আল-আকসা তুফান ইতিহাসের গতিপথ পরিবর্তন করার ভূ-রাজনৈতিক ভূমিকম্প
কারদেল ইলেকট্রনিক প্রকাশনা তার সাম্প্রতিক বিশ্লেষণে আল-আকসা তুফান অভিযান এবং এর বিপরীতে গাজা ও লেবাননে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থনে ইসরাইলের অপরাধযজ্ঞের পরণতি নিয়ে আলোচনা করেছে।
কার্দেল ইলেকট্রনিক ম্যাগাজিন তার সাম্প্রতিক বিশ্লেষণধর্মী নোটে আলোচনা করেছে যে কীভাবে আল-আকসা তুফান অভিযান তৈরি হয়েছিল এবং এটিকে একটি ভূ-রাজনৈতিক ভূমিকম্প হিসাবে ব্যাখ্যা করা হয়েছে। পার্সটুডের মতে এই বিশ্লেষণে একই সময়ে ইসরাইলের যুদ্ধবিগ্রহকে উপেক্ষা করা হয়নি এবং এটিকে সীমানা ছাড়িয়ে ব্যাপক যুদ্ধ হিসাবে উল্লেখ করা হয়েছে যার পরিণতি পৃথিবীর সমস্ত অধিবাসীদের প্রভাবিত করবে।
এই বিশ্লেষণের লেখক ঘাসান জাভাদ বিশ্বাস করেন যে আল-আকসা তুফান অভিযানকে আলাদাভাবে বিশ্লেষণ করা উচিত নয় বরং বিশ্বের অন্যান্য রাজনৈতিক ঘটনাগুলোর সঙ্গে সম্পর্কিত একটি ঘটনা হিসাবে যেমন ইউক্রেনের যুদ্ধ যা ভূ-রাজনৈতিক ফলাফল সেই আঙ্গিকে ব্যাখ্যা করা উচিত। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে পরিবর্তন ও বৈশ্বিক শক্তির নতুন বিন্যাস ও উত্থান নিয়ে পশ্চিম এশিয়ায় উত্তেজনা বিরাজ করছে।
গাজা এবং লেবাননে ইসরাইলের যুদ্ধ-বিগ্রহের কথা উল্লেখ করে এটিকে শতাব্দীর চুক্তির অধীনে এই অঞ্চলের জন্য বিস্তৃত আমেরিকান প্রকল্পের একটি অংশ বলে মনে করেন। একটি চুক্তি যার লক্ষ্য এই অঞ্চলের ভূ-রাজনৈতিক শৃঙ্খলাকে এমনভাবে রূপান্তরিত করা যা পশ্চিমের জন্য সম্পদ,বন্দর এবং বাণিজ্য রুটের নিয়ন্ত্রণের নিশ্চয়তা দেয় এবং একই সাথে জনসংখ্যাকে বশীভূত করে যাতে তাদের উপর পশ্চিমের আধিপত্য অব্যাহত থাকে।
এই দুটি ঘটনাকে একত্রিত করে তিনি উভয়েরই একটি সুস্পষ্ট চিত্র তুলে ধরেছেন, একদিকে ইসরাইলের কুফল এবং অন্যদিকে আল-আকসা তুফান অভিযান।
লেখক আরও পশ্চিমের এই বড় লক্ষ্যের দিকে ইঙ্গিত করেছেন। আর তা হচ্ছে, বৈশ্বিক অর্থনৈতিক ভূগোলের উপর প্রভাব বিস্তার এবং গ্রহে বসবাসকারী মানুষকে জয় করা। লেখকের মতে পাশ্চাত্যের দৃষ্টিকোণ থেকে পৃথিবীর মানুষদেরই মূল্য দিতে হবে – সে হোক ইউক্রেন,গাজা বা অন্য দেশের বাসিন্দা।
তার দৃষ্টিকোণ থেকে আল-আকসা তুফান অভিযান যেটি ফিলিস্তিনি জাতির প্রচেষ্টার ফল এটিও ইতিহাসের গতিপথ পরিবর্তন ঘটাবে এবং পশ্চিমা আদেশের বিপরীতে কাজ করবে।#
পার্সটুডে/এমবিএ/৮
বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।