গাজা যুদ্ধে পশ্চিমা সমর্থনের কারণ ফাঁস করলেন ব্রিটিশ নেতা; করবিন বললেন ঘৃণা হচ্ছে

পার্সটুডে- ব্রিটিশ কনজারভেটিভ পার্টির নেতা কেমি ব্যাডেনোচ বলেছেন, ইসরাইল ব্রিটেনের পক্ষে গাজাবাসীর বিরুদ্ধে প্রক্সি যুদ্ধ চালাচ্ছে।

ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে চলমান গণহত্যায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং জার্মানির মতো কয়েকটি পশ্চিমা দেশের সঙ্গে ব্রিটেনও সহযোগিতা করেছে। ব্রিটেনও দখলদার ইসরাইলকে অস্ত্র সরবরাহে অটল ছিল। ব্রিটেনের আক্রাতারি বিমান ঘাঁটিকে গাজার বিরুদ্ধে ব্যবহার করতে দিয়েছে লন্ডন। সেখান থেকে গোয়েন্দা বিমানও পরিচালনা করা হয়েছে। পার্সটুডে এসব তথ্য জানিয়েছে। ব্রিটিশ কনজারভেটিভ পার্টির নেতা কেমি ব্যাডেনোচ এবার প্রকাশ্যেই বললেন, দখলদার ইসরাইল ব্রিটেনের পক্ষে গাজায় প্রক্সি যুদ্ধ চালাচ্ছে।

এই ব্রিটিশ রাজনীতিকের মতে, ব্রিটেন এবং অন্যান্য পশ্চিমা দেশগুলো ফিলিস্তিনের ইসলামী প্রতিরোধ আন্দোলন হামাসের বিরুদ্ধে পরিচালিত ইসরাইলি যুদ্ধকে কেবল সমর্থনই করছে না বরং এই যুদ্ধের নির্দেশনা ও পরিচালনাও করছে। কারণ তারা ফিলিস্তিনের ওপর ইসরাইলি আক্রমণ অব্যাহত রাখাকে নিজেদের জাতীয় স্বার্থের জন্য গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করে।

তিনি আরও বলেন, ইসরাইল ব্রিটেনের পক্ষে একটি প্রক্সি যুদ্ধ চালাচ্ছে, ঠিক যেমন ইউক্রেন পশ্চিম ইউরোপের পক্ষে রাশিয়ার বিরুদ্ধে একটি প্রক্সি যুদ্ধ চালাচ্ছে।

তার মতে,  গাজায় ইসরাইলি যুদ্ধ মূলত "হামাসকে ধ্বংস" বা "জিম্মিদের মুক্ত" করার জন্য নয় বরং ইরান ও তার মিত্র দেশগুলোকে দুর্বল করতে ইসরাইলকে অস্ত্র দিয়ে আরও সুসজ্জিত করা। কারণ এসব পশ্চিমা আধিপত্যের কাছে নতি স্বীকার করতে অনিচ্ছুক।

এদিকে, ব্রিটিশ এমপি জেরেমি করবিন বলেছেন, ব্রিটেনসহ বিশ্বের শক্তিধর দেশগুলো ইসরাইলকে অস্ত্র সরবরাহ করে যাচ্ছে এ জন্য আমি তাদেরকে ঘৃণা করি। তারা এ সম্পর্কেও সম্পূর্ণ সচেতন যে, ইসরাইল গাজায় বেসামরিক নাগরিকদের উপর বোমা হামলা চালিয়ে আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করছে।

করবিন আরও বলেন, আমি কখনো ভাবিনি যে আমরা এমন এক পর্যায়ে পৌঁছাবো যেখানে ইউরোপীয় শহরগুলোর রাস্তায় কেবল ফিলিস্তিনি পতাকা বহন করার জন্য মানুষকে গ্রেপ্তার করা হবে, যেটাকে জাতিসংঘ স্বীকৃতি দিয়েছে!

সম্প্রতি ৩০০ জনেরও বেশি ব্রিটিশ ব্যক্তিত্ব প্রধানমন্ত্রী কেয়ার স্টারমারকে লেখা একটি চিঠিতে গাজা উপত্যকায় ইহুদিবাদী ইসরাইলের অপরাধে লন্ডনের সম্পৃক্ততার অবসানের আহ্বান জানিয়েছেন।#

পার্সটুডে/এসএ/৩

বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।