আমেরিকা কেন ফিলিস্তিনের ঐতিহাসিক সত্য পরিবর্তন করার চেষ্টা করছে?
https://parstoday.ir/bn/news/world-i150550-আমেরিকা_কেন_ফিলিস্তিনের_ঐতিহাসিক_সত্য_পরিবর্তন_করার_চেষ্টা_করছে
পার্সটুডে-আমেরিকার সাতটি রাজ্য সরকারি নথিতে “পশ্চিম তীর” এর নাম পরিবর্তন করে “ইয়াহুদা ও সামেরা” লেখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
(last modified 2025-07-29T12:16:04+00:00 )
জুলাই ২১, ২০২৫ ১৫:৪২ Asia/Dhaka
  • পশ্চিম তীরের ইহুদিবাদী বসতি কাউন্সিলের প্রধানের সাথে ৭ রাজ্যের আইনপ্রণেতার সাক্ষাৎ
    পশ্চিম তীরের ইহুদিবাদী বসতি কাউন্সিলের প্রধানের সাথে ৭ রাজ্যের আইনপ্রণেতার সাক্ষাৎ

পার্সটুডে-আমেরিকার সাতটি রাজ্য সরকারি নথিতে “পশ্চিম তীর” এর নাম পরিবর্তন করে “ইয়াহুদা ও সামেরা” লেখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

পার্সটুডে জানিয়েছে, আমেরিকার সাতটি রাজ্য একটি আইন পাস করতে যাচ্ছে। ওই আইনটি হলো তাদের রাষ্ট্রীয় নথিতে “পশ্চিম তীর” নাম ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হবে এবং “ইয়াহুদা এবং সামেরা” ব্যবহার করার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেওয়া হবে। এই পদক্ষেপটি অধিকৃত ফিলিস্তিনে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত মাইক হাকেবির উগ্র প্রচেষ্টা ও চরমপন্থার ফল। হাকেবি আন্তর্জাতিক আইনের বিপরীতে পশ্চিম তীরে দখলদারদের সার্বভৌমত্বের ওপর জোর দিয়ে এসেছেন। ২০১৫ সালে হাকেবি বলেছিলেন ইয়াহুদা ও সামেরা'র (পশ্চিম তীর) ওপর ইসরাইলি (শাসন) দাবি ম্যানহাটনের ওপর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দাবির চেয়েও শক্তিশালী।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আরকানসাস রাজ্য (দেড় মাস আগে) একটি আইন পাস করার পর রাষ্ট্রীয় নথিতে "পশ্চিম তীর" এর পরিবর্তে "ইয়াহুদা ও সামেরা" নাম ব্যবহার বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। এখন আরও সাতটি রাজ্য এ বিষয়ে পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছে। এটা আমেরিকার ইউটাহ, টেনেসি, আলাবামা, লুইসিয়ানা, আইডাহো, আইওয়া এবং ওকলাহোমা রাজ্যের প্রতিনিধি পরিষদের আইন প্রণেতাদের সাথে পশ্চিম তীরের জায়োনিস্ট সেটেলমেন্ট কাউন্সিলের প্রধান ইয়োসি দাগানের বৈঠকের ফল। দাগান এই অঞ্চলগুলোতে ইহুদিবাদী ইসরাইলের আনুষ্ঠানিক সার্বভৌমত্বের জন্য ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসনের সমর্থন আদায়ে সর্বোচ্চ চেষ্টা চালান। তারই অংশ হিসেবে পশ্চিম তীরের নাম পরিবর্তনের আইনটি গৃহীত হতে যাচ্ছে।

কংগ্রেসওম্যান ক্লডিয়া টেনি এবং দাগান মার্কিন কংগ্রেসে এই বিল পাসের পদক্ষেপ নেয় এবং এখন পর্যন্ত কংগ্রেসের ২০ জনেরও বেশি সদস্য বিলের পক্ষে যোগ দিয়েছেন। হাউস অব ফরেন অ্যাফেয়ার্স কমিটির প্রধান ব্রায়ান মাস্ট সম্প্রতি বলেছেন: কমিটি শুধুমাত্র "ইয়াহুদা ও সামেরা" নামটি গ্রহণ করবে।

এই পদক্ষেপ থেকে স্পষ্ট হয়ে যায় ইসরাইলি লক্ষ্য অর্জনের জন্য আমেরিকার রাজনৈতিক কাঠামোতে ইহুদিবাদী লবির প্রভাব কতোটা গভীর। মধ্যপ্রাচ্যে মার্কিন পররাষ্ট্রনীতি নির্ধারণ প্রক্রিয়ায় ইসরাইলের শক্তিশালী লবির প্রভাব কারও কাছে গোপন নয়। ইসরাইলের প্রতি আমেরিকার পক্ষপাতিত্বের কারণ হিসেবেও এই লবির গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব রয়েছে বলে মনে করা হয়। এই প্রসঙ্গে আরেকটি বিষয় উল্লেখ করা উচিত যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র নীল নদ থেকে ফোরাত পর্যন্ত স্লোগানের সাথে সামঞ্জস্য রেখে ইহুদিবাদী ইসরাইলের আঞ্চলিক সম্প্রসারণবাদকে ন্যায্যতা দেওয়ার চেষ্টা করে যাচ্ছে। ঐতিহাসিক তথ্য-উপাত্ত উপেক্ষা করে এমনকি অস্বীকার করে তারা "পশ্চিম তীর" এর ঐতিহাসিক নামটিও এখন পরিবর্তন করে দিতে যাচ্ছে। এসব অপকর্মের পেছনে তাদের উদ্দেশ্য হলো ইসরাইল যেন এই অঞ্চলটিকে সম্পূর্ণরূপে দখল করে অধিকৃত ভূমির সাথে সংযুক্ত করার প্রচেষ্টাকে ন্যায্যতা দিতে পারে।#

পার্সটুডে/এনএম/২১

বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।