পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী: জিন্নাহর দিক-নির্দেশনা কোনো অবস্থায় ইসরাইলকে স্বীকৃতি দানের অনুমতি দেয় না
(last modified Tue, 08 Oct 2024 04:13:51 GMT )
অক্টোবর ০৮, ২০২৪ ১০:১৩ Asia/Dhaka
  • পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ (ডানে), পাকিস্তানের প্রতিষ্ঠাতা মোহাম্মাদ আলী জিন্নাহ (বামে)
    পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ (ডানে), পাকিস্তানের প্রতিষ্ঠাতা মোহাম্মাদ আলী জিন্নাহ (বামে)

পার্সটুডে- পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মাদ শাহবাজ শরিফ বলেছেন, তার দেশ কোনো অবস্থায় ইহুদিবাদী ইসরাইলকে স্বীকৃতি দেবে না। তিনি গতকাল (৭ অক্টোবর) ইসরাইলের বিরুদ্ধে ফিলিস্তিনি যোদ্ধাদের চালানো আল-আকসা তুফান অভিযানের প্রথম বার্ষিকী উপলক্ষে দেয়া এক বাণীতে পাকিস্তানের এই রাষ্ট্রীয় অবস্থান তুলে ধরেন।

পাক প্রধানমন্ত্রী বলেন, তার দেশের প্রতিষ্ঠাতা মোহাম্মাদ আলী জিন্নাহর চিন্তাধারা ও আদর্শ অনুসরণ করলে পাকিস্তান কোনো অবস্থায় ইসরাইলকে স্বীকৃতি দিতে  পারে না। এর কারণ হিসেবে তিনি বলেন, হত্যা, নির্যাতন, দমন অভিযান, জবরদখল ও দখলদারিত্বের মাধ্যমে ইসরাইল প্রতিষ্ঠিত হয়েছে এবং এখন পর্যন্ত টিকে আছে। পার্সটুডের রিপোর্ট অনুযায়ী, মোহাম্মাদ শাহবাজ শরিফ বলেন: ইহুদিবাদী ইসরাইলের রক্তপিপাসু চেহারা গত বছরের ৭ অক্টোবর থেকে প্রকাশ হয়ে পড়েনি বরং ইহুদিবাদীরা সাত দশক ধরে ফিলিস্তিনি জনগণের বিরুদ্ধে গণহত্যা ও ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়ে এসেছে। তিনি বলেন, শুধুমাত্র গত এক বছরে ইসরাইল গাজা উপত্যকায় ৪১ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নারী, পুরুষ ও শিশুকে হত্যা করেছে।

তিনি ইসরাইলের অপরাধযজ্ঞের ব্যাপারে বিশ্ব শক্তিগুলোর নীরবতার তীব্র নিন্দা জানিয়ে বলেন: আমরা ফিলিস্তিনিসহ গোটা অঞ্চলের বিরুদ্ধে ইহুদিবাদী ইসরাইলি আগ্রাসন বন্ধ করতে পদক্ষেপ নেয়ার জন্য আন্তর্জাতিক সমাজের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি। তা না হলে বিশ্বের শান্তি ও নিরাপত্তা মারাত্মকভাবে হুমকির মুখে পড়বে।

শাহবাজ শরিফ বলেন: পাকিস্তান জেরুজালেম আল-কুদসকে রাজধানী করে একটি স্বাধীন ও সার্বভৌম ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার আহ্বান জানায় এবং নিজের শেষ নিঃশ্বাস থাকা পর্যন্ত ইসলামাবাদ ফিলিস্তিনিদের এই আকাঙ্ক্ষার প্রতি সমর্থন দিয়ে যাবে।

উল্লেখ করা যায়, ইহুদিবাদী ইসরাইল ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে পশ্চিমা দেশগুলোর সার্বিক পৃষ্ঠপোষকতা নিয়ে গাজা উপত্যকা ও পশ্চিম তীরের নিরপরাধ ও নির্যাতিত ফিলিস্তিনি জনগণের বিরুদ্ধে ভয়াবহ গণহত্যা শুরু করে।

গাজার স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষ থেকে প্রকাশিত সর্বশেষ পরিসংখ্যান থেকে জানা যায়, ইসরাইলি গণহত্যার শিকার হয়ে এ পর্যন্ত ৪১ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি শহীদ ও ৯৬ হাজারের বেশি মানুষ আহত হয়েছেন। হতাহতের উল্লেখযোগ্য অংশই হচ্ছে নারী ও শিশু।

১৯১৭ সালে ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসনের পরিকল্পনা এবং বিভিন্ন দেশ থেকে ফিলিস্তিনি ভূমিতে ইহুদিদের অভিবাসনের মাধ্যমে ইসরাইল প্রতিষ্ঠার কার্যক্রম শুরু হয় এবং ১৯৪৮ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে এই অবৈধ রাষ্ট্রের অস্তিত্ব ঘোষণা করা হয়। তারপর থেকে ফিলিস্তিনি জনগণকে হত্যা এবং তাদের গোটা ভূখণ্ড দখল করার জন্য বিভিন্ন সময়ে অসংখ্য গণহত্যা চালিয়েছে ইসরাইল।

ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের সঙ্গে একাত্মতা ঘোষণা করে বিশ্বের বহু দেশ ইহুদিবাদী ইসরাইলের পতন কামনা করে। এসব দেশ মনে করে, ইসরাইলে উড়ে এসে জুড়ে বসা ইহুদিবাদীদের উচিত এই অবৈধ ঔপনিবেশিক শাসন ত্যাগ করে নিজ নিজ দেশে ফিরে যাওয়া। #

পার্সটুডে/এমএমআই/৮

বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।

 

ট্যাগ