মে ২৬, ২০২৪ ১৮:৫৭ Asia/Dhaka
  • ফিলিস্তিন ইস্যুতে ইউরোপ এবং লাতিন আমেরিকায় কিছু গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতির প্রতি এক নজর
    ফিলিস্তিন ইস্যুতে ইউরোপ এবং লাতিন আমেরিকায় কিছু গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতির প্রতি এক নজর

স্পেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এক্স সোশ্যাল নেটওয়ার্কে লিখেছেন, আন্তর্জাতিক বিচার আদালত বা আইসিজে কর্তৃক নির্ধারিত প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা যার মধ্যে রয়েছে যে ইসরাইলি সরকারকে অবশ্যই গাজার রাফা শহরে তার সামরিক অভিযান বন্ধ করতে হবে তা তাদের জন্য পালন করা বাধ্যতামূলক এবং যেভাবেই হোক তা বাস্তবায়ন করতে হবে।

ইসরাইলের সঙ্গে কলম্বিয়ার সম্পর্ক ছিন্ন করা, ইসরাইলের সাথে স্পেনের সম্পর্ক, ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে হামলা বন্ধ করার জন্য ইহুদিবাদী শাসকদের কাছে ডেনমার্কের অনুরোধ এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের পররাষ্ট্র নীতি বিষয়ক প্রধান কর্মকর্তা জোসেফ বোরেলের আন্তর্জাতিক আদালতের রায়ের বৈধতার উপর জোর দেওয়া-ফিলিস্তিন ইস্যুতে এসব গুরুত্বপূর্ণ খবরগুলো ইউরোপীয় এবং ল্যাটিন আমেরিকান সংবাদপত্রগুলোত এখন প্রধান প্রধান শিরোনাম হচ্ছে।

কলম্বিয়া: আমরা ইসরাইলের সাথে আমাদের সম্পর্ক ছিন্ন করেছি

কলম্বিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী লুইস গিলবার্তো মরিও আল জাজিরার সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, কলম্বিয়া ইহুদিবাদী শাসকদের সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করেছে কারণ এই দখলদার শাসক গোষ্ঠী আন্তর্জাতিক মানবিক আইনকে সম্মান করেনি এবং এগুলো প্রতিনিয়ত লঙ্ঘন করে চলেছে। মোরেও আরো বলেন, আমরা চাই ইসরাইল আন্তর্জাতিক প্রস্তাব মেনে চলুক এবং আন্তর্জাতিক বিচার আদালতের রায় কার্যকর করুক এবং ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে গ্রেপ্তার করুক।

ব্রাজিল: ইসরায়েলের আগ্রাসনের বিরুদ্ধে আমরা নীরব থাকব না 

সিএনএন ওয়েবসাইট আরও জানিয়েছে যে ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট লুলা দা সিলভা ঘোষণা করেছেন যে গাজায় ইসরাইলের বিচ্যুতির মুখে এই দেশটি নীরব থাকতে পারে না। তিনি বলেছেন, আমি ইসরাইল সরকারের দায়িত্বহীনতার কারণে ফিলিস্তিনে মারা যাওয়া নারী ও শিশুদের জন্য সংহতি জানাতে চাই।

স্পেন ও ইসরাইলের সম্পর্কের অন্ধকার

এদিকে গার্ডিয়ানের মতে স্পেনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী মার্গারিটা রবেলস গাজা যুদ্ধকে ফিলিস্তিনি জনগণের গণহত্যা হিসেবে বর্ণনা করে বলেছেন, মাদ্রিদের ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেওয়ার সিদ্ধান্তের পর ইসরাইল ও স্পেনের মধ্যে সম্পর্কের অবনতি হয়েছে। স্পেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসে ম্যানুয়েল আলবারেসও এক্স সোশ্যাল নেটওয়ার্কে লিখেছেন, আন্তর্জাতিক বিচার আদালত কর্তৃক নির্ধারিত প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা যার মধ্যে রয়েছে যে ইসরাইলি সরকারকে রাফাতে তার সামরিক হামলা বন্ধ করতে হবে তা তাদের জন্য পালন বাধ্যতামূলক করতে হবে এবং ইসরাইলকে অবশ্যই সেগুলো অনুসরণ করতে হবে। এটি একটি যুদ্ধবিরতি প্রতিষ্ঠা, বন্দীদের মুক্তি এবং গাজায় মানবিক সহায়তার প্রবেশের ক্ষেত্রেও তা প্রযোজ্য।

ডেনমার্ক: ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে ইসরায়েলের সামরিক অভিযান বন্ধ করতে হবে

আনাতোলিয়া বার্তা সংস্থার মতে ডেনিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী লার্স লোক রাসমুসেনও বলেছেন, "বর্তমান পরিস্থিতিতে এবং আন্তর্জাতিক বিচার আদালতের রায় অনুসারে আমাদের অবশ্যই রাফাতে ইসরাইলের স্থল হামলা অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে এবং একটি যুদ্ধবিরতি প্রতিষ্ঠা করতে হবে।" ইহুদিবাদী শাসকগোষ্ঠীকে এই রায় মানতে হবে।

ইউরোপীয় ইউনিয়নের কর্মীদের প্রতিবাদী চিঠি

এদিকে, গার্ডিয়ান পত্রিকা জানিয়েছে, ২০০টিরও বেশি ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিষ্ঠানের কর্মীরা ইউনিয়নের তিন প্রধানের কাছে লেখা প্রতিবাদমূলক চিঠিতে গাজার মানবিক সঙ্কটের প্রতি এই ইউনিয়নের উদাসীনতাকে উদ্বেগজনক বলে অভিহিত করেছে এবং তারা এটি ব্রাসেলসের মৌলিক মূল্যবোধের পরিপন্থী বলে মনে করেছে। .

ইতালি: ইউএনআরডব্লিউএকে সাহায্য আবার শুরু হয়েছে

রয়টার্স জানিয়েছে, ইতালির পররাষ্ট্রমন্ত্রী আন্তোনিও তাজানি ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ মোস্তফার সঙ্গে বৈঠকে ঘোষণা করেছেন যে ইতালি ফিলিস্তিনি শরণার্থী সংস্থাকে (ইউএনআরডব্লিউএ) ৩৫ মিলিয়ন ইউরো বরাদ্দ দিয়ে পুনরায় সহায়তা শুরু করবে।

বুরেল: আন্তর্জাতিক বিচার আদালতের রায় বাধ্যতামূলক

ইউরোপীয় ইউনিয়নের পররাষ্ট্র নীতি বিষয়ক প্রধান কর্মকর্তা এক্স সোশ্যাল নেটওয়ার্কে একটি বার্তায় লিখেছেন, গাজায় ইহুদিবাদী শাসক গোষ্ঠীর সামরিক অভিযান বন্ধ করার বিষয়ে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতের আদেশ মানা বাধ্যতামূলক এবং তা অবশ্যই বাস্তবায়ন হতে হবে।#

পার্সটুডে/বাবুৃল আখতার/২৬

বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।

ট্যাগ