র দপ্তরের পক্ষ থেকে অস্ত্র বিক্রির জন্য কংগ্রেসে যে নোটিশ পাঠানো হয়েছে তা প্রত্যাখ্যান করার সম্ভাবনা কম। ফলে, তাইওয়ানের কাছে আমেরিকা আরো একবার উস্কানিমূলক অস্ত্র বিক্রি করতে যাচ্ছে -তা অনেকটা নিশ্চিত।
চীন তাইওয়ানকে নিজের ভূখণ্ড বলে মনে করে। বিশ্বের বেশিরভাগ দেশ এই এক চীন নীতি মেনে চলে। আমেরিকাও কার্যত এই এক চীন নীতি মেনে চলে কিন্তু তাইওয়ানের সাথে বিশেষ সম্পর্ক গড়ে তুলেছে এবং নানা তৎপরতার মধ্যদিয়ে তাইওয়ানকে চীন থেকে বিচ্ছিন্ন করার চেষ্টা চালাচ্ছে#
পার্সটুডে/এসআইবি/জিএআর/ ৩০