ভারত-মার্কিন সম্পর্ক কী চরম উত্তেজনাকর পর্যায়ে পৌঁছেছে?
https://parstoday.ir/bn/news/world-i152280-ভারত_মার্কিন_সম্পর্ক_কী_চরম_উত্তেজনাকর_পর্যায়ে_পৌঁছেছে
পার্সটুডে- H-1B ভিসার খরচ বৃদ্ধির মার্কিন প্রেসিডেন্টের নির্বাহী আদেশ হাজার হাজার দক্ষ ভারতীয় কর্মী এবং আমেরিকান প্রযুক্তি কোম্পানিগুলোর জন্য বড় চ্যালেঞ্জ তৈরি করেছে।
(last modified 2025-09-24T09:30:52+00:00 )
সেপ্টেম্বর ২৪, ২০২৫ ১৩:২২ Asia/Dhaka
  • •	মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প
    • মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প

পার্সটুডে- H-1B ভিসার খরচ বৃদ্ধির মার্কিন প্রেসিডেন্টের নির্বাহী আদেশ হাজার হাজার দক্ষ ভারতীয় কর্মী এবং আমেরিকান প্রযুক্তি কোম্পানিগুলোর জন্য বড় চ্যালেঞ্জ তৈরি করেছে।

পার্সটুডে জানিয়েছে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সম্প্রতি একটি নতুন নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করেছেন, যার অনুসারে এইচ-ওয়ান বি ভিসার জন্য আবেদনের খরচ ১০০,০০০ ডলার বৃদ্ধি করা হবে। ব্লুমবার্গ একটি প্রতিবেদনে লিখেছেন: ট্রাম্পের সিদ্ধান্ত ভারত-মার্কিন সম্পর্ককে একটি গুরুত্বপূর্ণ পর্যায়ে, এমনকি শূন্যে নিয়ে এসেছে। এই অতিরিক্ত ফি দিয়ে, এইচ-ওয়ান বি ভিসার মাধ্যমে বিদেশী কর্মী নিয়োগ আমেরিকান প্রযুক্তি কোম্পানিগুলির জন্য উল্লেখযোগ্যভাবে ব্যয়বহুল হয়ে উঠবে।

ট্রাম্পের এই সিদ্ধান্ত, ভারতের ৭০ শতাংশেরও বেশি ভিসাধারীকে সংকটে ফেলবে ভারতের ২৮০ বিলিয়ন ডলার মূল্যের প্রযুক্তি ও পরিষেবা খাতের জন্য এটি গুরুতর হুমকি এবং হাজার হাজার চাকরিজীবীকে ঝুঁকির মুখে ফেলতে পারে।

ব্লুমবার্গ ট্রাম্পের এই পদক্ষেপকে দক্ষ ভারতীয় শ্রম প্রবাহকে সীমাবদ্ধ করার এবং ভারতীয় অর্থনীতির উপর চাপ সৃষ্টি করার লক্ষ্যে একটি "অ-শুল্ক নিষেধাজ্ঞা" হিসাবে বর্ণনা করেছেন। এই সিদ্ধান্তের ফলে ভারতীয় অর্থনীতির বিভিন্ন ক্ষেত্রে ব্যাপক নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে।

ভারতীয় অর্থনীতিবিদরা সতর্ক করে দিয়েছেন যে এই পদক্ষেপের ফলে তথ্য প্রযুক্তি এবং পরিষেবা খাতে মন্দা দেখা দিতে পারে, যা ভারতের জিডিপির ৫৫ শতাংশেরও বেশি এবং যা ষাট লক্ষ লোককে কর্মসংস্থান করে। এছাড়াও, কোম্পানিগুলি বিশাল মার্কিন বাজারে সহজে প্রবেশ করতে পারবে না, যা তাদের উন্নয়নের উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। এই নিষেধাজ্ঞাগুলি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে কর্মরত ভারতীয়দের কাছ থেকে রেমিট্যান্স প্রবাহকেও প্রভাবিত করতে পারে, যার মূল্য বার্ষিক প্রায় ৩৫ বিলিয়ন ডলার, যা ভারতীয় রুপির মূল্যের উপর আরও চাপ সৃষ্টি করবে।

এই সিদ্ধান্তের প্রতিক্রিয়ায়, মার্কিন প্রেসিডেন্টের নতুন আদেশের বিরুদ্ধে ভারতীয় যাত্রীদের ব্যাপক বিক্ষোভের ফলে সান ফ্রান্সিসকো থেকে এমিরেটস এয়ারবাস A380 এর একটি ফ্লাইট ব্যাহত হয়। নতুন উদ্বেগের কারণে অনেক H-1B ভিসাধারী তাদের ফ্লাইট বাতিল করার সিদ্ধান্ত নেন এবং টেকঅফের আগে কেবিন ছেড়ে চলে যান। এর ফলে একটি ফ্লাইট তিন ঘন্টারও বেশি সময় ধরে বন্ধ রাখা হয় এবং বিমানবন্দরে তীব্র বিভ্রান্তির সৃষ্টি হয়।

ভারত-মার্কিন সম্পর্ক ইতিমধ্যেই টানাপোড়েনের মধ্যে পড়েছে। জুনের গোড়ার দিকে, কূটনৈতিক উত্তেজনা আরও তীব্র হয় এবং নয়াদিল্লির বিরুদ্ধে ওয়াশিংটনের কঠোর বক্তব্য এবং শাস্তিমূলক শুল্ক আরোপ উত্তেজনাকে আরও বাড়িয়ে তোলে।#

পার্সটুডে/এমআরএইচ/২৪

বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।