এপ্রিল ৩০, ২০২৪ ১৯:১৩ Asia/Dhaka
  • আল-আকসা তুফান অভিযানের পর জার্মানির চ্যান্সেলর ওলাফ শুল্টজ ইহুদিবাদী ইসরাইলে অস্ত্র সরবরাহ ত্বরান্বিত করেছিলেন। Photo/Mindaugas Kulbis
    আল-আকসা তুফান অভিযানের পর জার্মানির চ্যান্সেলর ওলাফ শুল্টজ ইহুদিবাদী ইসরাইলে অস্ত্র সরবরাহ ত্বরান্বিত করেছিলেন। Photo/Mindaugas Kulbis

পার্সটুডে-ইউরোপিয়ান সেন্টার ফর দ্য প্রোটেকশন অফ ল, প্যালেস্টাইন ইনস্টিটিউট অফ পাবলিক ডিপ্লোম্যাসি সার্ভিসেস, প্যালেস্টাইন রাইটস অর্গানাইজেশন এবং "ফরেনসিস" গবেষণা সংস্থার ঘোষণা অনুসারে, জার্মান সরকারের সমালোচনাকারীরা তাদের সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে ফিলিস্তিনিদের জীবন রক্ষা করতে এবং ইসরাইলে অস্ত্র রপ্তানি বন্ধ করতে।

উপস্থাপিত পরিসংখ্যান অনুসারে চলতি বছরের প্রথম তিন মাসে, জার্মান ফেডারেল সরকার ৫শ বিশ কোটি ইউরো মূল্যের সামরিক সরঞ্জাম রপ্তানির জন্য একটি লাইসেন্স চূড়ান্ত করেছে। ফেডারেল সরকারের অর্থমন্ত্রীর মতে প্রায় ৯০ শতাংশ রপ্তানি করা হয়ে ঘনিষ্ঠ মিত্র দেশগুলোতে আর প্রায় তিন-চতুর্থাংশ (৭৪ শতাংশ) যায় ইউক্রেনে। অতএব, প্রথম তিন মাসের পরিসংখ্যান আগের বছরের তুলনায় অস্বাভাবিকভাবে বেশি।

ইহুদিবাদী ইসরাইল একটি গুরুত্বপূর্ণ ক্রেতা

এছাড়াও, স্টকহোম ইন্টারন্যাশনাল পিস রিসার্চ ইনস্টিটিউট SIPRI মার্চ মাসে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। ওই বিশ্লেষণের ভিত্তিতে আমেরিকার পাশাপাশি জার্মানি ইহুদিবাদী ইসরাইলের অস্ত্র আমদানির প্রায় ৯৯ শতাংশ সরবরাহ করে।

সিপ্রির অনুমান অনুসারে ইহুদিবাদী ইসরাইল ২০১৯ সাল থেকে ২০২৩ সালে জার্মানি থেকে তাদের প্রয়োজনীয় অস্ত্রের শতকরা ৩০ ভাগ অস্ত্র আমদানি করেছে।

আল-আকসা তুফান অভিযানের পর জার্মানির চ্যান্সেলর ওলাফ শুল্টজ ইহুদিবাদী ইসরাইলে অস্ত্র সরবরাহ ত্বরান্বিত করেছিলেন।

আইনজীবীদের বিরোধ

এই প্রেক্ষাপটে ক্রমবর্ধমান উদ্বেগের সাথে জার্মান আইনজীবীরা বার্লিনের আদালতকে বলেছে জার্মান সরকারকে ইসরাইলে অস্ত্র রপ্তানি বন্ধ করতে যেন বাধ্য করা হয়। কারণ এই অস্ত্রগুলো আন্তর্জাতিক আইনের গুরুতর লঙ্ঘনে ব্যবহৃত হয়।

গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, ইউরোপে সক্রিয় ফিলিস্তিনি সংগঠনগুলোর সঙ্গে যুক্ত আইনজীবীদের এটি দ্বিতীয় অভিযোগ।

এই আইনজীবীরা বেশ কিছু তথ্য-প্রমাণ উত্থাপন করেছেন যার মধ্যে রয়েছে জার্মানি ইসরাইলের বৃহত্তম ইউরোপীয় অস্ত্রের পৃষ্ঠপোষক হয়ে উঠেছে। এই অস্ত্রগুলোর বেশিরভাগই ৭ অক্টোবর ২০২৩-এর পরে ইহুদিবাদী ইসরাইলকে দেওয়া হয়েছে।

অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ আইন অনুসারে ইসরাইলকে অস্ত্র সরবরাহ করা ফেডারেল রিপাবলিক অফ জার্মানির আইনের লঙ্ঘন।

জার্মানির অস্ত্র রপ্তানি অনুমোদনের মানদণ্ডের মধ্যে রয়েছে সরবরাহকৃত অস্ত্রগুলো আন্তর্জাতিক আইনের প্রতিশ্রুতির বিরুদ্ধে ব্যবহার করা হবেনএই নিশ্চয়তা থাকতে হবে। কিন্তু গাজার বাসিন্দাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে ইসরাইল সরকার মানবাধিকার এবং আন্তর্জাতিক মানবিক আইন লঙ্ঘন করেছে।

নিকারাগুয়ার অভিযোগ

এই বিষয়ে, নিকারাগুয়া সরকারও সম্প্রতি হল্যান্ডের "ইন্টারন্যাশনাল কোর্ট অফ জাস্টিস"-এ একটি পিটিশন দাখিল করেছে, যেখানে ইহুদিবাদী ইসরাইলকে জার্মানি অস্ত্র সরবরাহ বন্ধ করার দাবি জানানো হয়েছে।

নিকারাগুয়া সরকার বার্লিনকে গাজায় গণহত্যা এবং আন্তর্জাতিক মানবিক আইন লঙ্ঘনের কাজকে সমর্থন করার জন্য অভিযুক্ত করেছে। নেদারল্যান্ডে নিকারাগুয়ার রাষ্ট্রদূত হেগের অঅন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনালের সাথে কথা বলতে গিয়ে বলেছেন: বার্লিন ইসরাইলকে সামরিক সহায়তা প্রদান অব্যাহত রেখে আন্তর্জাতিক আইনের প্রতি তাদের প্রতিশ্রুতি লঙ্ঘন করেছে।

তিনি জোর দিয়ে বলেন: কোন সন্দেহ নেই যে জার্মানি গণহত্যা সম্পর্কে ভালভাবে অবগত তারপরও তারা ইসরাইলের প্রতি তাদের সমর্থন অব্যাহত রেখেছে।#

      সূত্র:

  • ইরান অনলাইন। ১৪০৩। জার্মানির উচিত ইহুদিবাদীদের অস্ত্র সরবরাহ বন্ধ করা
  • ইয়ং জার্নালিস্ট ক্লাব। ১৪০৩। হেগের আদালতে জার্মানির বিরুদ্ধে নিকারাগুয়ার অভিযোগের জন্য হামাসের প্রশংসা
  • ইসনা ১৪০৩। আমেরিকা এবং জার্মানি-যে দুটি দেশ ইহুদিবাদী শাসকগোষ্ঠীকে সবচেয়ে বেশি অস্ত্র সরবরাহ করে
  • তাসনিম নিউজ এজেন্সি ১৪০৩। ২০২৪ সালে অস্ত্র রপ্তানি বৃদ্ধিতে জার্মানির বিরল রেকর্ড

পার্সটুডে/এনএম/৩০

 বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।

ট্যাগ