ইরানের পরমাণু সমঝোতা নিয়ে এখনও কষ্ট দূর হচ্ছে না পম্পেওর
(last modified Thu, 15 Jul 2021 05:25:21 GMT )
জুলাই ১৫, ২০২১ ১১:২৫ Asia/Dhaka
  • একটি ইসরাইলি দৈনিককে দেয়া সাক্ষাৎকারে পরমাণু সমঝোতার বিরুদ্ধে কথা বলেন পম্পেও
    একটি ইসরাইলি দৈনিককে দেয়া সাক্ষাৎকারে পরমাণু সমঝোতার বিরুদ্ধে কথা বলেন পম্পেও

সাবেক মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও আবার ইরানের পাশাপাশি পাশ্চাত্যের সঙ্গে ইরানের স্বাক্ষরিত পরমাণু সমঝোতার বিরুদ্ধে বক্তব্য দিয়েছেন। তিনি ইসরাইলি দৈনিক জেরুজালেম পোস্টকে দেয়া সাক্ষাৎকারে বলেছেন, ২০১৫ সালে ইরানের সঙ্গে পরমাণু সমঝোতায় সই করাই ছিল আমেরিকার একটি ভুল সিদ্ধান্ত।

তিনি আবার এই সমঝোতায় ফিরে না যাওয়ার জন্য বর্তমান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। পম্পেও ইরানের বিরুদ্ধে কিছু ভিত্তিহীন অভিযোগ উত্থাপন করে বলেছেন, পরমাণু সমঝোতায় ওয়াশিংটনের ফিরে যাওয়াটা ‘বোকামি’ হবে।

সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শাসনামলে ইরানের বিরুদ্ধে ‘সর্বোচ্চ চাপ প্রয়োগের’ যে নীতি ওয়াশিংটন গ্রহণ করেছিল তার অন্যতম প্রবক্তা ছিলেন পম্পেও। ২০১৮ সালে আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করে ট্রাম্প পরমাণু সমঝোতা থেকে বেরিয়ে গিয়ে তেহরানের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ চাপ প্রয়োগের নীতি গ্রহণ করেন।

ইরানবিরোধী নীতির ব্যর্থতা নিয়ে ক্ষমতা ছাড়তে হয় ট্রাম্প ও পম্পেওকে

ট্রাম্প ও পম্পেও আশা করেছিলেন, ইরানকে চাপের মধ্যে রাখলে দেশটি পরমাণু সমঝোতার পরিবর্তে অন্য কোনো চুক্তির জন্য আমেরিকার সঙ্গে আলোচনার টেবিলে আসতে বাধ্য হবে।

কিন্তু সে আকাঙ্ক্ষা অন্তরে পুষে রেখেই গত ২০ জানুয়ারি আমেরিকার ক্ষমতা ছাড়তে হয়েছে ট্রাম্প ও পম্পেওকে। আর ইরানের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ চাপ প্রয়োগের নীতি ব্যর্থ হওয়ায় দেশের ভেতরে প্রচণ্ড সমালোচিত হয়েছেন সাবেক প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ও তার পররাষ্ট্রমন্ত্রী পম্পেও।

বর্তমান মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন স্পষ্ট ভাষায় স্বীকার করেছেন ইরানের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ চাপ প্রয়োগের নীতি ব্যর্থ হয়েছে। তিনি ইরানের পরমাণু সমঝোতায় তার দেশকে ফিরিয়ে আনারও আগ্রহ প্রকাশ করেছেন; যদিও এখন পর্যন্ত এ ব্যাপারে কার্যকর কোনো পদক্ষেপ তার প্রশাসন নেয়নি।#

পার্সটুডে/এমএমআই/১৫

বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।