এখনো পাওয়া যায় নি সেই সাবমেরিন
-
নিখোঁজ সাবমেরিন এআরএ সান জুয়ান
আর্জেন্টিনার নিখোঁজ হওয়া সাবমেরিনের সন্ধান এখনো পাওয়া যায় নি। চরম দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে সমুদ্রে ছয় থেকে আট মিটার উচ্চতার ঢেউ রয়েছে এবং এতে তল্লাশি অভিযান বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। তবে, দেশটির নৌবাহিনীর মুখপাত্র এনরিক বালবি বলেছেন, তার বাহিনী তল্লাশি অভিযান জোরদার করবে।
গত বুধবার ৪৪ জন ক্রু নিয়ে আর্জেন্টিনার সাবমেরিনটি নিখোঁজ হয়। সাবমেরিন তল্লাশিতে এরইমধ্যে আর্জেন্টিনা ১৩টি জাহাজ ও তিনটি বিমান মোতায়েন করেছে। এছাড়া, সাবমেরিনটি খুঁজে বের করার জন্য অভিযানে নেমেছে মার্কিন মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্র বা নাসা’র একটি বিমান।
এআরএ সান জুয়ান নামের এ সাবমেরিনকে সর্বশেষ বুধবার দেখা গেছে। পরে এর সঙ্গে আর কোনো রকম যোগাযোগ স্থাপনা করা যায় নি। এরইমধ্যে সাবমেরিনের ৪৪ ক্রু’র ভাগ্য নিয়ে উদ্বেগ ছড়িয়ে পড়েছে। প্রেসিডেন্ট মোরিসিও ম্যাক্রি বলেছেন, দ্রুত সাবমেরিন খুঁজে বের করার জন্য প্রয়োজনীয় সবকিছু করা হবে। তবে, সময় যতই গড়াচ্ছে ততই ক্রুদের পরিবার পরিজনের ভেতরে উৎকণ্ঠা বেড়েই চলেছে।
দক্ষিণ আমেরিকার সর্বশেষ সীমানা ইউশুয়াইয়া এলাকা থেকে নিয়মিত মিশন শেষে মার ডেল প্লাটা ঘাঁটিতে ফেরার পথে সাবমেরিনটি নিখোঁজ হয়। ডেল প্লাটা ঘাঁটিটি রাজধানী বুয়েন্স আয়ার্স থেকে ৪০০ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থিত।
ডিজেল-ইলেক্ট্রিক শক্তিচালিত এ সাবমেরিনটি জার্মানির কাছ থেকে সেকেন্ড-হ্যান্ড হিসেবে কিনেছিল আর্জেন্টিনা। দেশটির নৌবহরে তিনটি সাবমেরিন রয়েছে এবং এআরএ সান জুয়ান তারই একটি এবং খুবই পুরনো। ১৯৮৫ সালে জার্মানি এ সাবমেরিন তৈরি করে। ২০০৮ সালে পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর আর্জেন্টিনা আরো ৩০ বছর ব্যবহারের জন্য সাবমেরিনটিকে বহরে রাখার সিদ্ধান্ত নেয় যা অনেকটা আত্মঘাতী হিসেবে দেখা দিয়েছে।#
পার্সটুডে/সিরাজুল ইসলাম/২০