কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তায় চীনের অগ্রগতিকে আমেরিকা কেন ভীতিকর দেখাতে চায়?
(last modified Thu, 12 Jun 2025 10:38:02 GMT )
জুন ১২, ২০২৫ ১৬:৩৮ Asia/Dhaka
  • চীনের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা আমেরিকার চেয়ে এক ধাপ এগিয়ে
    চীনের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা আমেরিকার চেয়ে এক ধাপ এগিয়ে

পার্স টুডে: চীনা বিশ্লেষক ও পর্যবেক্ষকদের মতে, পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও চীনের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) খাত যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ব্যবধান কমিয়ে মাত্র তিন থেকে ছয় মাসে নামিয়ে এনেছে।

পার্স টুডে'র খবরে বলা হয়, চীনের অভিজ্ঞ টেলিকম বিশেষজ্ঞ মা জি‌খুয়া মন্তব্য করেছেন, হোয়াইট হাউসের এআই পরিচালক ডেভিড স্যাক্স যে মন্তব্য করেছেন, তা মূলত চীনের বিরুদ্ধে 'হুমকিমূলক” নীতিরই অংশ। তিনি বলেন, “আমেরিকা চীনের এআই উন্নয়নকে ভীতিকর হিসেবে তুলে ধরছে, যাতে এর বিরুদ্ধে আরও কঠোর নিয়ন্ত্রণমূলক পদক্ষেপ গ্রহণের যৌক্তিকতা তৈরি করা যায়।”

তিনি আরও বলেন: “এই দ্বৈত বার্তার ফলেই আমেরিকার কর্মকর্তারা জনসাধারণের বক্তৃতাগুলোতে এই দুটি বর্ণনার মধ্যে ক্রমাগত দোদুল্যমান হয়ে পড়ছেন, যা দর্শকদের বিভ্রান্ত করছে।"

ইরানের সরকারি বার্তা সংস্থা ইরনার প্রতিবেদন অনুযায়ী, স্যাক্স সম্প্রতি রয়টার্সকে বলেন, “চীনের এআই প্রযুক্তি মাত্র ৬ মাস পিছিয়ে আছে এবং দুই দেশের মধ্যে প্রতিযোগিতা অত্যন্ত তীব্র।”

এছাড়া, এনভিডিয়া-র প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) জেন-সান হুয়াং বলেন, “চীন এআই ক্ষেত্রে পিছিয়ে নেই।”

মা জি‌খুয়া আরও বলেন, “আমরা ‘ডিপসিক’ (DeepSeek)-এর মতো অগ্রগতি অর্জন করেছি, যা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ভবিষ্যত দৃশ্যপট বদলে দিচ্ছে।”

এদিকে, হুয়াওয়ে-র সিইও রেন ঝেংফেই চীনা সংবাদমাধ্যমকে বলেন, “আমাদের একক চিপ এখনো আমেরিকার থেকে এক প্রজন্ম পিছিয়ে আছে। তবে আমরা গাণিতিক পদ্ধতি ব্যবহার করে এই সীমাবদ্ধতা কাটিয়ে উঠেছি।”

তিনি ব্যাখ্যা করেন, "আমরা গ্রুপ কম্পিউটিংয়ের আইনের বাইরের পদ্ধতি ব্যবহার করে আমাদের একক-চিপের ঘাটতি পূরণ করেছি।"

এদিকে, হোয়াইট হাউস এক বিবৃতিতে স্বীকার করেছে যে, চীনা এআই চিপ এখনো আমেরিকার থেকে ১ থেকে ২ বছর পিছিয়ে আছে।

আমেরিকার বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের শিল্প ও নিরাপত্তা দপ্তর সতর্ক করে বলেছে, হুয়াওয়ের এসেন্ড (Ascend) চিপ ব্যবহার করা রপ্তানি নিয়ন্ত্রণ আইন লঙ্ঘনের শামিল হতে পারে। তারা চীনা এআই মডেলগুলো নিজস্ব চিপ দিয়ে প্রশিক্ষণ দিলে সম্ভাব্য জটিলতার কথাও বলেছে।

চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এর জবাবে বলেছে, “আমরা আমেরিকার একপাক্ষিক ও রক্ষণশীল এই আচরণের বিরোধিতা করছি এবং কোনোভাবেই মেনে নিচ্ছি না।”

তারা আরও জানায়: “আমরা আমেরিকার প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি—এই একতরফা দমননীতি এবং চীনের প্রযুক্তি খাতকে অবরুদ্ধ করার অপচেষ্টা থেকে সরে আসুন।”#

পার্সটুডে/এমএআর/১২