ফেব্রুয়ারি ১০, ২০২৪ ১৯:৩৩ Asia/Dhaka

ইরানে ইসলামী বিপ্লবের বয়স ৪৪ বছর পার হয়ে ৪৫-এ পা দিয়েছে। কিন্তু আজও সেই মহাবিপ্লবের নানা মহা-বিস্ময় অব্যাহত রয়েছে। হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ নানা সাফল্যের কীর্তি-গাঁথায় উৎকীর্ণ এ মহাবিপ্লব হাতছানি দিচ্ছে অচিরেই বিশ্ব-সভ্যতার উজ্জ্বলতম মহাকাব্যিক অধ্যায় গড়ার।

প্রকৃত মুহাম্মাদি ইসলামের অনুসরণই ইরানের ইসলামী বিপ্লবের অভাবনীয় সাফল্যগুলোর রহস্য। ইসলামের এই অতুলনীয় শক্তির বলেই মুসলিম বিশ্বে  মার্কিন সরকারের সবচেয়ে বড় মিত্র শাহের সরকারকে উৎখাত করেছিলেন ইরানের ইসলামী বিপ্লবের নেতা ইমাম খোমেনী (র)। ইসলামের সেই অনন্য শক্তির সুবাদেই ইসলামী বিপ্লব এ পর্যন্ত বানচাল করতে পেরেছে দাম্ভিক শক্তিগুলোর  জটিল ও কুটিল নানা ষড়যন্ত্র।

সভ্যতাগুলোর মধ্যে দ্বন্দ্ব তত্ত্বের প্রণেতা মার্কিন তাত্ত্বিক হান্টিংটন ১৯৯৩ সালে বলেছিলেন, রাজনৈতিক ইসলাম অনুপ্রেরণা পেয়েছে ইরানের ইসলামী বিপ্লবের কাছ থেকে। তিনি বলেছেন, যে ইসলাম নিজেকে পাশ্চাত্যের প্রতিদ্বন্দ্বী বলে মনে করে তা মার্কিন বিশ্ব-ব্যবস্থার জন্য প্রধান বিপদ।

ফরাসি ইসলাম বিশেষজ্ঞ ইয়ান রিচার্ড বিপ্লব-পূর্বকালে ইরানে শাহের বিরোধিতা সম্পর্কে লিখতে গিয়ে বলেছেন, ষাটের দশকের পর পাহলভি সরকারের পাশ্চাত্য-প্রীতির ব্যাপকতায় ইরানী জনগণ অসন্তুষ্ট হয়েছিলো। যার ফলে ইরানী জনগণ তাদের নিজস্ব সংস্কৃতির দিকে ফিরে আসা এবং আত্মপরিচয় ফিরে পাবার তাকিদ অনুভব করেছিল। দল-মত-মাযহাব নির্বিশেষে ইরানের ইসলামী বিপ্লবে জনগণের ব্যাপক উপস্থিতি সম্পর্কে ফরাসি বিশিষ্ট লেখক, সাংবাদিক এবং মধ্যপ্রাচ্য বিশেষজ্ঞ এরিক রোলো বলেছেন, ইরানের বিপ্লবই একমাত্র ধর্মীয় বিপ্লব যেখানে ধর্মীয় সংখ্যালঘুরা পর্যন্ত একত্রে মিলেমিশে আন্দোলন করেছিল। ব্রিটিশ গবেষক এবং ইরান বিষয়ক বিশেষজ্ঞ প্রেড হ্যালিডে শাহের বিরুদ্ধে জনগণের বিশাল বিক্ষোভকে মানব ইতিহাসের সবচেয়ে বড়ো গণবিক্ষোভ হিসেবে উল্লেখ করেছেন।

ফরাসি চিন্তাবিদ মিশেল ফুকো ইরানের ইসলামী বিপ্লব নিয়ে গবেষণা করেছিলেন। তিনি বলেছেন, 'আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করতাম, জনগণের ইচ্ছা-আকাঙ্ক্ষা বা প্রত্যয় অনেকটা খোদা কিংবা আত্মার মতোই অদৃশ্য, চোখে দেখা যায় না...কিন্তু আমরা তেহরানে এবং সমগ্র ইরানে একটি জাতির সামষ্টিক ইচ্ছা লক্ষ্য করেছি। এটা খুবই প্রশংসনীয় এবং বিরল একটি ঘটনা।'

ফ্রান্সের বিশিষ্ট সাংবাদিক পিয়ের ব্যাল্যান্সে বিপ্লবী আন্দোলন চলাকালে তেহরানে ছিলেন। তিনি 'ইরান,আল্লাহর নামে বিপ্লব' নামক গ্রন্থে লিখেছেন, যে বিষয়টি আমাকে বিস্মিত করেছে তাহলো একটি জাতির প্রায় সমস্ত মানুষ মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছে...। বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা দল বেঁধে এসে বলছে আমরা সবাই এক,সবাই কোরআনের সমর্থক,সবাই মুসলমান,আমাদের মাঝে কোনো ভেদাভেদ নেই।'

ইরানের ইসলামী বিপ্লব স্বৈরাচার ও সাম্রাজ্যবাদের ওপর কঠোর আঘাত হানায় এবং মজলুম জাতিগুলোর সহযোগী হওয়ায় এরসঙ্গে স্থায়ী শত্রুতায় জড়িয়ে আছে বিশ্ব-সাম্রাজ্যবাদী জোট। কিন্তু ইসলামী বিপ্লবের স্থপতি ইমাম খোমেনী (র) ও তাঁর ইন্তেকালের পর ইরানের বর্তমান সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহিল উজমা খামেনেয়ী মোট তিন দশকেরও বেশি সময় পর্যন্ত ইরানি জাতিকে ইসলামী বিপ্লবের আদর্শের পথে আপোষহীন, অবিচল এবং ঐক্যবদ্ধ রেখে নানা ক্ষেত্রে বিস্ময়কর সাফল্য ও শক্তিমত্তার পরিচয় দিতে সক্ষম হয়েছেন।

আসলে ইসলামী ইরানের বিপ্লবী নেতৃবৃন্দ ও জনগণের আদর্শিক ঐক্য ছিল এই মহাবিপ্লবকে দুর্বলতা ও বিলুপ্তি থেকে রক্ষা করার অন্যতম প্রধান কারণ। বহু দেশের বিপ্লবই চিন্তাগত বা আদর্শিক ঐক্যের অভাবে আপোষকামীতা আর নানা ধরনের ঘরোয়া দ্বন্দ্বের শিকার হয়ে কিছুকাল পরই নিষ্ক্রিয় ও বিলুপ্ত হয়ে গেছে।

ইরানের বর্তমান সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহিল উজমা খামেনেয়ীর মতে ইরানের ইসলামী বিপ্লবের টিকে থাকা এবং অব্যাহত সাফল্য ও অগ্রগতির কারণ হল এ বিপ্লবের বাণীগুলোর সত্যতা বা বাস্তবতা।

দুনিয়ার বহু বিপ্লব বা অভ্যুত্থানই ক্ষণস্থায়ী হওয়ায় সংশ্লিষ্ট জাতিগুলোর অবস্থা আগের চেয়েও খারাপ হয়েছে বা তারা আগের মন্দ অবস্থায় ফিরে যেতে বাধ্য হয়েছে। কিন্তু সত্যের বাণী এমন নয়। তা চিরস্থায়ী হয়। ইরানের ইসলামী বিপ্লব খাঁটি মুহাম্মাদি ইসলামের কার্যকারিতা তুলে ধরতে সক্ষম হয়েছে। পশ্চিমা মতাদর্শগুলোর ব্যর্থতার প্রেক্ষাপটে  ইসলাম যে রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রসহ জীবনের সবক্ষেত্রে সংকট ও অচলাবস্থা দূর করতে পারে তা তুলে ধরেছে ইরানের ইসলামী বিপ্লব।

ডক্টর মিশেল জনসন বলেছেন-ইরানের ইসলামী বিপ্লব ষোল শতকের পর পশ্চিমাদের ওপর মুসলমানদের প্রথম বিজয় হিসেবে স্বীকৃত। এই বিপ্লবের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বা মূল চালিকাশক্তি হল ইসলাম নির্ভরতা।

মার্কিন এম.আই.টি. বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক এম ফিশার সামাজিক-সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক ক্ষেত্রে ইসলামী বিপ্লবের প্রভাব সম্পর্কে বলেন, ইমাম খোমেনী (রহ)-এর কাছে বিপ্লব কেবল একটা রাজনৈতিক বা অর্থনৈতিক বিপ্লব ছিল না, একইসঙ্গে তা ছিল আধ্যাত্মিক এবং ইসলামী বিপ্লব। ফলে সরকার, শাসনব্যবস্থা এবং সামাজিক আচরণের ক্ষেত্রে ব্যাপক পরিবর্তনের প্রত্যাশা দেখা দেয়। রুশ রাজনীতিবিদ সের্গেই বাবুরিন বিপ্লবে ইসলামের ভূমিকা সম্পর্কে বলেছেন-ইসলামী বিপ্লব কেবল ধর্মীয় কোনো বড়ো আন্দোলনই নয়,বরং মানুষের স্বাধীনতা ও মুক্তির জন্যে সামাজিক ন্যায় ভিত্তিক একটি রাজনৈতিক পট পরিবর্তন।

ইরানের সর্বোচ্চ নেতার মতে ইসলামী বিপ্লবের সাফল্যের আরও একটি বড় কারণ হল মানুষের প্রকৃতি বা ফিতরাতের সঙ্গে সমন্বয়। কোটি কোটি মানুষের অন্তরকে একটি বিশেষ আদর্শের দিকে আকৃষ্ট করা সহজ কাজ নয়। যখন কোনো নেতা মানুষের অন্তরের প্রিয় কথাটি বলেন ও খোদার পক্ষ হয়ে কথা বলেন তখন মানুষের মন সেদিকে আকৃষ্ট হয়। (সুরা আনফাল-৬৩) খোদায়ি শক্তি কোটি কোটি মানুষের হৃদয়কে একমুখী করলেই তখন ঘটে যায় বিপ্লব। গত ৪০ বছর ধরে ২২ বাহমান বা ১১ ফেব্রুয়ারিতে ইসলামী বিপ্লবের বিজয়-বার্ষিকীর শোভাযাত্রায় বেশিরভাগ ইরানির অংশগ্রহণ তথা কয়েক কোটি মানুষের শোভাযাত্রা এবং প্রতি বছর এ শোভাযাত্রায় ইরানিদের অংশগ্রহণের মাত্রা বৃদ্ধির কারণও  হল এটা যে এ বিপ্লবের নীতি ও শ্লোগান জনগণের তথা মানবীয় প্রকৃতির সাথে সঙ্গতিপূর্ণ। আর তাই এই বিপ্লবের নীতি ও শ্লোগান স্থায়ী হচ্ছে এবং আগের চেয়েও বেশি জনপ্রিয় হচ্ছে।

সামরিক শিল্প, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি, চিকিৎসা, বাণিজ্য, অর্থনীতি এবং আন্তর্জাতিক সম্পর্কসহ সামাজিক ও সাংস্কৃতিক নানা ক্ষেত্রেও ইসলামী ইরান আজ আলোচনার অন্যতম প্রধান কেন্দ্রবিন্দু। ইরান নিজের তৈরি একাধিক কৃত্রিম উপগ্রহ পাঠিয়েছে মহাকাশে ও আরও উন্নত কৃত্রিম উপগ্রহ পাঠানোর  উদ্যোগ নিয়েছে। মার্কিন সন্ত্রাসী হামলায় ইরাকে ইরানের কুদস বাহিনীর প্রধান জেনারেল কাসেম সোলাইমানির হত্যাকাণ্ডের বদলা নিতে ইরাকে মার্কিন সামরিক ঘাঁটিতে ইরান যে নিখুঁত মানের ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানোর পর থেকে বিশ্বের কোনো পরাশক্তিই ইরানের সঙ্গে সামরিক সংঘাতে জড়ানোর কথা হয়ত চিন্তাও করতে চায় না। অবশ্য ইরানের সামরিক শক্তি জোরদারের প্রচেষ্টা কেবলই প্রতিরক্ষামূলক।

ইরান আজ বিশ্বের সবচেয়ে নিরাপদ রাষ্ট্র। এ রাষ্ট্রের শহরগুলোতে একজন যুবতীও গভীর রাতে চলাফেরা করতে পারেন নিরাপদে। ইরানের আশপাশের নানা রাষ্ট্রে বিদেশী মদদে বিভিন্ন ধরনের সন্ত্রাস এবং জাতিগত ও সাম্প্রদায়িক সংঘাত নিয়মিত বিষয় হয়ে থাকলেও ইসলামী এই রাষ্ট্রে এসব নেই বললেই চলে।

ব্যবসায়ী, পুঁজি-বিনিয়োগকারী, বিদেশী পর্যটক এবং সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের লোকসহ সব শ্রেণীর জনগণের জন্য নিরাপত্তার দ্বীপ হল ইরান।

বিশ্বের সবচেয়ে স্বাধীন পররাষ্ট্র নীতির অধিকারী হল ইরান। দেশটি আজ পরিপূর্ণ অর্থেই স্বাধীন। ইরানের স্বাধীন পররাষ্ট্র নীতি শান্তির জন্য নিবেদিত। যখনই কোনো মুসলিম বা অমুসলিম দেশ সাম্রাজ্যবাদের হামলার শিকার হয়েছে তখনই ইসলামী ইরান তার প্রতিবাদ করেছে।

ইসলামী ইরানের ক্ষমতার কাঠামো, রাজনীতি ও সংস্কৃতি বাইরের শক্তিগুলোর মাধ্যমে নিয়ন্ত্রিত ও প্রভাবিত নয়। বিশ্বের অন্যতম প্রধান ক্ষমতাধর দেশের শক্তিশালী নেতা হওয়া সত্ত্বেও ইরানের সর্বোচ্চ নেতা, প্রেসিডেন্ট এবং শীর্ষস্থানীয় নেতারা সবচেয়ে বিনয়ী ও জনদরদি। ইরানের সংসদ ও সরকারের রয়েছে জনগণের কাছে জবাবদিহিতার কার্যক্রম।

সামাজিক নিরাপত্তা ও বিচার বিভাগের স্বাধীনতার দিক থেকেও ইরান আজ বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় দেশ। দেশটির নেতৃবৃন্দের খোদাভীতি ও সততাও শীর্ষ পর্যায়ের। 

ইরানই বিশ্বের একমাত্র ইসলামী গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র যেখানে প্রতি বছর কোনো না কোনো নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে। ইরানের সংবিধান অনুযায়ী দেশটির ধর্মনিরপেক্ষ বা ইসলাম বিরোধী কোনো দল গঠন নিষিদ্ধ। ইরানে ইসলামী বিপ্লব বিজয়ী হওয়া সত্ত্বেও এর স্থপতি মরহুম ইমাম খোমেনী দেশটির শাসন ব্যবস্থা ইসলামী প্রজাতন্ত্র-ভিত্তিক হবে কিনা এবং নতুন সংবিধানের প্রতি জনগণের সমর্থন আছে কিনা তা গণভোটের মাধ্যমে যাচাই করে নিয়েছিলেন। ইরানের ভোটারদের ৯৮ শতাংশই ইসলামী রাষ্ট্র-ব্যবস্থা ও সংবিধানের পক্ষে ভোট দিয়েছিলেন।  এর মাধ্যমে প্রমাণিত হয় যে প্রকৃত ইসলামী ব্যবস্থা বা ইসলামী শাসনও জোর করে চাপিয়ে দেয়া যায় না জনগণের ওপর। 

ইসলামী ইরানের জনগণের প্রতি ইসলামী সরকারের অশেষ শ্রদ্ধাবোধের কারণে জনগণও এই বিপ্লবকে টিকিয়ে রাখার জন্য সব ধরনের ত্যাগ ও কষ্ট স্বীকার করেছে।  এই দেশটিতে নানা রাজনৈতিক গোষ্ঠী ও ধারা বা উপধারা থাকলেও সব ধারার অনুসারী জনগণ ইসলামী শাসন-ব্যবস্থা টিকিয়ে রাখার সমর্থক। আর তারই প্রমাণ পাওয়া যায় প্রতি বছর ইসলামী বিপ্লবের বিজয়-বার্ষিকীতে গণ-শোভাযাত্রায় সারা দেশের সব শ্রেণীর মানুষের অংশগ্রহণ থেকে। এমনকি ইরানের অমুসলিম সম্প্রদায়ের লোকেরাও এই শোভাযাত্রায় অংশ নিয়ে থাকেন। কিন্তু সাম্রাজ্যবাদের নিয়ন্ত্রিত প্রচারমাধ্যমগুলো এই শোভাযাত্রায় সর্বস্তরের কোটি কোটি ইরানির অংশগ্রহণের খবরকে যথাযথভাবে প্রচার করে না।

ইরানিদের মধ্যে যে আত্মবিশ্বাস জন্মেছে তা পশ্চিমা শক্তিগুলোকে আতঙ্কিত করে তুলেছে। ইরানের নিজস্ব শিক্ষায় শিক্ষিত ব্যক্তিরা পরমাণু প্রযুক্তিসহ নানা ক্ষেত্রে অভাবনীয় সাফল্য অর্জন করেছেন। তাই আতঙ্কিত পশ্চিমা শক্তিগুলো ইরানকে একটি আগ্রাসী রাষ্ট্র ও জাতি হিসেবে তুলে ধরার জন্য অপপ্রচার চালাচ্ছে। অথচ ১৯৮৭ সালেই ইরান মধ্যপ্রাচ্যে শান্তির একটি দীর্ঘ-মেয়াদি প্রস্তাব দিয়েছিল। ইরান বিশ্ব-শান্তির জন্য জাতিসংঘে গুরুত্বপূর্ণ দু'টি প্রস্তাব দিয়েছে: প্রথমতঃ পরমাণু অস্ত্রমুক্ত মধ্যপ্রাচ্য গড়া ও দ্বিতীয়তঃ বিশ্ব থেকে গণ-বিধ্বংসী অস্ত্র নির্মূল করা। এ ছাড়াও ইরান প্রকৃত ফিলিস্তিনিদের অংশগ্রহণে একটি গণভোটের মাধ্যমে ফিলিস্তিনে ইসরাইলি দখলদারিত্বের অবসান ঘটানোর দাবি জানিয়ে আসছে। কিন্তু ইহুদিবাদী ইসরাইল গায়ের জোরে ফিলিস্তিনকে দখলে রাখতে চায় বলেই ইরান প্রতিরোধ সংগ্রামীদের সহায়তা দিতে বাধ্য হচ্ছে। এসব দৃষ্টান্ত থেকেই বোঝা যায় যে ইরান মধ্যপ্রাচ্যসহ গোটা বিশ্বে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য কত বেশি নিবেদিত। 

ইসলামী বিপ্লবের বিজয় বার্ষিকী উপলক্ষে সবাইকে আবারও অজস্র শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে শেষ করছি আজকের এই বিশেষ আলোচনা। #

পার্সটুডে/আমির হুসাইন/১১

বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।

ট্যাগ